দক্ষিণবঙ্গ, মুর্শিদাবাদ Mahalaya 2024: জেলার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে তর্পণ! বিপদ এড়াতে পুলিশের নজরদারি Gallery October 2, 2024 Bangla Digital Desk পিতৃপক্ষের অবসান, মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়া থেকেই বাঙালির পুজো শুরু হয়ে যায়। মহালয়ার ভোর মানে মহিষাসুরমর্দিনী, মহালয়ার ভোর মানেই পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ। এই দিনেই দেবীর চক্ষু দান হয়। অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরও তর্পণকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুরের বিভিন্ন ঘাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন ভোর থেকেই। বহরমপুর শহরের গোরাবাজার ঘাট থেকে খাগড়া এলাকায় সমস্ত ঘাটে সকাল থেকেই তর্পণ করতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। যে কোনও রকম পরিস্থিতি জন্য বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ঘাটগুলিতে যাতে কোনও রকমের অশান্তি বা অঘটন না ঘটে সেই জন্য পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। আগে থেকেই ঘাটগুলির সুরক্ষায় একাধিক বৈঠক করা হয়। পরিষ্কার করা হয় এই ঘাটগুলি। এছাড়াও মহালয়ার দিন রাতভোর থেকেই প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন রয়েছেন সুরক্ষাকর্মীরা। ঘাটে অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে পুলিশ। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স এবং মেডিক্যাল টিম। পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টা পরিচালনা করা হচ্ছে। কিছু অস্থায়ী ক্যাম্পও গড়ে তোলা হয়েছে। মহালয়ার ভোরে প্রতিটি ঘাটে ঘাটে সাধারণ মানুষকে তর্পণ করতে দেখা গেল। হিন্দু ধর্মে এদিন ঋষি এবং প্রয়াত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করা হয় এবং তাঁদের সন্তুষ্টির জন্য করা হয়ে থাকে তর্পণ। ব্যবহার করা হয় কোশা কুশী। তা খাঁটি তামার তৈরি হয়ে থাকে। দেব দেবীদের জল অর্পণ এবং তর্পণের ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।