Tag Archives: Durga Pujo 2024

Durga Puja 2024: রঙিন কাগজ কেটে তার উপর নকশা! ১ ফুটের দুর্গা মুর্তি বানিয়ে তাক লাগাল এই খুদে

হাওড়া: দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে সারা ফেলেছে ছোট্ট শোভন! বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজো মানে ৮ থেকে ৮০ বয়সের মানুষের মনে খুশির জোয়ার। এই পুজোর উৎসবকে সামনে রেখে ক্ষুদে শিল্পীর অসামান্য সৃষ্টি। পুজো উপলক্ষে, একদিকে মন্ডপ সেজে উঠছে অন্যদিকে শিল্পালয়ে প্রতিমা তৈরিতে চরম ব্যস্ততা। পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা এ বাংলার মানুষ। এ সময় ছোট্ট প্রতিমা তৈরি করে জেলার মানুষকে তাক লাগিয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর শোভন। এক ফুট উচ্চতার এই দুর্গা মূর্তির সঙ্গে রয়েছে লক্ষ্মী-সরস্বতী গণেশ কার্তিক। বিভিন্ন রঙের কাগজ কাটিং তার উপর রংয়ের নকশা। সহজে বোঝার উপায় নেই এই মূর্তি আসলে কাগজের তৈরি।

আরও পড়ুন: আরগোড়ী সেজোরায়ের বাগানে মণ্ডপে থিম ‘শক্তিদায়িনী ‘

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজের প্রতি অগাধ মনোযোগ শোভনের। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের প্রতি শিশুদের সর্বাধিক আগ্রহ দেখা গেলেও, তাদের থেকে ব্যতিক্রম শোভন। লেখাপড়ার অবসর সময় মানে কাগজ রং পেন্সিল নিয়ে বসে পড়া। মাটি বা অন্যকিছু উপকরণ নয়। সুদর্শন ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয়েছে কাগজ ও রঙের সাহায্যে। শুধুমাত্র কাগজকে সম্বল করে এক ফুটের দুর্গা প্রতিমা। হাওড়া বাগনানের টেঁপুর গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শোভন মাঝি। জানা গিয়েছে বাবা স্বপন মাঝি পেশায় সোনার কারিগর। মা শ্রাবণী মাঝি গৃহবধূ।

আরও পড়ুন: যেন অবিকল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! দোকানে বসেই মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ জুতো বিক্রেতার

ছোট্ট শোভনের এই কৃতিত্বে, পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন সকলেই বেশ আনন্দিত। এই কাজে শুরু থেকে পরিবারের উৎসাহ-তো ছিলই। প্রায় ৭-৮ দিনের প্রচেষ্টায় শোভন তৈরি করে ফেলেছে এক ফুট উচ্চতার মন ভোলানো দুর্গা প্রতিমা। রংবেরঙের কাগজ কাটিং তাতে আঠা দিয়ে জোর দেওয়া। সেই কাগজের উপর রঙ দিয়ে তুলির টান। তাতেই ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গা। এ প্রসঙ্গে শোভনের মা শ্রাবণী মাঝি জানান, লেখাপড়ার অবসর সময়ে কাগজ রং পেন্সিল নিয়েই অধিকাংশ সময় কাটে। এবার এই দুর্গা প্রতিমায় গড়ায় দারুন আনন্দিত সকলে।

রাকেশ মাইতি

Durga Puja 2024: মুর্শিদাবাদেই এবার মায়াপুরের ইসকন মন্দির! বিরাট আয়োজন এই পুজোর থিমে

মুর্শিদাবাদ: দুর্গাপুজো প্রায় চলেই এল৷ কলকাতার মতো মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন মন্ডপেও শুরু হয়েছে থিমের প্রতিযোগিতা। কে কাকে টেক্কা দেবে তার দিকে তাকিয়ে সকলে। তবে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে এই বছর হতে চলেছে নদীয়ার মায়াপুর নতুন ইসকন মন্দির। দিন রাত কাজ করে চলছে মন্ডল সজ্জার কাজ।

৪৩ তম বর্ষে এবছর মুর্শিদাবাদের কান্দি অরবিন্দ স্পোটিং ক্লাবের পুজোর থিম নদিয়ার ‘মায়াপুরের নতুন ইসকন মন্দির’। বছর ভর বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত থাকা এই ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা দেখতে পুজোর দিনগুলোতে মানুষের ঢল নামে কান্দি শহরে।

পুজোর উদ্যোক্তারা আশাবাদী এই বছর তাঁদের পুজোর থিম-মণ্ডপ-প্রতিমা তারিফ কুড়িয়ে নেবে সাধারণ মানুষের।

পুজো কমিটির সদস্য তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘থিমের পুজোর অনন্যতা আমাদের ক্লাবের পুজোকে জেলার অন্যতম সেরা পুজো কমিটির তকমা দিয়েছে। এর আগে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দির, দিল্লির লালকেল্লার আদলে তৈরি মণ্ডপ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিল আমাদের পুজো প্রাঙ্গণে। এবছর সকলের আকর্ষণের কেন্দ্র হতে চলেছে কান্দির ‘মায়াপুরের নতুন ইসকন মন্দির’।’’

পুজোর আগে হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তাই বৃষ্টি মাথায় করেই কান্দি ব্লক রোডে চলছে মণ্ডপ এবং প্রতিমা নির্মাণের কাজ।

ক্লাবের সদস্য তরুণ ব্যানার্জি জানান, ‘‘৪৩ তম বর্ষে এবার আমাদের ক্লাবের প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ দাস। উচ্চতায় প্রায় ১৬ ফুট এই প্রতিমা ইসকন মন্দিরের কৃষ্ণের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিমার গায়ে থাকবে মাটির সাজ। এছাড়াও মণ্ডপের মধ্যে ইসকন মন্দিরের মধ্যে যে মূর্তিগুলো দেখতে পাওয়া যায় যেমন -রাধাকৃষ্ণ, নিমাই, মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, বিষ্ণুর নরসিংহ অবতার-সহ মোট ২৭ টি ছোট ছোট মূর্তি রাখা থাকবে।’’

প্রতিমা নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে দূর থেকে তা মার্বেল পাথরের নির্মিত বলেই মনে হবে পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের দাবি।

থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি হচ্ছে ইসকনের নতুন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মণ্ডপটি উচ্চতায় প্রায় ৭০ ফুট এবং ১৩০ ফুট চওড়া। কান্দির এই পুজো কমিটির এবছরের আলোকসজ্জা নজর কাড়বে সাধারণ মানুষের।

মণ্ডপ সংলগ্ন পুকুরটিকে আলোর মালা, ফোয়ারা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। নজরকাড়া আলোকসজ্জা থাকবে মণ্ডপের আশেপাশে। ফলে পুজোর সমস্ত দিন সাধারণ দর্শকদের ভাল ভিড় হবে বলেই আশাবাদী ক্লাবের সদস্যরা।

কৌশিক অধিকারী

Durga Puja 2024: আরগোড়ী সেজোরায়ের বাগানে মণ্ডপে থিম ‘শক্তিদায়িনী ‘

হাওড়া: থিম সজ্জার চরম ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া মণ্ডপে চলছে অন্তিম পর্যায়ের প্রস্তুতি। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় কয়েক মাস আগে থেকে। প্রতিমা শিল্পালয়ে দেবীর মৃন্ময়ী রূপে পূর্ণতা পায়। অন্যদিকে, পুজো মণ্ডপ সাজে ওঠে। শহরের পাশাপাশি মফস্বল বা শহরতলীতেও মানুষের মধ্যে পুজোর প্রথম থেকে ঠাকুর দেখার রেওয়াজ বাড়ছে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে চরম ব্যস্ততা চোখে পড়ছে।

মানুষ মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখার অপেক্ষায়, সেই দিক গুরুত্ব রেখে অধিকাংশ মণ্ডপ পূর্ণতা পায় পুজোর কয়েক দিন আগে। জেলায় অধিকাংশ মণ্ডপ সাজের কাজ শেষ লগ্নে। চূড়ান্ত পর্যায়ের ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেজে উঠছে গ্রামের মণ্ডপ। সেই মতো মণ্ডপে থিমের সাজ হাওড়া আরগোড়ী সেজোরায়ের বাগান দুর্গোৎসব কমিটি। এবারের থিম ‘শক্তিদায়িনী’।

স্বল্প বাজেটেও দারুণভাবে দর্শকদের মন জয় করা যায়। পুজোর শুরু থেকে দারুণ আকর্ষণ, দর্শক হয় মণ্ডপমুখী। তবে চতুর্থী, পঞ্চমী থেকে ঠাসা ভিড় দেখা যায় এখানে। কাঠ, প্লাইউড, টিন, বাঁশ প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। পিতৃপক্ষের সূচনার অপেক্ষায় মানুষ, এমত অবস্থায় জোরদার মনোবল নিয়ে ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। গত বছর মণ্ডপ সাজে উঠেছিল ‘কাঠের পুতুল’ থিমে, দারুন জনপ্রিয়তা। এবার মণ্ডপ সাজ ও প্রতিমা আরও বেশি দর্শকের মন আকর্ষণ করবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সভাপতি শংকর মাজি জানান, প্রায় ৪ দশক ছুঁইছুঁই এই পুজো। গত কয়েক বছর থিমের মণ্ডপ সাজ। এ বছর পুজোর সাত লক্ষ টাকা বাজেট। প্রতিবছর আকর্ষণীয় থিম, দর্শকদের আকর্ষণীয় বিষয়কে সামনে রেখে মণ্ডপ সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। শহরের বিশাল অংকের বাজেটের পুজো যেভাবে দর্শকদের ঢল নামায়, সেই তুলনায় পুজোর বাজেট এই পুজোয় কম হলেও, চোখে পড়ার মতো মানুষের উপস্থিতি এখানে।

রাকেশ মাইতি