মালদহ: বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘন ঘন বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আজ দুপুরের মধ্যে সমস্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করে পরিবারের হাতে তুলে দিল প্রশাসন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকে গতকালের এই আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুর্শাডাঙি গ্রামের নব দম্পতি নয়ন রায় এবং প্রিয়াঙ্কা রায়। মাত্র তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল দম্পতির।
আশা করেছিলেন ছেলে- বৌমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে পরিবার নিয়ে কাটাবেন। কখনও ভাবেননি, ছেলে- বৌমার মৃতদেহ নিতে আসবেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ছেলের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছিলেন ফাল্গুন মাসের ১৩ তারিখে। আর ঘরে এনেছিলেন নতুন বৌমা। এইভাবে ছেলে-বৌমাকে তিন মাসের মাথায় হারাতে হবে বুঝতেই পারেননি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার তেঁতুল গাছি এলাকার বৃদ্ধা চুনিয়া রায়। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চুনিয়া রায়।
আরও পড়ুন: ট্রেনের মিডল বার্থে টিকিট কেটেছেন? ইচ্ছে হলেই ঘুমাতে পারবেন না, নির্দিষ্ট নিয়ম আছে রেলের
চুনিয়া রায় জানান, গতকাল দুপুরে নিজেদেরই জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে, বৌমা। হঠাৎই কালো মেঘে ঘনিয়ে আসে গোটা আকাশে। নিমেষের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে আচমকা বাজ। আর তাতেই সব সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরেই অন্যান্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই ছেলে-বৌমা আর নেই। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইখানেই ছেলে-বৌমাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিন মালদা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া তদারকি করেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী প্রমূখ। হাজির ছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্বও ।