৫১ সতী পিঠের দেবীর মূর্তি

Amavasya Kali Puja on Mahalaya: মহালয়ার অমাবস্যায় বিশেষ কালীপুজো উপলক্ষে অগণিত ভক্তের সমাগম মহাশ্মশানে

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: কোচবিহার বিবেকানন্দ স্ট্রিট এলাকায় রয়েছে কোচবিহার মহাশ্মশান। আর এই শ্মশানেই মহালয়ায় আশ্বিনের অমাবস্যা উপলক্ষে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে মোট ৫১ সতীপীঠের পুজোর আয়োজন করা হয় দেবীর বিভিন্ন রূপের মূর্তির সমেত। তাই এখানে দেবীর ৫১টি রূপের মূর্তি বা প্রতিমা লক্ষ করা যায়। এছাড়াও পুজো করা হয় শ্মশানে থাকা শ্মশানকালীর মাতার মূর্তির। তবে এখানের পুজোয় বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এখানের পুজোয় কুমারী পুজো করা হয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। যে কারণে এখানের পুজো অন্যান্য জায়গার পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা হয়ে ওঠে।

পুজোর পূজারী অরিন্দম চক্রবর্তী জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে সমস্ত নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনে কোচবিহার মহাশ্মশানে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে আগে এই পুজোর পরিচালনা একটি কমিটির মাধ্যমে করা হত। কিন্তু বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করা হচ্ছে কোচবিহার পুরসভার মাধ্যমে। বহু মানুষ এই দু’দিনের পুজোয় অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া এই পুজো উপলক্ষে এখানে মেলাও বসে। তবে আগের থেকে এই পুজোর জৌলুস অনেকটাই বেড়েছে বর্তমানে। আগে টাকা পয়সার সঠিক যোগান না থাকায় পুজো হত কোনও রকমে। তবে এখন আর সেটা হয় না। কিছুটা সরকারি তহবিল আর কিছুটা এলাকার মানুষের চাঁদা দিয়েই পুজোর আয়োজন হয়।”

আরও পড়ুন : মায়ের অপমানের কষ্ট দূর করতেই শুরু পুজো, প্রাচীন শারদো‍ৎসবের বয়স পেরিয়েছে ৪০০ বছর

এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা নরেশচন্দ্র দে জানান,  “এই পুজোয় শুরুর এক থেকে দুই বছরের পর থেকেই এখানে কুমারী পুজো শুরু করা হয়। এছাড়া ৫১ সতীপীঠের সমস্ত দেবীর রূপেরও পুজো করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়মের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি এখানে। বহু মানুষ এই বিরাট পুজোর আয়োজন দেখতে এখানে এসে থাকেন। এছাড়া এখানে এই পুজো উপলক্ষে যে দু’দিন ধরে বিরাট মেলাও বসে এলাকায়। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে সেই মেলায়।” কোচবিহার মহা-শ্মশানের এই কালীপুজো কোচবিহারের অন্যতম বড় কালীপুজো। এই পুজোয় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। তবে কোচবিহারের পুরসভা এই পুজোর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই এই পুজোর জৌলুস বেশ কিছুটা বেড়ে উঠেছে।