কলকাতা: দুয়ারে ‘অভিষেকের দূত’। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার আড়াই লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছবে এই ‘দূত’। সাংসদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে তারা যাচ্ছেন বাড়ি-বাড়ি। ‘পাশে ছিলাম, পাশে আছি, পাশে থাকব’ বার্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। বিগত বছরে অনুষ্ঠান করে পুজোর উপহার দেওয়া হত। এবার স্থানীয় নেতারাই পৌঁছে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। খোঁজ নিচ্ছেন উপভোক্তাদের। ডায়মন্ড হারবারে অভিনব জনসংযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গত বছর পর্যন্ত পুজোর আগে ‘অভিষেকের উপহার’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হত ডায়মন্ডহারবার লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে সাংসদ নিজে উপস্থিত থেকে পুজোর উপহার মানুষের হাতে তুলে দিতেন। এবছর উপহার দেওয়ার এই পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছে। অভিষেকের নির্দেশে, দলের স্থানীয় নেতারা ডায়মন্ড হারবার এলাকার আমজনতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার পৌঁছে দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: বাংলার ৬১ রেল প্রকল্প, রেলমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই তীব্র জল্পনা! রাজ্যের ‘সাহায্যে’ এবার কাটবে জট?
পুজোর আগেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘উৎসবের উপহার’ পৌঁছল ডায়মন্ড হারবারবাসীর ঘরে ঘরে। অভিষেকের উপহারের ডালি স্থানীয় নেতাকর্মীরাই দায়িত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। পুজো সকলের এই কথা ভেবেই উৎসবের উপহারের উদ্যোগ নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ‘উৎসবের উপহার’ পেয়ে খুশি আমজনতা।
বিধানসভাভিত্তিক উপহার পৌঁছে যাবে প্রত্যেক বুথে বুথে। এরপর বুথের দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজেদের সুবিধা মতো যত দ্রুত সম্ভব সেই উপহার পৌঁছে দেবেন সাধারণ মানুষের কাছে।
তৃতীয় বারের জন্য সাংসদ হওয়ার পর জুন মাসে আমতলার দলীয় কার্যালয়ে ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠকেই ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, নেতাদের থেকে মঞ্চের উপরে কেন উপহার নেবেন সাধারণ মানুষ? বহু ক্ষেত্রে নেতারা উপহার দেওয়ার মুহূর্তের ছবি তুলে তা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেন। যা না-পসন্দ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তাঁর আরও বক্তব্য ছিল, যদি উপহার দিতেই হয়, তা হলে তা পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে।
এর আগে করোনা সংক্রমণের সময় যে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তাতে ডায়মন্ডহারবার এলাকার মানুষের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল সাংসদের অফিস।