নয়াদিল্লিঃ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। আপাতত নয়াদিল্লিতে এসেছেন মুইজ্জু। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশরি জানিয়েছেন, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সেই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে তা গ্রহণ করেছেন মোদি। এদিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, মুইজ্জুর অতিথি আপ্যায়ণ করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ড. মোহামেদ মুইজ্জুকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আমি যারপরনাই আনন্দিত। আমাদের আজকের আলাপ-আলোচনায় আমরা আর্থিক যোগ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ উন্নত করার কৌশল সম্পর্কে কথা বলেছি। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, জল সম্পদ, মৎস্য এবং আরও নানা বিষয়ের মতো সেক্টরে কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও কথা হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ ভাইফোঁটায় ফোঁটা দেওয়ার সময় এই কয়েকটি কাজ ভুলেও নয়! ভাই-দাদার মঙ্গলের জন্য জানুন সঠিক পদ্ধতি
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে দুই রাষ্ট্র নেতাই একটি নীতি গ্রহণ করেছেন – ‘India-Maldives: A Vision for Comprehensive Economic and Maritime Security Partnership’। মূলত আর্থিক উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা উন্নত করাটাই হল এর লক্ষ্য। আর মলদ্বীপের উপকূলরক্ষী জাহাজ হুরাভি বিনামূল্যে মেরামত করতেও রাজি হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে সরকারি চাকরির বিরাট সুযোগ! নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আজই জেনে আবেদন করুন
মলদ্বীপে রুপে কার্ড চালু করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। আর এটি চালু হওয়ার ফলে আর্থিক সংযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। এখানেই শেষ নয়, হানিমধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন রানওয়ে উদ্বোধনের বিষয়েও কথা হয়েছে। এক্সিম ব্যাঙ্কের বায়ার্স ক্রেডিট ফেসিলিটির আওতায় সাতশোটিরও বেশি হাউজিং ইউনিট তুলে দেবে ভারত, এমনই আলোচনা হয়েছে সেখানে। এই বৈঠকের আগে মুইজ্জুকে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার আগে মুইজ্জুকে ত্রি-সেবা গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বর মাসেই ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। ফলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটাই তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় ভারত সফর। যদিও জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের সময় ভারতে এসেছিলেন তিনি। এমনিতে এটা শোনা যায়, চিনের প্রতি একটু বেশিই ঝোঁক রয়েছে মুইজ্জুর। এরপর তিনি যখন গত নভেম্বরে ক্ষমতার শীর্ষে আসেন, তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল।