Nadia News: সারারাত নিখোঁজ! পিকনিক থেকে বাড়ি ফিরল না চার নাবালক! পরদিন যা জানা গেল…

নদিয়া: খেলার আনন্দে আত্মহারা হয়ে কৃষ্ণনগরের চার নাবালক নাবালিকা সারা রাত ধরে হেঁটে উপস্থিত শান্তিপুরে! আরপিএফ-এর তত্ত্বাবধানে উদ্ধার হওয়া বাচ্চা ফিরে পেলেও প্রলোভন কিংবা অপহরণের সন্দেহ অভিভাবকদের মনে। কৃষ্ণনগর আরপিএফের তৎপরতায় এবং শান্তিপুর আরপিএফ-এর সহযোগিতায় শান্তিপুর যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার হল তিন নাবালক এবং এক নাবালিকা, যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১২ থেকে ১৩-র মধ্যে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী তারা। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, কৃষ্ণনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বারুই হুদা মনিন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সকলেই।

রবিবার স্থানীয় একটি বাচ্চাদের ফুটবল খেলার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর জয় লাভের জন্য পিকনিক করা হয়। এরপর থেকেই চার ছাত্রছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবার  স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় গেলে খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া ২৪ ঘণ্টা বাদে না পেলে লিখিত নিখোঁজ ডায়েরি করার জন্য। এরপর থেকে নিখোঁজ ওই ছাত্রছাত্রীদের আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকার সব মানুষজন সারা রাত ধরে খোঁজাখুঁজি করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এদের মধ্যে একমাত্র এক নাবালিকার কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিল। তবে নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, সেটা ব্ল্যাক লিস্টে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় গতকাল রাতে। এবং শেষমেষ সেটা স্যুইচ অফ করে দেওয়া হয়।

সোমবার সকালে নিখোঁজ এক নাবালকের দাদা ভিডিও কল করে লোকেশন দেখায় সেই নাবালিকার। আর সেই লোকেশন অনুযায়ী কৃষ্ণনগর আরপিএফ শান্তিপুর আরপিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উদ্ধার করে। এর পিছনে প্রলোভন কিংবা অপহরণের কোনও ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখারও অনুরোধ জানিয়েছেন নাবালকদের পরিবার।

তবে ওই ছাত্রছাত্রীরা জানাচ্ছে, তাদের মধ্যে একজনের বাবা থাকেন বর্ধমানে। সে তার বাবাকে ফোন করেছিল। তাদের গ্রামের বাড়িতে সকলে মিলে বেড়াতে যাবে বলে নাকি যোগাযোগ হয়েছিল রাতেই, কিন্তু তারপরে আর বাবা ফোন ধরেনি। তাই সারারাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কৃষ্ণনগর থেকে শান্তিপুরে পৌঁছেছিল তারা। তবে অভিভাবকদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ব্ল্যাকলিস্টে ফেলার বিষয়ে একে অন্যের দোষ চাপিয়েছে তারা। তাদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তাও যথেষ্ট অসংলগ্ন বলে মনে করছে শান্তিপুর রেল স্টেশনের আরপিএফ কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই চাইল্ড লাইন এবং সি.ডাব্লিউ.সি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা।

মৈণাক দেবনাথ