কলকাতা: প্রকৃতির বুকে এমন একটি প্রাণী রয়েছে যারা ভূমিকম্পের আগে টের পেয়ে যায়। অনেকে বলবেন, সেই প্রাণীর নাম কুকুর। কিন্তু এই উত্তর সঠিক নয়।
নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গিরগিটির অতিরিক্ত শ্রবণশক্তি রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরণের কম্পন সনাক্ত করতে সক্ষম করে। এই আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা অন্যান্য সরীসৃপদের একই ক্ষমতা থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- বাঘ-সিংহও ভয় পায় এই নিরীহ প্রাণীটিকে, অথচ মানুষ হত্যা করেই চলেছে!
এই নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের কান এবং শ্রবণ ক্ষমতার বিবর্তন সম্পর্কে আরও বোঝার চেষ্টা করেছেন। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, টিকটিকি কম্পন সনাক্ত করতে শরীরের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে।
একটি নতুন গবেষণার রিপোর্ট বলছে, গিরগিটি কম ফ্রিকোয়েন্সি কম্পন সনাক্ত করতে স্যাকুলস ব্যবহার করে। স্যাকিউল হল গিরগিটির শরীরের ভেতরের কানের একটি অংশ। এটি ভারসাম্য এবং শরীরের অবস্থান বজায় রাখার কাজ করে।
লেখিকা ক্যাথরিন কার, ইউএমডির জীববিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। তিনি বলেন, এই সিস্টেম উভচর প্রাণী এবং মাছের মধ্যে ছিল একটা সময়। এখন তা গিরগিটির মধ্যেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন- ১০, ২০ টাকার নোট বেশিরভাগ ছেঁড়াফাটা, এবার বাজার থেকে উধাও হবে আরও এক নোট!
Sacule সাধারণত 50 এবং 200 Hz এর মতো ক্ষীণ কম্পন সনাক্ত করতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, স্যাকিউল কিন্তু সব সরীসৃপের মধ্যে নেই।
ইউএমডির পোস্টডক্টরাল গবেষক এবং স্নাতক ছাত্র, গবেষণার প্রধান লেখক ডেভি হ্যান বলেছেন, গিরগিটির স্যাকুলের ভূমিকার আবিষ্কার অন্য প্রাণীদের মধ্যে যোগাযোগ এবং আচরণ সম্পর্কে বোঝার দিকে পরিচালিত করতে পারে।