এবার ফেব্রুয়ারিতেই বড় সুসংবাদ?

Dev: ফেব্রুয়ারি মাসেই বিরাট ঘোষণা করতে চলেছে রাজ্য! জানিয়ে দিলেন দেব! শুনে চমকে যাবেন

কলকাতা: বন্যা প্রতিরোধে ঘাটালের কাজ এগোচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতেই বড় ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই এই নিয়ে সুখবর শোনাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই এই মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হবেই, ফের জানালেন সাংসদ দেব৷ দীর্ঘদিনের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার কোনও সদিচ্ছা কেন্দ্রের নেই। সেই কারণেই তিরিশ বছর ধরে পড়ে থেকেও বাস্তবের মুখ দেখেনি এই প্রকল্প।

তিনি আশ্বস্ত করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অসাধ্য সাধনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। কাজ এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সুখবর পাবেন ঘাটালবাসী। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন দেব। এ-বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটে দাঁড়াবেন না বলে দলকে জানান দেব। কারণ হিসেবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কোনও সম্ভাবনা নেই দেখে নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার করবে। একথা শুনে অবাক হয়ে যান দেব। এরপরই সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলার ৬১ রেল প্রকল্প, রেলমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই তীব্র জল্পনা! রাজ্যের ‘সাহায্যে’ এবার কাটবে জট?

পশ্চিম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দেব। ফি বছর বর্ষায় ঘাটালে মানুষের দুর্দশা শুনেছেন তিনি৷ সাংসদ নির্বাচিত হবার পরে বাস্তবিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেছেন। সাংসদ হওয়ার পরে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁর লোকসভা এলাকার লোকজন। তাঁরা মনে করেন, দেব পারবেন এই সমস্যার সমাধান করতে। অথচ ২০১৪,২০১৯ সালে সাংসদ হয়েও পূরণ করতে পারেননি তিনি। দেব সেই কারণেই, মানুষের কাছে কথা রাখতে না পেরে কুণ্ঠিত, তাই আর দাঁড়াবেন না ঠিক করে ফেলেছিলেন নির্বাচনে। যদিও পরবর্তী সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে আলোচনার পরেই ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন৷ ২০২৪ এর ভোটেও তিনি জিতেছেন৷

তাই এবার এই কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর তিনি৷  দেব জানিয়েছেন তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। কাজ এগোচ্ছে। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তুড়ি বাজিয়ে এর সমাধান হবে না, সময় লাগবে। দেবের কথায়, কাজ এগোচ্ছে। আশা করি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সুখবর দেবেন।তবে, একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, একা কারও পক্ষেই এই কাজ সম্ভব নয়। মাস্টার প্ল্যানের জন্য বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেই কাজে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন সাংসদ।