শিক্ষক সন্দীপন বেরা

West Medinipur News: পেশা সামলেও অবসরে যা করেন এই শিক্ষক, জানলে শ্রদ্ধা জানাবেন আপনিও

পশ্চিম মেদিনীপুর: নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই লেখালেখির চর্চা আরও বাড়তে থাকে। কলেজ জীবনে ইতিহাস বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেও লেখালেখি তিনি ছাড়েননি। তার লেখা চর্চা এবং কলমের জোরে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন বাস্তব চিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছন্দে। মানুষের না বলা কথা, দুঃখ, আনন্দকে ফুটিয়ে তুলেছেন তার কবিতায়। পেশাগতভাবে শিক্ষকতা করলেও তার নেশা এবং সারাদিনের দিনযাপন আপনাকে অবাক করবে। পরিবার, নিজের পেশা সামলেও অবসরে যা করেন এই শিক্ষক, জানলে শ্রদ্ধা জানাবেন আপনিও।

বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায়। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায়। শিক্ষকতা করেন তুতরাঙ্গা অঞ্চল শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ইতিহাস নিয়ে তার পড়াশোনা। বিদ্যালয় জীবন থেকে তার লেখালেখি শুরু। ইতিমধ্যে একাধিক কবিতা সংকলিত বই প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি সংখ্যার ষান্মাসিক কবিতার ম্যাগাজিনও সম্পাদনা করেছেন এই শিক্ষক। বাড়িতে কিংবা বিদ্যালয়ে অবসর সময়ে তিনি লেখেন কবিতা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি যেমন কবিতা লেখেন, তেমনই তার অব্যক্ত কথা ফুটিয়ে তোলেন লেখনীর মধ্য দিয়ে। কষ্ট, দুঃখ, আনন্দ, প্রতিবাদ এমনকি সামাজিক নানা বিষয় ফুটে উঠেছে তার কবিতায়।

প্রথম জীবনে স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হওয়ার পর কবিতা লেখার প্রতি আরও আগ্রহ বাড়ে। পরবর্তীতে শিক্ষকতা জীবনে এসে তিনি প্রকাশ করেন তার নিজের লেখা বই। বর্তমানে বেলদার বাসিন্দা শিক্ষক তথা কবি সন্দীপন বেরা। ইতিমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে। বই প্রকাশ, কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন তার অব্যক্ত কথাগুলো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয় কবিতায়। যা বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যায় কবিতার মধ্য দিয়ে।

আরও পড়ুনঃ Malda News: ‌যোগা প্রতি‌যোগিতায় বড় সাফল্য জেলায়! নবম শ্রেণির পড়ুয়ার হাত ধরে এল সোনার পদক

কখনও বিদ্যালয়ে ক্লাসের অবসরে, কখনও আবার ট্রেন-বাসে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন বিষয় তার ভাবনায় এলে তিনি লিখে রাখেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরে অন্যান্য কাজ শেষ করে তিনি কবিতা লেখেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি এই শিক্ষকের চিন্তাভাবনা এবং শিল্পরুচিকে সম্মান জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

রঞ্জন চন্দ