প্রয়াগরাজ: উৎসবের মরশুম। নিরাপত্তা জোরদার করতে দেশ জুড়ে চলছে তল্লাশি। প্রয়াগরাজের উপর দিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলিতে প্রতিদিন চলছে নাকা চেকিং। জিআরপি এবং আরপিএফ কর্মীরা একযোগে অভিযান চালাচ্ছেন। আর তাতেই উদ্ধার হল কেজি কেজি মাদক।
ট্রেনে এক কোচ থেকে আরেক কোচে যাচ্ছিল জিআরপি-এর একটি দল। টয়লেটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অদ্ভুত শব্দ কানে আসে এক সৈনিকের। তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। কিন্তু শব্দ থামে না। সন্দেহ হওয়ায় টয়লেটের দরজা খোলে ভিতরে ঢোকেন তিনি। তখনই চোখে পড়ে আজব দৃশ্য। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়।
জিআরপি এবং আরপিএফ একযোগে ‘অপারেশন নার্কোস’ অভিযান শুরু করেছে। ট্রেন নম্বর ১৮৩০৯ ইউপি মুড়ি এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালাচ্ছিল রেল সুরক্ষা বাহিনী। ট্রেনের S-4 এবং S-5 স্লিপার ক্লাসে কিছু মেলেনি। কিন্তু টয়লেটের ছাদ থেকে অদ্ভুত শব্দ পান এক জিআরপি কর্মী। কিন্তু টয়লেটে ঢুকে দেখেন সব ফাঁকা। কোথাও কিছু নেই। কিন্তু শব্দ আসছে। আশপাশ দেখতে দেখতে নজর যায় সিলিংয়ে। সেখানে একটা গর্ত। আর বুঝতে বাকি থাকে না কিছু।
তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় উপর মহলে। ছাদ ভাঙা হয়। উদ্ধার হয় ২ কেজি ওজনের ২৫টি গাঁজার প্যাকেট। সব মিলিয়ে ৫০ কেজির গাঁজা। এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে প্রয়াগরাজ স্টেশনে। ঘটনাস্থলে আসেন জিআরপি কর্তারা। গোটা ট্রেনেই ফের তল্লাশি চালানো হয়। তবে অন্য কামরা থেকে আর কিছু উদ্ধার হয়নি। আরপিএফের অনুমান, টয়লেটের সিলিংয়ের ভেতর লুকিয়ে গাঁজা পাচার হচ্ছিল। তবে চোরাচালানকারীদের হদিশ পাওয়া যায়নি।
বাজেয়াপ্ত ৫০ কেজি গাঁজা চুনারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত জিআরপি-এর মালখানায় রাখা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ মাদক। জিআরপি জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকারও বেশি। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনে চোরাচালান রুখতে জিআরপি এবং আরপিএফ এই ধরনের অভিযান আরও বেশি করে চালাবে। তল্লাশির সময় এখন থেকে কোচের পাশাপাশি টয়লেটও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।