কিনলেন কালো রঙের বাইক, সেটা চাইলে অন্য রঙ করা যায়? আরটিও নিয়ম জেনে নিন

কলকাতা: যাঁরা বাইক চালাতে ভালবাসেন, যাঁদের টু-হুইলার আছেও, তাঁরা পুজোয় শহর চক্কর মারবেন তাতে করেই, সন্দেহ কী! তবে কি না নিজের জন্য নতুন জামা হল, নতুন ধাঁচে চুল কেটে তা রাঙানো হল, এর পর এত সেজেগুজে ঘোরার সময়ে বাইক যদি সেই পুরনো ঔজ্জ্বল্যহীন রঙের হয়, চোখে ঠেকবে না?

ঠেকবে তো বটেই! এদিকে পুজো বলে বাইকে নতুন রঙ নিজে থেকে করানোও যাবে না। কেন না, তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। লাগানো যাবে না ফ্যান্সি নম্বর প্লেটও ওই একই কারণে। চড়া আওয়াজের সাইলেন্সার পাইপ লাগালে পুলিশ তো ধরবেই, পরিবেশ সচেতন নাগরিক সে কাজ করবেনও না।

আরও পড়ুন- ভিডিও কল রিসিভ করলেই সামনে ভেসে উঠছে মহিলার ছবি; ফাঁদে পা দিলেই নিঃস্ব!

তবে চাইলে পুজোয় বাইকের কিন্তু হাল ফেরানো যায়। স্টিকার লাগিয়ে নয়, ওটা সহজেই বোঝা যায়, অতএব জরিমানার সম্ভাবনা থাকেই। যা করার, তা আরটিও বা রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে করানোই ভাল হবে। কী করতে হবে, সেটাই এবার দেখে নেওয়া যাক।

– সবার প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সহ কাছাকাছি আরটিও দফতরে গিয়ে বাইকে যে রঙ করানোর ইচ্ছা, কালার স্যাম্পল থেকে তা বেছে নিতে হবে।

আরও পড়ুন- এই মারাত্মক ভুলগুলি করছেন না তো? মোবাইল চার্জারে লেগে যেতে পারে আগুন!

– অফিস থেকে নিয়ে বা অনলাইনে ডাউনলোড করা এনএএমভি ফর্ম ফিল আপ করে জমা দিতে হবে।

– আরটিও বাইকের বর্তমান রঙ দেখবে এবং ফর্মে সই করে লিখিত অনুমতি দেবে।

– এবার যে কালার স্যাম্পল জমা করা হয়েছে, যার অনুমতি মিলেছে, বাইকে সেই রঙ করানো যায়।

– পরের ধাপে সব দরকারি কাগজপত্র সহ নতুন রঙ করা বাইক আবার নিয়ে যেতে হবে আরটিও দফতরে। ভেরিফিকেশনের পর সেই তথ্য খাতায় তোলা হবে। একমাত্র তার পরেই নতুন রঙ করা বাইক রাস্তায় নামানো যাবে।

পদ্ধতি একটু সময়সাপেক্ষ ঠিকই, এদিকে পুজো দোরগোড়ায়। মনখারাপের কারণ নেই, অক্টোবর পুজোরই মাস, দুর্গাপুজোয় না হলেও কালীপুজোয় ঠিক নতুন রঙচঙে বাইকে মণ্ডপ সফর সারা যাবে!