কলকাতা RG Kar Case-CBI: ঘটনাস্থলে কী কী এমন মিলেছিল! আরজি করের সেই রাতে যা ঘটে, চার্জশিটে ভয়ঙ্কর তথ্য দিল সিবিআই Gallery October 9, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সঞ্জয় রায়কেই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক রিপোর্ট তুলে ধরে তার সাপেক্ষে একাধিক বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সঞ্জয়ের লালা এবং দেহরসের নমুনা যেমন ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনার সঙ্গে যেমন মিলে গিয়েছে, তেমনই অপরাধস্থলে পাওয়া চুলও সঞ্জয়েরই। শিয়ালদহ আদালতে মোট ৪৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে ১২৮ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহের কথা উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি, ৯০টি নথির উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। অপরাধস্থল এবং সংলগ্ন জায়গায় থেকে পাওয়া ৬৫টি সামগ্রীর তালিকার উল্লেখও রয়েছে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণের উল্লেখও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে উল্লেখ সঞ্জয়ের বাজেয়াপ্ত পোশাকে রক্তের দাগ মিলেছে। এছাড়াও যে ব্লুটুথ ইয়ারফোন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়, সেটি সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকেও। সঞ্জয়ের শরীরে মেলা ক্ষতচিহ্ন, সেগুলি নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয়। বিকৃত মানসিকতার জন্য খুন করে সঞ্জয়। চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ, সঞ্জয় বিকৃত মানসিকতার শিকার। মত্ত অবস্থায় এসে ধর্ষণ ও খুন করে সে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণ, ৬৬ ধারায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আঘাতে মৃত্যু, ১০৩ (১) ধারায় খুন- এই তিন ধারা উল্লেখ রয়েছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। গত ৯ অগাস্ট ভোর রাতে আরজি কর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছিল৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চার্জশিটে রীতিমতো সময় উল্লেখ করে সেদিন আরজি কর হাসপাতালে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি কী ছিল, তা জানিয়েছে সিবিআই৷ শুধু তাই নয়, নির্যাতন এবং খুনের আগে ওই মহিলা চিকিৎসকও কী করেছিলেন, চার্জশিটে তারও বর্ণনা দিয়েছে সিবিআই৷