'সব আছে, প্রাণের মানুষটা নেই' একডালিয়ার পুজোয় এসে স্মৃতিমেদুর মমতা, কী বললেন?

Mamata Banerjee: ‘সব আছে, প্রাণের মানুষটা নেই’ একডালিয়ার পুজোয় এসে স্মৃতিমেদুর মমতা, কী বললেন?

কলকাতা: শুক্রবার, দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ার  দিনে একডালিয়া এভারগ্রীনের পুজোর উদ্বোধনে এসে স্মৃতিমেদুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার এই বিপুল জনপ্রিয় পুজো ঘিরে ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করে ফেললেন তিনি। বললেন, “অনেক স্মৃতি ভেসে আসে এখানে এলে।” অন্যান্য বারের মতো এবারও মমতার স্মৃতিপটে ভেসে এল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা। একডালিয়ার পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকত তাঁরই নাম। এ দিন, আরও একবার সুব্রতকে স্মরণ করেই পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ভারী বৃষ্টিতে ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’! হুহু করে জল ছাড়া DVC-র কতগুলি লকগেট আছে, জানেন?

২০১০ সালের পুরভোটের সময় কংগ্রেস ছেড়ে ফের সুব্রত যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রতীকেই বালিগঞ্জের বিধায়ক হন। মমতার প্রথম মন্ত্রিসভায় জায়গাও হয় তাঁর। কলকাতায় এসে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করার সময়েই তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন গড়িয়াহাট এলাকার একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ক্লাব’ নামেই পরবর্তীতে পরিচিত হয়ে ওঠে। একডালিয়ার দুর্গাপুজোকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যে পুজো এখনও থিমের স্রোতে গা ভাসায়নি। সুব্রতের বিশ্বাস ছিল, থিমের কারণে পুজোর আসল গরিমা ম্লান হয়ে যায়। তাই প্রতিযোগিতার দৌড়ে না গিয়ে সাবেকি পুজোতেই একডালিয়াকে এভারগ্রিন রাখতে চেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- কোন বাঙালি খাবার খেয়ে নিটোল যৌবন ধরে রাখেন জাপানিরা? জানেন সেই সিক্রেট?

মমতা বললেন,”সুব্রতদা নেই ভাবতে পারি না। একসময় কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতাম। প্রতিদিন পালা করে সকাল ৯ টায় বাড়ি আসতাম। দুর্গাপুজোর আসার ১ মাস আগে থেকে নবান্নে এসে বসে থাকত, কবে যাবি বল।। আজ সব আছে প্রাণের মানুষটা নেই।” মমতা সুখস্মৃতি টেনে আরও বলেন, “এখানে আসলে অনুরোধ থাকতো স্তোত্র পড়তে হবে। বললে তো অনেকে ভুল ধরে। এক শাস্ত্রের কথা আছে। পঞ্জিকার অনেক মত আছে। চন্ডীপাঠ-এর অনেক মত আছে। ন্যারেটিভ পার্ট আজ তো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স!”

এর পরেই বাংলা সদ্য ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি খুশি বাংলাকে ক্লাসিকাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১০ বছর ধরে ফাইট করেছি। আমি খুশি। আমি গবেষণা করে দিয়েছিলাম। আমাদের গবেষণা পত্রকে অস্বীকার করতে পারেনি।”