![দিন দিন বেড়েই চলেছে সাইবার ফ্রডের ঘটনা ৷ প্রতিদিনই কেউ না কেউ সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন ৷ চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার ফ্রড ৷ এবার দেশের নাগরিকদের সাইবার ফ্রডের হাত থেকে বাঁচাতে নেওয়া হচ্ছে কড়া পদক্ষেপ ৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/05/phone-2-new-2024-05-88f7cf31598f41ecca400b7500e010ef.jpg)
![ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিনিউকেশন (DoT) শুক্রবার জানিয়েছে টেলিকম সার্ভিস অপারেটর্সদের (TSPs) ২৮২০০ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ এবং পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ২০ লাখের বেশি পুনরায় যাচাই করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে ৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/05/phone-4-new-2024-05-671a762bbc8943ab469ff32e728c1eb2.jpg)
![সাইবার ক্রাইম ও ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রডের ক্ষেত্রে টেলিকম পরিষেবার অপব্যবহার আটকাতেই ডিওটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাজ্য পুলিশ যৌথ ভাবে পদক্ষেপ নিতে চলেছে ৷ ডিওটি জানিয়েছে,‘ এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ ভাবে বিছিন্ন করা এবং নাগরিকদের এরকম প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত রাখা ৷’](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/05/phone-5-2024-05-922d850090dde536ada9f45d20cfaa8f.jpg)
![জানা গিয়েছে, সাইবার ফ্রডের জন্য প্রায় ২৮২০০ মোবাইল হ্যান্ডসেটের অপব্যবহার করা হচ্ছে ৷ শুধু তাই নয় এই হ্যান্ডসেটে প্রায় ২০ লাখ কানেকশন ব্যবহার করা হয়েছে ৷ সেই জন্যেই ২৮২০০ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্লক করার পাশাপাশি এই হ্যান্ডসেটে ব্যবহার হওয়া ২০ লাখ মোবাইল কানেকশন রিভেরিফাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/05/phone-7-2024-05-d0c3f498705f1c5efc9a4550037f80b9.jpg)
![চলতি সপ্তাহের শুরুতে ডিওটি তাদের ওয়েব পোর্টাল Chakshu-তে রেজিস্টার হওয়া একটি সাইবার ফ্রডের অভিযোগের ঘটনার পর একটি মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিয়েছে এবং কমপক্ষে ওই নম্বরের সঙ্গে লিঙ্কড ২০টি মোবাইল ডিভাইস ব্লক করে দেওয়া হয়েছে](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/05/phone-3-2024-05-d72f8679efd1e6b2a4564d4ec6896d65.jpg)
কলকাতাঃ ভারতের বিভিন্ন সাইবার থানা থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় থানায়, প্রতিদিন সাইবার অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। কখনও কী ভেবে দেখেছেন সারা ভারতবর্ষে বছরে কত টাকার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে? সেই সংখ্যা যদি শোনেন তাহলে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষে বড় শহর থেকে ছোট শহরগুলিতে সাইবার প্রতারণার শিকার বেশি। সাইবার শিকার করতে গেলে যে তথ্য দরকার। সেই তথ্য পাওয়া যায় কোথা থেকে? ২০২২সালে সাইবার প্রতারণার আর্থিক অংক ছিল ১০০০০ কোটি টাকার এদিক ওদিক। ২০২৩এ সেই আর্থিক প্রতারণার অঙ্ক এসে দাঁড়ায় ৭০,০০০কোটি টাকার কম বেশি। সেই প্রতারণার টাকার ১০%বেশি উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ গরমে ভুলেও ছোঁবেন না এই ৫ খাবার! নিমেষে হতে পারে চরম বিপদ! হৃদরোগ, এমনকী মৃত্যুও…জানুন বিশেষজ্ঞের মত
সাইবার দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযোগ পাওয়া গেলেও যখনই তদন্ত নেমেছে সাইবার পুলিশ। প্রথমত তারা দেখেছে সেই প্রতারকদের IP Address বিদেশি। যেমন দুবাই, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের। রাজ্যের সাইবার আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তান কিংবা ওই জাতীয় যে সমস্ত দেশ রয়েছে, সেখানে ওই IP সংক্রান্ত কোনও চিঠি লিখলে তার উত্তর পাওয়া যায় না। যার ফলে ওই প্রতারকদের নাগাল পাওয়া যায় না। সাইবার ক্রাইম আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রতিবছর ১৫-২০% হারে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সারা দেশের মধ্যে বছরে পশ্চিম বঙ্গে বছরে ৮০,০০০ এর বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে। যে অভিযোগ কলকাতা, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, বাঁকুড়া এই ধরনের রাজ্যের ছোট বড় শহরগুলির থেকে হচ্ছে। এছাড়াও সারা বাংলার অভিযোগ রয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা গ্রাম বাংলাকে অপেক্ষাকৃত কম টার্গেট করছে।
তবে এখন প্রশ্ন সমস্ত নথি কী করে পাচ্ছে অপরাধীরা? এক্ষেত্রে এক সাইবার দফতরের আধিকারিকের বক্তব্য, এই সমস্ত তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন এজেন্ট মারফত লোন দেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের গোপন নথি জোগাড় করে। যেগুলি সাইবার প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফলে সাইবার প্রতারকদের ফোন ৮০% বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে ওদের শিকারদের কাছে। তবে এ পর্যন্ত যে সমস্ত সাইবার অপরাধী ধরা পড়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে।