Tag Archives: Jaynagar

লোকসভার ভোটের আগে ভাইরাল বাউলের কাণ্ড! দেখুন ভিডিও

নির্বাচন কমিশনার তরফ থেকে এ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে শেষ দফাতে হবে ভোট অর্থাৎ আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় জয়নগর এসসি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। এবার ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য অবাক কাণ্ড বাউলের।

Dol Utsav 2024: ২০০ বছর ধরে সাত সতীন একসঙ্গে দোল খেলে জয়নগরে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার :  সাত সতীনের ঝগড়া মেটাতেই শুরু হয়েছিল এই উৎসব প্রায় ২০০ বছরের পুরানো এই দোল উৎসবের রেওয়াজ। আজও সেই ঐতিহ্য মেনে পালিত হয় দোল। দক্ষিণ বারাসাতে আজও পরম্পরা মেনে চলে আসছে সাত সতীনের দোল খেলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, শীতকালের অতি প্রিয় মোয়ার নামেই বিখ্যাত এই জায়গা। তবে এই জায়গায় রয়েছে এক বিখ্যাত দোল পূর্ণিমা উদযাপনের রীতি। আজ থেকে প্রায় দুশো বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হয়েছিল এই দোল উৎসবের রেওয়াজ। আজও সেই ঐতিহ্য নেই এখানে পালিত হয় সাত সতীনের দোল।

আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভের সঙ্গে রঙের উৎসব, হোলির আনন্দে মাতল সুন্দরবনবাসী

সময়টা ১৮২০ সাল। জয়নগরে তখন বিখ্যাত সাত জমিদারি পরিবারের বাস। ব্যবসা, জমি জমা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি অশান্তি লেগেই থাকতো এদের মধ্যে। এরকম সময় এই সাত পরিবারের জমিদারেরা ঠিক করেন মিলন উৎসব করার। সমস্ত বিবাদ ভুলে দোল উপলক্ষ্যে তারা মিলনের রঙে মেতে ওঠেন। এর আগে অবশ্য এই সাত জমিদারির মধ্যে যা কিছু নিয়েই চলত অশান্তি। ক্ষমতার লড়াই, দেখনদারির লড়াই। ব্রিটিশ আমলে এই জমিদারদের মধ্যে ঝগড়া গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। যদিও বিচারক নির্দেশ দেন, ঝগড়া নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হবে। সেখান থেকেই শুরু এই মিলনের দোল উৎসবের।

আরও পড়ুন: নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে সীমান্তে রঙের উৎসবে মাতল খুদেরা

ঠিক যেমন সতীনে-সতীনে ঝগড়া লেগে থাকে, তেমনই এই জমিদারদের মধ্যেও ঝগড়া লেগে থাকত সেই থেকে এই দোল উৎসবের নামকরণ করা হয় ‘সাত সতীনের দোল’ নামে। এই সাতটি দোল-মঞ্চ ছিল মোদক পরিবার, আচার্য পরিবার, মুহুরী পরিবার, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার, চক্রবর্তী পরিবার, চৌধুরী পরিবার, ও বোস পরিবার-এর। যদিও বর্তমানে সেই সাত পরিবার থেকে কোন পাঁচ পরিবারে এসে ঠেকেছে এই উৎসবের রেওয়াজ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রতিবছর দোলের আগের রাতে চাঁচর উৎসবের মাধ্যমেই শুরু হয় দোল।

সুমন সাহা

Bengali News: ছুটে এসে জুতোর দোকানে ঢুকে গেল গাড়ি! তখন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা, তারপর…

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘটতে পারত মারাত্মক কিছু। কিন্তু বরাতে জোরে বেঁচে গেল বেশ কয়েকটি প্রাণ। জয়নগরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি জুতোর দোকানে ঢুকে পড়ল গাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ওই দোকানের ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের প্রথম সাফল্য পেল সন্দেশখালি! এইটা পেয়ে খুশি বেড়মজুরের মানুষ

জয়নগর রথতলায় একটি জুতো দোকানে সেই সময় জুতো কিনবেন বলে বাছাই করছিলেন এক মহিলা সহ তিনজন। তাঁরা যখন জুতো পছন্দ করতে ব্যস্ত ঠিক তখনই আচমকা কুলপি রোড থেকে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে এসে ওই দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে গাড়িটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের গা ঘেঁষে দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায়। একটু এদিক-ওদিক হলে একাধিক প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ওই জুতো দোকানে দৌড়ে আসেন এলাকার বাকি দোকানদাররা। দৌড়ে আসে সিভিক ভলেন্টিয়ারের দল‌ও। সকলের প্রচেষ্টায় গাড়িটিকে রাস্তার উপরে টেনে তোলা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে খবর পেয়ে জয়নগর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সুমন সাহা

জয়নগরে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকায় খরচে হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, যেন ভুতুড়ে বাড়ি। ভবন থাকলেও নেই তার ছাদ। এই অব্যবস্থার কারণে বন্ধই হয়ে গিয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এবার সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব গাববেড়িয়ায় হবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকায় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ হবে। ১০টি বেড থাকবে। দু’একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন- একান্তে প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবেন? জেনে নিন সেরা চার পার্কের ঠিকানা

এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় মানুষকে ৮ কিলোমিটার দূরে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটতে হয়। অথবা ২০ কিলোমিটার দূরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয় চালতাবেড়িয়া, বামুনগাছি, চন্দনেশ্বর ধোসা- গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষকে।

নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবিতে নাগরিকরা বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, কয়েক র বছর আগে বিধ্বংসী ঝড়ের দাপটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ছাদ ছিল না, দেওয়ালে ফাটল ধরে একাংশ ভেঙেও গিয়েছিল। এই বেহাল অবস্থার কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়।

আরও পড়ুন- প্রথম বাঙালি রেলযাত্রীর জন্মস্থান, রেল যোগাযোগের দাবিতে সরব সাংসদ! কে সেই বাঙালি

বিধায়ককে সমস্যা জানানোয় তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২ জন চিকিৎসক ২ জন নার্স দিয়েই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হবে। পরবর্তীকালে পরিষেবা আরও বাড়ানো হবে।

সুমন সাহা

Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসে জয়নগরের মোয়ার জয়জয়কার রেড রোডে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আজ সারা ভারতবর্ষ জুড়ে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। সেই মতো আজ কলকাতার রেড রোডে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। আর এই প্রজাতন্ত্র দিবসে শোভা‌যাত্র বাংলা চিত্র ফুটে উঠে র‍্যালির মাধ্যমে। আর এবারের শোভাযাত্রা প্রথম সারিতে ছিল জি আই তকমা প্রাপ্ত জয়নগরের মোয়া। ভারতের প্রথম জিআই ট্যাগ পায় পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং চা।  রেড রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দুর্গাপুজো নিয়ে বিশেষ ট্যাবলো। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মা দুর্গা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়ন শীর্ষক বাংলার ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছিল। একইসঙ্গে ছৌ নাচ, বাউল গান, জঙ্গলমহলের শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এরই পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত জিআই স্বীকৃত পণ্যগুলি নিয়ে শোভাযাত্রা হয়।

আরও পড়ুন: আবারও বাঘ আতঙ্কে ঘুম উড়ল পাথরপ্রতিমার বাসিন্দাদের

এবছর পাঁচটি নতুন পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।আজ এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জয়নগরের বিভিন্ন মোয়া ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মোয়ার কারিগরেরা। এদিন সমস্ত মোয়া ব্যবসায়ীর সকলেই ধুতি পাঞ্জাবি পরে এই রেড রোডে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার কোথাও তে লেখা ছিল আমরা গর্বিত বাংলার ধন্য এই জয়নগরের মোয়া। সূত্রের খবর,শোভাযাত্রার করার একটাই উদ্দেশ্য মানুষ জানতে পারবেন বাংলার কোন পণ্যগুলি জিআই তকমা পেয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেই পণ্যগুলি কোথায় পাওয়া যাবে। এমনকী সেটার ইতিহাসও জানা যাবে।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: রাতের অন্ধকারে পুড়ে ছাই গোটা বাড়ি! হঠাৎ আগুন কীভাবে? পরিবারের অভিযোগে রহস্যের গন্ধ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে এবার গৃহস্থবাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জয়নগর থানার অধীন রাজাপুর-করাবেগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁটরা গ্ৰামে। আর এই আগুন জাকির মণ্ডলের বাড়িতে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতেই জাকিরদের সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতা ছিল প্রতিবেশী কয়েকজনের। সেই সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে বিবাদ। মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে সপরিবার ঘুমিয়ে পড়েন জাকির মণ্ডল। রাত ১টার পর তাঁদের ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ।

আরও পড়ুন: সোনুর গলায় ফের বাংলা গান, তথাগতর ছবিতে পথকুকুরদের জন্য হুংকার ছাড়লেন বলিউড গায়ক

প্রতিবেশীরাই দেখতে পান যে মণ্ডলদের বাড়িতে খড়ের চাল দাউ দাউ করে জ্বলছে। এরপর গ্রামবাসীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে এবং গ্রামবাসীরাই মণ্ডল পরিবারের সঙ্গে জল দিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। যদিও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে বাড়িটি।

বিষয়টি ইতিমধ্যেই জয়নগর থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত আছে, তার তদন্ত শুরু করেছে থানার পুলিশ।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News : জয়নগরের স্কুলছুট রুখতে পথে নামলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগর উত্তর চক্রের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাড়ছে স্কুলছুট। এতে উদ্বিগ্ন স্কুল পরিদর্শক। স্কুলছুট রুখতে পড়ুয়াদের র‍্যালিনিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সচেতনতার প্রচার সারলেন পরিদর্শক। যেসব স্কুলে পড়ুয়া কম, এই প্রচার যাতে সেখানেও হয় তার জন্য সাত থেকে দশটি স্কুলে নোটিস পাঠানহবে। জানালেন পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন, এই প্রচারে স্থানীয় পঞ্চায়েতকেও শামিল করা হবে। শুধু স্কুলে নোটিস পাঠিয়েই প্রচারে জোর নয়, প্রয়োজনে শিক্ষকদের নিয়ে অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে। খুঁজে দেখতে হবে, পড়ুয়াদের স্কুলে না যাওয়ার কারণগুলি। আমাদের লক্ষ্য, তাদেরকে স্কুলে অবিলম্বে ফেরাতেই হবে।

আরও পড়ুন: ২০ বছর পর আলো জ্বলল এই এলাকায়

জয়নগরের ব্যানার্জি আবাদ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলছুট ঠেকাতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গ্রামে র‍্যালি বেরোয়। পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল ‘বিদ্যালয়ে যাই, শিক্ষার আলো পাই’। কিছু প্ল্যাকার্ডে আরও ছিল ‘বিদ্যালয়ে যাই, মিড ডে মিল খাই’। এই সচেতনতার প্রচারে সংশ্লিষ্ট চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধানও সামিল হন।
সূত্রের খবর, জয়নগর উত্তর চক্রের হাটছাড়া সোনামণি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলিয়াচণ্ডী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গোদাবর বাঁশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝিকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১০টি স্কুলে স্কুলছুট বেড়েছে। স্কুল পরিদর্শক বলেন, একসময় ব্যানার্জি আবাদ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রসংখ্যা ছিল শ’তিনেক কিন্তু সেটাই এখন খাতায়-কলমে এসে ঠেকেছে মাত্র ১৪২ জনে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আমাদের লক্ষ্য, ছেলেমেয়েদের স্কুলে ফিরিয়ে সংখ্যাটিকে অন্তত ২৫০ করা। অধিকাংশ স্কুলেই ছাত্রছাত্রী কমে গিয়েছে ৫০ শতাংশের আশপাশ। তাদের স্কুলমুখী করতেই এমন উদ্যোগ।

সুমন সাহা

নবীন প্রজন্ম বিমুখ! হারিয়ে যাওয়ার পথে এই পেশা

কাঁচের লেন্সের বদলে এখন ফাইবারের ব্যবহারই বেশি। যে দু’তিনটি কারখানা কোনও রকমে টিকে আছে, সেগুলিও কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। নতুন প্রজন্ম আর এই কাজে আসছে না বলে জানালেন প্রবীণেরা।

Bangla News: পোড়া ঘরে ছাই হাতড়ে বইয়ের পাতা খুঁজছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! ঘটনা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে!

দক্ষিণ ২৪পরগনা: দলুয়াখাকির সেই ঘটনার পর আরও অনেকেই এলাকা ছাড়েন। এতদিন পর এলাকায় ফিরে আধপোড়া ঘরের আনাচ কানাচে হাতড়ে বেড়াচ্ছিল বছর পনেরোর মেয়েটি। মাঝে মাঝে চোখ মুছছে। কী খুঁজছ, উত্তর নেই মুখে। খানিকক্ষণ পরে কয়েকটা ঝলসে যাওয়া কাগজ হাতে তুলে বলল, অঙ্ক বইয়ের পাতা। আলিমা লস্কর ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শনিবার থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু। জয়নগরের চালতাবেড়িয়া হাই স্কুলের ছাত্রী আলিমা লস্কর পড়াশোনায় বরাবরই ভাল। এ বার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা তার। প্রস্তুতিও চলছিল জোর কদমে। তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ঘটনা। পুড়ে ছারখার হল বাড়ি তার সঙ্গে এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।

সোমবার জয়নগরের গ্রামে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের পরে স্থানীয় দলুয়াখাকি গ্রামে বেশ কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেন পুরুষ সদস্যেরা। মহিলা-শিশুরা আশ্রয় নেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। সেখান থেকেই বাড়ি ফিরেছেন আলিমাদের মতো অনেকে। কিন্তু ঘরদোর সব ছারখার হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: এই তেতো পাতাতেই ভাল থাকবে লিভার থেকে হার্ট! ডায়াবেটিসেও মুক্তি! জানুন চিকিৎসকের মত

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট পরীক্ষা। আলিমা বলে, খুঁজে দেখছিলাম, কোনও বই আস্ত আছে কি না। দু’চারটে পাতা উদ্ধার করতে পারলাম। তবে সে সব আর পড়ার মতো অবস্থায় নেই। আলিমার মা মর্জিনা বলেন, দর্জির কাজ করে অনেক কষ্টে মেয়েটাকে পড়িয়েছি। বইপত্র কিনে দেওয়াটা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে সহজ ছিল না। মেয়েটা যদি এ বার মাধ্যমিকে বসতে না পারে, এত দিনের সব চেষ্টা, সব লড়াই বিফলে যাবে।

সুমন সাহা