বিতর্কে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী৷

TMC MLA controversy: পুজো অনুদানের চেক নিলে মণ্ডপে টাঙাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি! শর্ত দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

ভাতার: এবার পুজো মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানোর নিদান দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এমন নির্দেশ ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর। তাঁর নির্দেশকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তাঁর বক্তব্য, ছবি না টাঙালে পুজো অনুদানের চেক নেবেন না। অনেকেই তো নিচ্ছেন না।

সোমবার ভাতারে পুজোর অনুদান স্বরূপ চেক বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই মঞ্চ থেকে বিধায়ক বলেন, ‘যিনি টাকা দিচ্ছেন তাঁর ছবি টাঙাতে হবে। এই টাকা মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন। সরকারের টাকা। কিন্তু অনেকেই টাকা নিচ্ছেন অথচ ছবি টাঙাচ্ছেন না। তাদের টাকা না নেওয়াই ভাল। অনেকেই তো রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা নিচ্ছেন না। ছবি টাঙাতে আপত্তি থাকলে আপনারাও টাকা নেওয়া বন্ধ করে দিন।’

আরও পড়ুন: হোটেলে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, হঠাৎ রক্তে ভিজল বিছানা! পুুরুষ সঙ্গীর ভুলে শেষ তরুণী

চেক প্রদানের মতো অনুষ্ঠানে বিধায়কের এই মন্তব্যে অবাক পুজোর উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগাতে হবে এমন কোনও সরকারি নির্দেশ নেই। তাহলে বিধায়ক এমনটা বলছেন কীভাবে! তাঁরা বলছেন, প্রথম দশ হাজার টাকা চেক বিতরণের মধ্য দিয়ে এই অনুদান দেওয়া শুরু হয়েছিল। তা বাড়তে বাড়তে আজ তা ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছর এক লক্ষ টাকার চেক পাবে পুজো কমিটিগুলি। করোনার সময় ওই টাকায় মাস্ক, স্যানিটাইজার কেনার উপর জোর দিতে বলা হয়েছিল। এখন আমরা মশকবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকা, পথ নিরাপত্তা সহ নানান সচেতনতামূলক ফ্লেক্স পুজো মণ্ডপে টাঙাই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সব বিষয় তুলে ধরার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙাতে হবে, এমনটা কেউ কখনও বলেননি।’

ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, ‘এখন পাড়ায় পাড়ায় থ্রেট কালচার ঢুকে গিয়েছে। বিধায়কের মন্তব্য সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।’ পরে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মোদির ছবি থাকে। সেরকমই রাজ্যের কোনও উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকে৷ এক্ষেত্রে আমি আবেদন করেছিলাম। নির্দেশের কোনও ব্যাপার নেই।’