বাঁশ শিল্প

Purulia News : থিমের বাজারে কদর কমেছে বাঁশ শিল্পীদের , মন ভার তাদের!

পুরুলিয়া : পুজোর বাদ্দি বেজে উঠেছে। চারিদিকে কাশফুলের দোলা। ‌ মাতৃপক্ষের সুচনা হয়ে গিয়েছে। বঙ্গবাসী মেতে উঠেছে শারদ উৎসবে। কিন্তু এই উৎসবের মাঝেও বিষাদের সুর আড়শা ব্লকের কাঞ্চনপুর গ্রামের মাহালী পাড়ায়। থিম ও প্লাষ্টিকের বাজারে কদর নেই বাঁশের কাজের। তাই পুজো এলেও মন্ডপ তৈরির জন্য ডাক পড়েনা বাঁশ শিল্পীদের। আগের মত আর তাদের শিল্পের চাহিদা নেই। ‌ তাই মন ভার তাদের।

প্রসঙ্গত , আড়শা ব্লকের কাঞ্চনপুর গ্রামের ৪০-টি মাহালী পরিবার বংশ পরম্পরায় বাঁশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দুর্গাপুজোর সময় তাদে শিল্পীদের কদর বাড়ে। মন্ডপ শয্যায় তাদের ব্যাপক চাহিদা থাকে। বাঁশের নানা কারুকার্যে তাদের হস্তশিল্প সাজিয়ে তুলতো মন্ডপকে। এইসময় শিল্পীরা নাওয়া খাওয়ার সময় পেতনা। কিন্তু কাল ক্রমে থিমের পুজোর দাপটে তাদের দর কমে যাচ্ছে। আগের মত আর চাহিদা নেই এই শিল্পীদের। পুজোর বরাতও কম মিলেছে। বড় বাজেটের কমিটির উদ্যোক্তারা এখন মন্ডপ তৈরির জন্য প্রথাগত বাঁশ শিল্পীদের ডাকেন না। তাই বিভিন্ন পেশার কাজে যুক্ত শিল্পীরা পুজোতে ব্যস্ত,তখন বাড়িতে বসেই কুলো, ঝুঁড়ি,টোকিয়া,ডালা বুনতে ব্যস্ত কাঞ্চনপুরের মাহালী পরিবার গুলো।

আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার জয়পুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো, দেড় কেজি সোনায় তৈরি মায়ের মূর্তি

এ বিষয়ে বাঁশ শিল্পীরা বলেন , পুজো এলেই তাদের ভিন রাজ্য থেকে ডাক আসত। পরিবারে সকলে একসঙ্গে যুক্ত হয়ে বাঁশের কাজ করত। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। তাই এই সময় পুজোর সময় বাড়তি রোজগারের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তারা। থিমের বাজারে আর এখন তাদের ডাক পড়েনা। পুজোর মাঝেও বিষাদের সুর শিল্পীদের গলায়। ‌

আরও পড়ুন : অষ্টমী হোক বা দশমী, এই দোকানে গেলেই জলের দামে পাবেন পুজোর সেরা ট্রেন্ডিং পাঞ্জাবি, কোথায় জানেন?

একটা সময় ছিল পুজো মন্ডপ সাজানোর জন্য এই শিল্পীদের ডাক আসতঝাড়খণ্ডের রাঁচি, ধানবাদ, বোকারো থেকে। এখন সময় বদলেছে। বদলেছে পরিস্থিতি, মানুষের রুচি, ধ্যান, ধারণা। বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র দিন এখন নেই। জায়গা দখল করেছে থিমের পুজা, প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র। যার প্রভাব পড়েছে বাঁশ শিল্পের সঙ্গেযুক্ত শিল্পীদের। উৎসবের দিনেও মুখে হাসি নেই তাদের।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জ