দার্জিলিংঃ শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার পথে দুধিয়া পাহাড়ের এই পানিঘাটা ব্রিজে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে পর্যটকরা। বহু পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্রিজে হামেশাই পর্যটকদের লক্ষ্য করা যায়। ব্রিজে দাঁড়িয়ে প্রচুর পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে করতে কেউ সেলফি এবং কেউ আবার রিলসের মাধ্যমে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের প্রকৃতিক সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত।
শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার পথে দুধিয়া বাজারের কাছেই রয়েছে অসম্ভব সুন্দর এই জায়গা। এই ব্রিজের উপর এলেই দেখতে পাবেন দুচোখ ভরে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর সেই পাহাড়ের বুক চিরে নিজের গতিতে বয়ে চলেছে খরস্রোতা পাহাড়ি নদী বালাসন। প্রতিনিয়ত পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা এই বালাসনের অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে এই পানিঘাটা ব্রিজে ছুটে এসে পর্যটকেরা।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোর আগেই বাড়িতে করুন এই কাজ! অর্থ-সম্পদে ভরবে আপনার ঘর, রকেট গতিতে ব্যবসায় উন্নতি
ছুটির দিন হোক বা উইকেন্ড প্রতিনিয়ত দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ পাহাড়ের এই ঠান্ডা শীতল আবহাওয়ায় কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে আসে এই জায়গায়। এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক শান্তনু বণিক বলেন, প্রতিনিয়ত সময় পেলেই পাহাড়ের কোলে এই ব্রিজে ঘুরতে আসি শহরের কোলাহল থেকে দূরে চারিদিকে পাহাড় এবং বালাসন নদীর অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে বেশ ভাল লাগে।
আরও পড়ুনঃ টাটকা ইলিশ খেতে চান? হাতে সময় নেই, বাজার থেকে আজই কিনুন, স্বাদ-গন্ধে মন ভরে যাবে, দাম জানেন?
এই জায়গায় এসে কিছুটা সময় কাটালে প্রকৃতির সঙ্গে মনের এক অপরূপ মেলবন্ধন ঘটে। বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী ব্রিজে দাঁড়ালেই যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই যেন সবুজে ঘেরা পাহাড় হাতছানি দেবে আপনাকে। অন্যদিকে, এখানে ঘুরতে আসো অপর এক পর্যটক দীনেশ গোদাল বলেন, শহরের তীব্র গরম থেকে দূরে পাহাড়ের মাঝে শান্ত শীতল পরিবেশে এই জায়গায় এসে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। এই ব্রিজ তরাই এবং পাহাড়কে যুক্ত করে।
দার্জিলিং যাবার পথে প্রত্যেকেই এই ব্রিজে দাঁড়িয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে যায়। তাহলে আর দেরি কিসের ছুটির দিন হোক বা উইকেন্ড বন্ধু বান্ধব অথবা পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী ব্রিজ থেকে। সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং পাহাড়ি খরস্রোতা বলাসন নদীর সৌন্দর্য নিমিষেই আপনার মনকে মুগ্ধ করবে।
সুজয় ঘোষ