ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট তো বটেই, পেমেন্ট অ্যাপগুলিতে পর্যন্ত ফাঁদ পাতছে প্রতারক বা স্ক্যামাররা। আর সবথেকে বড় কথা হল, ব্যবহারকারীদের নিত্যসঙ্গী WhatsApp পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে সাইবার-অপরাধীরা। অনেক সময় চ্যাট কিংবা অডিও কলের মাধ্যমে চাকরির অফার দিয়ে কিংবা আরও নানা উপায়ে চলছে জালিয়াতি। তবে আজকাল নয়া এক উপায়ে WhatsApp-এ প্রতারণা চালাচ্ছে এই অপরাধীরা।কিন্তু কীভাবে? আসলে এখন ভিডিও কল করে কিংবা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছে ওই সাইবার-অপরাধীরা। আর এই বিপদ থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়, সেটাই আলোচনা করে নেওয়া যাক।অচেনা কিংবা সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন: অজানা-অচেনা কোনও ফোন নম্বর থেকে ভিডিও কল এলে তা রিসিভ করা উচিত নয়। কারণ অচেনা কেউ যদি ভিডিও কল করে, তাহলে বুঝতে হবে যে, তার কোনও মতলব থাকতে পারে। এমনকী অনেক সময় বিদেশি নম্বর থেকেও ভিডিও কল আসতে পারে। সেটাও রিসিভ না করে ব্লক করে দেওয়া উচিত।ব্যক্তিগত তথ্য নয়: WhatsApp-এ ফোন করে কিংবা চ্যাট করে প্রতারকরা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই ফাঁদে পা দিলে কিন্তু খালি হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।সরকারি আধিকারিকের কল: অনেক সময় WhatsApp-এ ভিডিও কল কিংবা অডিও কল করে সাইবার-অপরাধীরা নিজেদের সরকারি কর্মকর্তা অথবা ব্যাঙ্কের কর্মী বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। এটাও কিন্তু প্রতারণার একটা ফাঁদ। তাতে পা না দিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এমনকী ব্লক করে দেওয়াই ভাল!ভিডিও কলে নগ্ন সুন্দরী: অনেক সময় অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় প্রতারকরা। আবার কখনও কখনও অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল রিসিভ করতেই ও-পারে দেখা যায়, স্বল্পবসনা মহিলাদের। এরপর সেই স্ক্রিনশট নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে প্রতারকরা। এমনকী ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে স্ক্রিনশট ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রচুর টাকাও দাবি করে তারা। আর এই ফাঁদে পা দিলেই কিন্তু বিপদ। তাই এই সমস্ত জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
