নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে থমথমে জয়নগর, ঘেরা হল পুলিশ ক্যাম্প, ময়নতদন্ত হবে রবিবারই!

Jaynagar Child Murder: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে থমথমে জয়নগর, ঘেরা হল পুলিশ ক্যাম্প, ময়নতদন্ত হবে রবিবারই!

জয়নগর: ন’বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ঘিরে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর। রবিবারও থমথম করছে এলাকা।মহিষমারি বাজারে কিছু দোকানপাট খুলেছে সকালে। শনিবার দিনভর দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এই মহিষমারি বাজার এলাকায়। তার পরই বসেছে পুলিশ ক্যাম্প। সেই পুলিশ ক্যাম্প ঘিরেও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সঠিক সময় তদন্ত শুরু করলে নাবালিকার এই পরিণতি হত না, এমন দাবি করে শনিবার বিক্ষোভ দেখান জয়নগরের মহিষমারির বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের মারে জখম হন ১২ জন পুলিশকর্মী। ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বারুইপুরের এসডিপিও-কেও। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। কয়েকঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরই বালিকাকে খুনের কথা জানা যায়৷ মূল অভিযুক্তের যাতে ফাঁসি হয়, পুলিশ সেই চেষ্টাই করবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা৷ রবিবারই ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা নাবালিকার দেহের।

আরও পড়ুন- কোনও অস্বচ্ছতা নয়! আবাস যোজনার সমীক্ষার জন্য বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারী চাইল পঞ্চায়েত

শুক্রবার রাতে কুলতলির কৃপাখালির হালদার পাড়া এলাকার একটি ক্ষেতের আলের ভিতর থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়৷ সন্ধে থেকে নিখোঁজ ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কুলতলি৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করে স্থানীয় মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ স্থানীয়দের আরও ক্ষোভের কারণ, বালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযোগ জানাতে গেলে কোন থানায় অভিযোগ দায়ের হবে, তা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি শুরু করে কুলতলি এবং জয়নগর থানা৷

আরও পড়ুন- এই গান গাইতে গিয়ে গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল সোনু নিগমের! ২৭ বছর পরেও তা সুপারহিট!

যদিও বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র মণ্ডল দাবি করেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওই বালিকা বাবার দোকানে যায়৷ রাত ৮টা নাগাদ বালিকার বাবা বাড়ি ফিরে শোনেন মেয়ে বাড়ি ফেরেনি৷ এর পর বালিকার খোঁজ শুরু করে পরিবার৷ শুক্রবার রাত ১২.৩০টা নাগাদ অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। বালিকার বাবার সঙ্গে ফাঁড়ির এএসআই সবসময় যোগাযোগ রেখেছিলেন। শিশুর দেহ উদ্ধার হয় রাত ২.৫০ নাগাদ। দায় ঠেলাঠেলির কোনও বিষয় নেই। আমরা পরিবারকে পুরো সহযোগিতা করেছি। আমরাও চাই যে অভিযুক্তের ফাঁসি হোক। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও তদন্ত হবে বলে দাবি করেছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি৷

পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ওই বালিকার এক বন্ধুর থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ মেলে৷ এর পর রাতেই মূল অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বালিকাকে খুনের কথা জানা যায়৷ এর পরই ৯ বছরের ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷