আলিপুরদুয়ার: শতবর্ষ প্রাচীন কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের সাহা বাড়ির লক্ষ্মীপুজো। এই সাহা বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় একসময় সাত দিন ধরে চলত কবিগান, পালাগান। এখন সেই সব অনুষ্ঠান নেই, প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও সাতদিন ধরে হয় এই পুজো। জানা গিয়েছে, পূর্বে বাংলাদেশের ঢাকায় সূচনা হয়েছিল এই পুজোর, দেশ ভাগের পর সেই ধারা বজায় রেখে হ্যামিল্টনগঞ্জের শ্যামা প্রসাদ কলোনির সাহা বাড়িতে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় এই লক্ষ্মীপুজোর।
আরও পড়ুন: কিছু কিছু টয়লেটের বাইরে লেখা থাকে WC… জানেন এই WC-এর অর্থ কি?
পুরানো রীতি মেনেই এখনও লক্ষ্মীপুজো করা হয়। লক্ষ্মী প্রতিমার পরনে থাকে সোনার অলংকার। এছাড়া পুজোয় ব্যবহৃত পদ্মফুল থেকে শুরু করে ধানের শিশ সব কিছুই সোনার। এছাড়া ৫০ রকমের খাদ্যসামগ্রী প্রসাদ হিসেবেও নিবেদন করা হয়। এই সাহা বাড়ির প্রতিমা ১১ ফুট লম্বা হয়।
বাড়ির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, “বাংলাদেশের ঢাকায় আমার দাদু হরচন্দ্র সাহার হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। এরপর দেশভাগের পর এখানে আমার বাবা, এখন আমি এবং আমার ছেলেরা বংশানুক্রমে এই পুজোর আয়োজন করে চলেছি। আশপাশের সকল জেলা থেকে আমাদের আত্মীয়রা উপস্থিত হয় এই পুজোর দিনে। সকলে মিলে একসঙ্গে আমরা পুজো উদযাপন করি।”
ষাটের দশকে এই লক্ষ্মীপুজোয় আরতি প্রতিযোগিতার আয়জন করা হত, আর বিজয়ীদের দেওয়া হত সোনার পদক। এখনও আরতি প্রতিযোগিতা হয়, যদিও এখন সোনার পদক পুরষ্কার দেওয়া হয় না। তবে এই পুজোকে ঘিরে উৎসবের আমেজ এখনও দেখা যায় হ্যামিল্টনগঞ্জে।