হরিয়ানাঃ জিলিপি কি তেঁতো? না। এমন রসালো মুচমুচে মিষ্টি আর হয় না। তবে হরিয়ানার রাজনীতিতে এখন এই জিলিপিই নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিল কংগ্রেস। গণনা শুরু হতেই মিষ্টি বিতরণ শুরু করে দেন কর্মীরা। বাজতে থাকে ঢোল, নাকারা। কিন্তু দিন যত গড়ায় স্পষ্ট হয়ে যায়, এবারও সরকার গড়বে বিজেপিই।
কিন্তু এর সঙ্গে জিলিপির কী সম্পর্ক? আসলে হরিয়ানার নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রায় সব জনসভাতেই মাতু রামের জিলিপির কথা বলতেন রাহুল গান্ধি। মাতু রামের জিলিপি নামকরা। গোহানায় তাঁর মিষ্টির দোকান।
আরও পড়ুনঃ যেন ডাঙায় ডলফিন! কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারবাস বেলুগা এক্সএল
গোহানার নির্বাচনী সমাবেশে মাতু রামের দোকান ‘হালওয়াই’-এর একবাক্স জিলিপি দেখিয়ে রাহুল বলেছিলেন, গাড়িতে আসার সময় এই জাম্বো সাইজের জিলিপি খেয়ে তিনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। দলের নেতা এবং বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে মেসেজ করে জানিয়েছেন সে কথা।
রাহুলের কথায়, “জীবনে এত ভাল জিলিপি কোনওদিন খাইনি। (কংগ্রেস নেতা) দীপেন্দর আর বজরং পুনিয়াজিকে বললাম, এই জিলিপিকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’ আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করলে অনেক কর্মসংস্থান হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।
কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে না। নোটবন্দি, জিএসটি করে তিনি মাতু রামকে চক্রবুহ্যের ফাঁদে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু শিল্পপতিদের ফান্ড দেন, মাতু রামের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নয়, বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল।
এই নিয়ে ট্রোল শুরু হয়। অনেকেই বলেন, গরম গরম জিলিপি টাটকা খেতে হয়। বাসি নয়। হরিয়ানার রাজ্য বিজেপি কটাক্ষ করে বলে, গোটা দেশের মনোযোগ টানতে হরিয়ানার জিলিপির আকার নিয়ে মজা করছেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র সিং হুডা পাল্টা বলেন, “৮ অক্টোবর ভোটের রাজেল্টের দিন বিজেপিকে এই জিলিপি পার্সেল করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
ভোট গণনার দিন পাশা পাল্টে গেল। পরপর তিনবার জয় হাসিল করল বিজেপি। আর তার সঙ্গেই ফের নতুন করে উঠে এল জিলিপি। গণনা শেষ হওয়ার পরই নয়াদিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে এক প্যাকেট জিলিপি পাঠিয়ে দেয় বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করে বিজেপি লিখেছে, “হরিয়ানার বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর বাড়িতে জিলিপি পাঠানো হল।’’ অবশ্য খেতে কেমন লাগল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি রাহুল গান্ধী।