সাইবার অপরাধের জের।

Cyber crime death: ‘মধুচক্রে ধরা পড়েছে আপনার মেয়ে’, ফোন পেয়েই পরিবারে হুলস্থুল! মৃত্যু হল স্কুল শিক্ষকা মায়ের

আগরা: সাইবার-অপরাধীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে এবার প্রাণ গেল এক সরকারি স্কুল শিক্ষিকার। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সাইবার-জালিয়াতদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের আগরার এক সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষিকা। তাঁকে বলা হয়েছিল যে, শিক্ষিকার মেয়ে নাকি যৌনচক্রে জড়িয়ে পড়েছে। এই কথা শোনার পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই শিক্ষিকার।

শিক্ষিকার পরিবারের আরও দাবি, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষিকার কাছে হুমকি ফোনটি এসেছিল। এমনকী এই ঘটনার কথা কাউকে জানানো হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবিও করে প্রতারকরা।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন মৃতের পুত্র দীপাংশু রাজপুত। তিনি বলেন, আমার মা মালতী ভার্মা (৫৮) ছিলেন আগরার আছনেরা জুনিয়র হাইস্কুলের সরকারি শিক্ষিকা।

আরও পড়ুন: চিকিৎসা হোক বা ভ্রমণ— কোন দেশের পর্যটক ভারতে সবচেয়ে বেশি আসেন? নাম দেখলে চমকে উঠবেন

৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ মায়ের কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। যেখানে তাঁকে বলা হয় যে, আপনার মেয়ে যৌনচক্রে জড়িয়ে পড়েছে। আপনার কন্যার পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এর মাশুল দিতে হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। যে কল করেছিল, সে আবার নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। দীপাংশু আরও বলেন যে, “মা আমায় ফোনে সবটা বলেছিলেন। যে কলটি এসেছিল, সেই বিষয়ে বিশদে আমায় জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ফোন নম্বরটা চেক করে মাকে জানাই যে, সাইবার-জালিয়াতরা ওই ভুয়ো কলটি করেছিল। এরপর আমি আমার বোনের সঙ্গে কথা বলি। সবটা স্বাভাবিকই ছিল। মাকে বলি যে, চিন্তা করতে হবে না। কিন্তু তাতেও মায়ের চিন্তা কাটেনি। আসলে ওই ফোন কল আসার পরেই আমার মায়ের শরীর খারাপ হয়।”

আরও পড়ুন: গরম পড়লেই আমরা বৃষ্টি চাই, কিন্তু বৃষ্টিই প্রাণ নিয়েছে ১৫০০ মানুষের! প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য

দীপাংশু আরও জানান, স্কুল থেকে ফেরার পরে মায়ের বুকে ব্যথা এবং অস্বস্তি হচ্ছিল, এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জগদীশপুরা থানার ইন-চার্জ আনন্দবীর সিং পিটিআই-কে জানান যে, “পরিবারের তরফ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”