মুর্শিদাবাদ: বিজয়া দশমী তে মা দুর্গার উমা ফেরার পালা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গঙ্গা ভাগীরথী নদীর ঘাটে চলল প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব।
রবিবার বিকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কলেজ ঘাটে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে চলেছিল প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। বহরমপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গার ঘাটে লোহার পাতি দিয়ে এই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিজয়া দশমী মানেই মন খারাপ বাঙালির। আবার অপেক্ষা এক বছরের তবু, বছরের এই শেষ দিনটায় একটুও মন খারাপ করে থাকতে রাজি নন শহরবাসী ৷ চেটেপুটে দশমীতেও আনন্দ করছেন সকলে। আবার অপেক্ষা এক বছরের৷ তবু, বছরের এই শেষ দিনটায় একটুও মন খারাপ করে থাকতে রাজি নন মুর্শিদাবাদ জেলাবাসী৷
চেটেপুটে দশমীতেও আনন্দ করছেন সকলে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যাতে গঙ্গার ঘাটে কোনওরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়৷ সেই কারণে বহরমপুর থানার পুলিশের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থাও। বহরমপুর শহরের বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক পুলিশ ৷
দশমীর সকালে দর্পণে বিসর্জনের পর মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মাতলেন মহিলারা। এদিন মাকে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। যা দেখা যায় বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে সেই ছবি। অন্যদিকে সমস্ত ঘাটেই মোতায়েন আছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বহরমপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বহরমপুরের ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয় এই বিসর্জন পর্ব। এবছর বহরমপুর পৌরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই বছর যেসব পুজো কমিটি প্রতিমা নিয়ে আসছেন তাঁঁরা গঙ্গার পারে এসে বিসর্জনে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ সেরে প্রতিমাকে তুলে দিচ্ছেন একটি ট্রলিতে। এখান থেকে প্রতিমাকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গার জলে।
আস্তে-আস্তে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে। বিসর্জনের ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবেলার টিম এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
কৌশিক অধিকারী