Tag Archives: nadia news

Lok Sabha Election 2024: নদিয়ার এই এলাকায় নেই ভোটের প্রচার! কারণ জানলে অবাক হবেন

নদিয়া: ভোট আসে ভোট যায়, ভাঙন কবলিত অঞ্চল যে তিমিরে সেই তিমিরেই পরে আছে। প্রার্থীরা আসে আশ্বাসের বন‍্যা বইয়ে দেয়। ভোট চলে গেলে বাবুদের দেখা মেলা ভার এমনি অভিযোগ জানালেন, এলাকার স্থায়ী বসবাসকারীরা। চাকদহ ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ ঝাউচর, গঙ্গাপ্রসাদপুর, পোরাডাঙ্গা এবং মুকুন্দ নগর। চারটি গ্রামে বুথ রয়েছে ছটি, বাস করেন প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের । এখানকার মানুষের পেশা চাষী, মৎস‍্যজীবি, দিনমজুর এবং নির্মাণকর্মী। নদিয়া জেলার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও হুগলী জেলার সঙ্গে যোগাযোগটা বেশী।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি, নিভতেই বেরিয়ে এল গাঁজার প্যাকেট

গত পাঁচ বছর আগে মুকুন্দনগর থেকে গৌরনগর ঘাটের আগে পযর্ন্ত বাঁধানো হয়েছিল আজ তা বিশবাঁও জলে। সেই একই অবস্থায় ফিরে এসেছে। নদিয়া-হুগলী সঙ্গে সংযোগ গৌরনগর ফেরীঘাট। এখনও ভাঙনের মধ‍্যে পরে রয়েছে। কোনও স্নান করার স্থায়ীঘাট নেই, নেই স্থায়ী ফেরীঘাট। কোনও মতে দিন কাটছে এলাকার বাসিন্দাদের। বিশ্বনাথ বিশ্বাস, রামপ্রসাদ তরফদার অক্ষয় বিশ্বাসরা আজ অসহায়। বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, “কবে এই অঞ্চলে বিধায়ক বা সংসদ এসেছিলেন জানেননা এলাকার মানুষ। আমরা সুখ দুঃখের কথা কাকে জানাব।”

আরও পড়ুন: আরও বাড়বে গরম, কত হবে তাপমাত্রা? রেড এলার্ট জারি দক্ষিণের এই জেলাগুলিতে! দেখে নিন বাড়ি থেকে বেরনোর আগে

একি অবস্থা কল‍্যানী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির স‍ান‍্যালচর এলাকার রানীনগর, বালাপাড়া, ঢুঙ্গিপাড়া এবং মালোপাড়া। মোট ১৩ টি অঞ্চল ছিল। লোক সংখ‍্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার। কমতে কমতে পাঁচ হাজার ভোটার সহ ছয়টি বুথ এসে দাঁড়িয়েছে। না আছে স্নান করার না আছে স্থায়ী ফেরীঘাট। প্রায় দিনই ফেরীঘাট পরিবর্তন করতে হয়। অবিলম্বে গঙ্গার ভিতরে জমা পলি বা বালি তুলতে হবে না হলে গঙ্গা বক্ষে যান চলাচল ব‍্যাহত হবে জানালেন সরাটি অঞ্চলের হামিদুল মন্ডল। সাধারণ মানুষের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নেই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির কাছেই সেই কারণেই হয়তো তুলনামূলকভাবে কম উপস্থিত হচ্ছেন ভোট প্রার্থনায় বলে দাবি এলাকাবাসীদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: মানুষের মধ্যে মহাপ্রভুর মানব ধর্ম চেতনা জাগ্রত করতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনজাতি কনভেনশন

ইসকন, মায়াপুর: দশটি রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের শুরু হল তিনদিন ব্যাপী জনজাতি কনভেনশন। ভারতবর্ষের দশটি রাজ্যের তিন হাজার জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে মায়াপুর ইসকনে অনুষ্ঠিত হল অষ্টম বর্ষ ব্যাপি জনজাতি সম্মেলন।২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই জনজাতি সম্মেলন চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বের যে সমস্ত জায়গায় এখনও শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি তাদের দেখার মত কেউ নেই সমাজের মূল স্রোত থেকে অনেকটাই পিছিয়ে।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

‌যারা সহজ সরল জীবন যাপনে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষদের মধ্যে শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবেশ এবং তারা যাতে জীবনের আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে পারে এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেম ধর্মকে অবলম্বন করে মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ হিসেবে যাতে নিগৃহীত হতে না হয় সমাজে যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সেই লক্ষ্যে এই জনজাতি সম্মেলন। একই সঙ্গে জনজাতি মানুষদের মধ্যে যাতে মহাপ্রভুর মানব ধর্ম চেতনা জাগ্রত হয় এবং সমাজে যাতে মাথা উঁচু করে থাকতে পারে এই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যের জনজাতি মানুষদের একত্রিত করে এই সম্মেলনের আয়োজন করল মায়াপুর ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দলের মেলা! জানুন আসল কাহিনী

কৃষ্ণনগর: শুরু হল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী তিথিতে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে এই মেলা বসে। কারও কারোর মতে, দোলের ১২ দিন পরে এই মেলা বসে । আবার অন্য মত অনুযায়ী একসময়ে নদিয়ার মহারাজ বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি কৃষ্ণমুর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই সমস্ত বিগ্রহই একসঙ্গে এনে রাজবাড়িতে মণ্ডপ করে কাঠের সিংহাসনে সাজিয়ে রাখা হয়। সাধারন মানুষও এই সময় এই বিগ্রহ দর্শন করতে পারেন। তবে বারোদোলের মেলায় শুধু এই ১২ টি বিগ্রহই থাকে না। থাকে রাজবাড়ির বড় নারায়ণ বিগ্রহ।এই বিগ্রহগুলি নদিয়া ছাড়াও বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।

আরও পড়ুন: মহিলার কাণ্ড শুনলে পিলে চমকে উঠবে! ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বিএসএফের

তবে এখন আর সব বিগ্রহ রাজবাড়িতে আসে না । বারোদোলে এই সমস্ত বিগ্রহকে পুজো করা হয় । একমাস পরে বিগ্রহগুলি ফের তাদের আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় । এই তিন দিন বিগ্রহগুলিকে তিন রকম পোশাক পরানো হয় । প্রথম দিন পরানো হয় রাজবেশ, দ্বিতীয় দিন ফুলবেশ এবং তৃতীয় তথা শেষ দিন পড়ানো হয় রাখালবেশ । কথিত আছে, সেই সময়ে রাজপরিবারের মহিলাদের পক্ষে কোনও মেলা দেখা সম্ভব ছিল না । তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে এই মেলার প্রবর্তন করেন । অন্যমতে, নদিয়া রাজ গিরীশচন্দ্র রাজমহিষীর অনুরোধে এই মেলার প্রবর্তন করেন । এই মেলাকে ঘিরে আজও মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই।

আরও পড়ুন:  তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন এই মেলায়। নানা মনোহারি দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান এবং নানা মনোরঞ্জনের দোকানীরাও এই মেলায় হাজির হন তাদের পসরা সাজিয়ে। রাজবাড়ির একটা অংশ এই সময় খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। দোল উৎসব পার হয়ে যাওয়ার পরেও ফের এই বারোদোলকে ঘিরে উৎসবে মাতেন মানুষ। আর সেই উৎসবে শুধু কৃষ্ণনগর নয় আশপাশের এলাকার মানুষও যোগ দেন। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মেলার সঙ্গে যে শুধু মানুষের মনোরঞ্জন আর উৎসবের আনন্দ জড়িয়ে আছে তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে নদিয়ার রাজপরিবারের ঐতিহ্যও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

Nadia News: তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

নদিয়া: চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ নাজেহাল গোটা নদিয়া বাসী, পথ চলতি মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিক পুলিশের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চারটি জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নদিয়া জেলাও।

গোটা নদিয়া জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে ৪০ ডিগ্রীর আশপাশে, আর তাতেই নাজেহাল গোটা নদিয়াবাসী। তীব্র রোদেরহ কারণে একদিকে যেমন রাস্তাঘাট শুনশান অন্যদিকে যানবাহনের চলাচল অনেকটাই কম। তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে রাস্তায় না বেরোয় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করছে রানাঘাট পুলিশ জেলা। গত কয়েকদিন ধরে একই ভাবে তাপপ্রবাহ থাকার কারণে নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিকের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

পথ চলতি সাধারণ মানুষকে একদিকে যেমন সর্তক করা হচ্ছে অন্যদিকে তৃষ্ণা মেটাতে জলছত্রর আয়োজন করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ডেকে ডেকে খাওয়ানো হচ্ছে ঠান্ডা পানীয় জল, সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে তরমুজ, গুড়ের বাতাসা এছাড়াও এই তাপপ্রবাহর মধ্যে কিভাবে চলাচল করা উচিত সেই নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। একই চিত্র ধরা পরল নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘোড়ালিয়া বাইপাস মোড়ে। রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারীক অলক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চলছে জলছত্র কর্মসূচি।

একাধিক ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি সকাল থেকেই চলে। তবে সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রয়োজন পড়লেই তবেই তারা রাস্তাঘাটে বেরোচ্ছেন, যেভাবে তাপপ্রবাহ বাড়ছে এখন বৃষ্টি হলেই স্বস্তি মিলবে না হলে এইভাবে চলতে থাকলে আরও অস্বস্তিতে থাকতে হবে বেশ। তবে আবহাওয়া দফতরের যে নির্দেশ ও যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তিত প্রশাসন। এখনো বেশ কয়েকদিন একই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর।

মৈনাক দেবনাথ

Nadia News: এক চুমুকেই শরীর ঠান্ডা! গলা ব্যথা থেকে পেটের সমস্যা, ধারেকাছে ঘেঁষবে না জটিল রোগ, তীব্র দাবদাহে এই জলেই মেটে তৃষ্ণা!

নদিয়া: ফ্রিজের জল খেলেই গলায় ব্যথা সঙ্গে পেটের সমস্যা তাই তীব্র দাবদাহে বিশুদ্ধ ঠান্ডা জল পেতে কল লাগানো মাটির কলসি কেনার হিড়িক নদিয়ার শান্তিপুরে। গরমের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানো আগে দরকার আর তার থেকেও বেশি প্রয়োজন তৃষ্ণায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলা ভেজানোর। জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ইতিমধ্যেই রমরমা ব্যবসা ফাঁদিয়ে ফেলেছেন, বসে নেই স্থানীয় মৃৎশিল্পীরাও। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মাটির কুঁজো , কলসি এ ধরনের জল রাখার পাত্র গরমের সময় বিক্রি করলেও আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে এবং ব্যবহারের সুবিধার্থে মাটির কলসিতে লাগিয়ে দিচ্ছেন কল, গ্যারান্টি সহকারে হেঁকে বেচছেন, লাগবে না ইলেকট্রিক ,রোগ হবে না পেটে, হবে না গলা ব্যথা এ জল খেলে।

মাটির জলের বোতল ১০০ টাকা থেকে শুরু অন্যদিকে কল লাগানো মাটির কলসি ১৫০ টাকা থেকে শুরু বিভিন্ন মাপ অনুযায়ী তা রয়েছে ২৫০ পর্যন্ত। এখানেই শেষ নয়, সুন্দর ঘরে শোভা বর্ধনকারী হিসাবে মাটির কলসির গায়ে শিল্পীর শিল্পত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন কেউ কেউ। মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছেন শীতকালে এটি পরিণত হবে বড় ফুলদানি হিসেবে। গরমকালে থাকবে জল, তবে কলসি কিনলে কলসির মুখে ঢাকা দেওয়ার জন্য সরা সম্পূর্ণ ফ্রি।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শুধুই ব্যবসা নয়, রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে রয়েছে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। এতে একদিকে যেমন ক্রেতাদের মন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি মাটির সোঁদা গন্ধে পরিশোধিত জলের স্বাদ গন্ধ এবং ঠান্ডা পরখ করিয়ে দেখানো যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।

নদিয়ার শান্তিপুর শহরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সামনে দিয়ে সূত্রাগড় অঞ্চলের যাওয়ার প্রধান রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর সেখানেই বেশ কয়েকজন শিল্পী রাস্তার পাশে সাজিয়ে রেখেছেন এই বিক্রির পসরা সেখানে একদিকে যেমন কুঁয়োর পট, মাটির টব, বিভিন্ন ঘর সাজানোর সামগ্রী, নিত্য ব্যবহার্য চায়ের খুরি, মাটির রন্ধন সামগ্রী তৈরি করা হয়েছে। তেমনই গত শীতকাল থেকেই গ্রীষ্মের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে মাটির জলের বোতল এবং কল লাগানো কলসির যথেষ্ঠ মজুদ করেছিলেন প্রায় সকলেই, কিন্তু এক দুই হাজার পিস সেসব মাটির কলসি গরম পড়তেই শেষ।

Mainak Debnath

Nadia News: এবার রাস উৎসব উপলক্ষেও থিম সং ও লোগো! উদ্বোধন শান্তিপুরে

নদিয়া: শান্তিপুরের রাস উৎসব জগৎজোড়া খ্যাতি। সারা বছর ধরে রাস উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আপামর শান্তিপুরবাসী। প্রতিমা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল লাইটিং সহযোগে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ প্রত্যেক বছরেই দেখা যায় শান্তিপুরের ভূমিতে। তারই মাঝে বেশ কিছু ক্লাবের পুজো বহু পুরনো। ঠিক তেমনই এ বছর সুবর্ণ জয়ন্তীতে পদার্পণ করবে শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তারা মানব কল্যাণের জন্য  জন্য নিয়েছেন ১৩ টি দফায় বিশেষ কর্মসূচি। পয়লা বৈশাখের দিন এই কর্মসূচির চতুর্থ দফার আয়োজন করা হল। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাগআছড়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ এবং শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসক। এছাড়াও উদ্বোধন করা হয় তাদের নতুন থিম সং এবং প্রতীক চিহ্ন অর্থাৎ লোগোর। ক্লাবের এই থিম সং ওর লোগো তৈরি করে ক্লাবেরই শিল্পীরা।

আরও পড়ুন:  রাজ্যের স্কুলে চালু নতুন নিয়ম! ঘণ্টা বাজলেই পড়ুয়াদের করতে হবে এই কাজ! জানুন

শান্তিপুর লিডারস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য শুভদীপ মুখার্জি জানান, “২০২৪ এ আমাদের রাস উৎসবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। আর সেই উপলক্ষে সারা বছরব্যাপী আমরা বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।  ১৩ টি দফায় একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে যার মধ্যে এদিন চতুর্থকর্ম সূচি পালন করা হলো। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে সারা বছর ধরে এবং রাসের সময় শান্তিপুরবাসীর জন্য থাকবে এক বিশাল সারপ্রাইজ!” সুতরাং বলা যেতে পারে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুধুমাত্র পুজোয় সময়ই মানুষকে আনন্দ দেওয়া নয় বরং সারা বছর সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকাকেই ব্রত করে নিলেন শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। তাদের এই কর্মকাণ্ডে খুশি ও উপকৃত আপামর শান্তিপুরবাসী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

প্রখর গরমে ওয়াটার বেল সিস্টেম! স্কুলে ঘন্টা বাজলেই সবার হাতে জলের বোতল

কাঠফাটা গরমে পড়ুয়াদের শরীর ভাল রাখার জন্য নয়া পদক্ষেপ। চালু হল ওয়াটার বেল সিস্টেম। ঘন্টা বাজলেই জলের বোতল হাতে তুলে নিচ্ছে পড়ুয়ারা।

Nadia News: রাজ্যের স্কুলে চালু নতুন নিয়ম! ঘণ্টা বাজলেই পড়ুয়াদের করতে হবে এই কাজ! জানুন

নদিয়া: গোটা রাজ্য জুড়ে যখন তীব্র দাবদাহ চলছে সেই সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে’ওয়াটার বেল’সিস্টেম চালু করল নবদ্বীপের মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলেও শরীরে যাতে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে, সেই কথা মাথায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত জল খাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এই নিয়ম চালু হয়েছে বেশ কিছু অন্যান্য জেলার সরকারি স্কুলগুলোতে।

এই পরিকল্পনা রূপায়ণে তাঁরা চিকিৎসকের সহায়তাও নিচ্ছেন। বিদ্যালয় চলাকালীন চারটি সময়ে এই বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সকল ছাত্র-ছাত্রী জল পান করবে। সকাল সাড়ে এগারোটা, বেলা সাড়ে বারোটা, দুপুর আড়াইটা, ও সব শেষে তিনটের সময়। বিদ্যালয়ের শিশু সংসদের মন্ত্রীদের জল পান করানোর মাধ্যমে ‘ওয়াটার বেল’ সিস্টেমের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক বকুলচাঁদ শেখ।

আরও পড়ুন:৪৫ ডিগ্রি ছা়ড়াবে পারদ!…কোন জেলায় কবে কবে তাপপ্রবাহ? বৃষ্টির আশা আদৌ আছে? সব জানাল আলিপুর

ডাঃ বকুলচাঁদ বলেন, এই ‘ওয়াটার বেল, সিস্টেম একটা নিয়মানুবর্তিতা। জল পানের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি। এতে তাদের শরীরে জলের ঘাটতি অনেকটাই দূর হবে এবং বিদ্যালয়ে তারা সুস্থ থাকবে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ বলেন রাজ্য সরকারের আদেশনামায় মার্চ – এপ্রিল মাস থেকেই দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দেশের আবহাওয়া দফতর থেকে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরে ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের বিদ্যালয়ে এই ‘ওয়াটার বেল’ সিস্টেম চালু করছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Ram Navami 2024: রামনবমীতে অযোধ্যার রামলালার দেখা মিলবে শান্তিপুরের মাটিতে

নদিয়া:  এবার শান্তিপুরে রামনবমীর সেরা আকর্ষণ গোডাউন মাঠের রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে রামনবমী পালন এবং পুজো। তবে শান্তিপুরে বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে রাম আরাধনা। সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এবার রামচন্দ্রের মূর্তির বদলে রামলালা পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর রামনবমী উদযাপন সমিতি। এবারে তাদের তৃতীয় বর্ষের পুজো শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোলপার্ক বাদ দিয়ে গোডাউন মাঠে হতে চলেছে। শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনকে অমৃত মহোৎসব প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করায় সংস্কারের কাজ চলছে আর সেই কারণে এই স্থান পরিবর্তন বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন: প্রখর বৈশাখে দুর্গাপুজোর আমেজ শান্তিপুরে! ব্যাপারটা কী?

আজ থেকে প্রায় এক মাস আগে শান্তিপুর গোপালপুর শিল্পালয় সৌরভ সাহাকে মাটির রামলালা বানানোর দায়িত্ব দেন রামনবমী উদযাপন সমিতি। শিল্পী জানাচ্ছেন রামলালার মূর্তি তার হাতে এই প্রথম তবে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিমা নির্মাণের পাশে কাগজে রামলালার অবয়ব রেখে তবেই তৈরি করা হয়েছে। পুরোটাই মাপজোপের। তবে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা হয়নি বাকিটা দর্শকদের হাতে।

আরও পড়ুন:   মাছপট্টি থেকে জাস্ট ভ্যানিশ ইলিশ-চিংড়ি- ভেটকি-পমফ্রেট, বিড়ালের কীর্তি নাকি, কারণ শুনলে চমকে যাবেন

অন্যদিকে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই তাদের রামলালার অর্ধ সমাপ্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চিত বিষয় তাই প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হবে, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নিষ্ঠা ভরে ১৭ এপ্রিল রামনবমীতে পুজোর পর শোভাযাত্রার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শান্তিপুর গোডাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে থানার মোড়ে শেষ হবে সেই দিনেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News:পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, রাত হলেই চলে অসামাজিক কাজ! সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

কৃষ্ণগঞ্জ: ইচ্ছামতীর তীরে চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে রয়েছে শিশুদের পার্ক, সংস্কারের দাবি। ভোট আসে ভোট যায়, নেতারা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দেখভালের অভাবে ইচ্ছামতী নদীর তীরে চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে থাকা বি এ ডি পি স্কিমের শিশুদের পার্কের সংস্কার আর হয় না। দূর থেকে পার্ক বলে চিনতেও অসুবিধা হয়। গোটা পার্কটায় ঝোপ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। অন্ধকার নামতেই অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পার্কের মধ্যে ঢুকতেই চোখে পড়বে সাপ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্লাস্টিক গ্লাস, মদের বোতল। পার্কটিতে যেভাবে গাছ গাছালি ঝোপ জঙ্গলে ভরে উঠেছে তাতে সেখানেকেউ যেতে পারে না।

আরও পড়ুন: স্বপ্ন দেখার চোখ আর দক্ষতা এই দুইয়ে ভর দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক নদিয়ার সন্দীপের

সংস্কার না করায় পার্কটি কিছুদিনের মধ্যে ঝোপ জঙ্গলে ভরে ওঠে। ধীরে ধীরে শিশুদের জন্য আনা স্লিপ, দোলনা সহ খেলার সামগ্রীগুলিতে গাছ গাছালিতে ভরে উঠেছে। পার্কের কাছে না গেলে বোঝা যায় এটা পার্ক না জঙ্গল। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ভাজনঘাট টুঙ্গি পঞ্চায়েতের নাঘাটা কালিতলা এলাকায় ইচ্ছামতী নদীর পাড়ে এই পার্কটি গড়ে ওঠে ২০১৬-~১৭ সালে। প্রথম ধাপে বিএডিপি স্ক্রিমে চার লক্ষ অনুমোদন হয়। পরে তিন লক্ষ টাকা আরও অনুমোদন হলে কাজ শুরু হয়। এরপরেও ধাপে ধাপে টাকা খরচ করে পার্কটি করা হয়।

আরও পড়ুন: এমন প্রচার আগে দেখেননি! সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস যা বলছেন…! অবাক হয়ে যাবেন

নদীর তীরে এরকম মনোরম পরিবেশের পার্ক নিয়ে গোটা এলাকার মানুষ ভালো কিছুর আশা করেছিলেন। সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের পার্কে গিয়ে বাচ্চারা খেলাধূলা করবে। তাতে শিশুদের মনোবিকাশের ক্ষেত্রে ভালহবে। কিন্ত সেসব না হওয়ায় এলাকার মানুষ হতাশ। সরকারি টাকা ব্যয় করে পার্ক গড়ার পর অনাদরে অযত্নে কেন পড়ে থাকে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। পার্কটি চরম অব্যবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath