পাঁচমিশালি Healthy Lifestyle: বনে-বাদাড়ে পড়ে থাকে অবহেলায়… ফলটা খেয়ে পাতাটা ফেলে দেন, সেটাই কিন্তু যৌবনের খনি! অবহেলার সবজিই পুষ্টির ভান্ডার Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk ডুমুরকে খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। এই ফল খেলে শরীরের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি ডুমুর খান আর তার পাতাটা যখন ফেলে দেন তখন ভালর বদলে কতটা বড় নিজের ক্ষতি করে ফেলেন৷ আজ আপনাকে ডুমুর পাতার উপকারিতা জানাব৷ যা শরীরের দারুণ উপকারী৷ বনে বাদাড়ে হয়ে থাকে ডুমুর। খেতে একটু কষা। কিন্তু ভাল করে রান্না করলে ডুমুরের তরকারি মন্দ লাগে না। এটি খেলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই ফল বা সবজি বন্ধ্যাত্ব এড়াতে পারে সহজেই। এই পাতা চওড়া এবং আকারে বড়। ডুমুর পাতায় ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং কপার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। ডুমুর পাতা খেলে অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এলাহাবাদের চিকিৎসক নরেন্দ্র শর্মা এই পাতার একাধিক গুণের কথা জানিয়েছেন৷ যদি আপনার হাড় দুর্বল হয় তবে আপনার ডুমুর পাতা খাওয়া উচিত কারণ এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। ডুমুর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। এটি হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করে। এই পাতা খেলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় না৷ ডুমুর পাতা অ্যান্টি-এজিং গুণে পরিপূর্ণ। এটি ত্বকে বলিরেখা হতে দেয় না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার মুখকে ব্রণর দাগ এবং যে কোনওরকম দাগ হওয়া থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। ডুমুর পাতায় ওমেগা-৩ এবং ওমেগা ৬ পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সাহায্য করে। এটি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যেতে পারে৷ ডুমুর পাতায় এমন পদার্থ উপস্থিত থাকে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে। চা পান করার কারণে যদি কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন, তাহলে ডুমুর পাতা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ডুমুর পাতায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়। ওজন কমাতে চাইলে ডুমুর পাতার চা খেতে হবে। এতে ফাইবার পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডুমুর পাতার চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে। এর সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।