আলিপুরদুয়ার: মাটির ভাঁড় নস্টালজিয়া সকলের কাছে, পূর্বে টাকা জমানোর জন্য এই ভাঁড় ব্যবহার করা হত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গিয়েছে এই ভাঁড়। তবুও গ্রাম বাংলায় এখনও দেখা যায় মাটির ভাঁড়-এর ব্যবহার। তাই তো বিভিন্ন ধরণের মাটির ভাঁড়-এর পসরা সাজিয়ে আনেন কুমোররা গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জনপদে। এই মাটির ভাঁড়-এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সকলের ছোটবেলা।
বিশেষ করে ৮০-৯০ এর দশকে বহুল প্রচলিত ছিল মাটির ভাঁড়-এর ব্যবহার। সেসময় খুচরো টাকা জমিয়ে রাখা হত ভাঁড়ে। ১ টাকা ২ টাকা বড়জোর ৫ টাকার কয়েন রাখা হত। শীতের দুপুরে ২ টাকার পুরস্কারের ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে ৫০ পয়সার ১০টা ফুচকা এক ঠোঙা ঝাল মুড়ি সব হয়ে যেত মাটির ভাঁড়ের পয়সার দাপটে।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ! মাদারিহাটে শুরু হয়েছে বিসর্জন মেলা, চলবে তিনদিন
এই বিষয়ে কুমোর সঞ্জয় লাহা জানান, “মাটির ভাঁড়-এর ব্যবহার সত্যি কমেছে। আগে যে পরিমাণ তৈরি হত, এখন তার চেয়ে কম পরিমাণে তৈরি করি। কিন্তু গ্রাম বাংলায় এর চাহিদা রয়েছে, তাই অল্প কিছু হলেও নিয়ে আসি।”
তবে এখন এই মাটির ভাঁড়ে এখন খুচরো পয়সা রাখা হয়না। কুমোরদের তরফে জানা যায় টাকা জমানোর জন্য এখন মাটির ভাঁড় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে চা বাগান এলাকায় শ্রমিকরা এই মাটির ভাঁড় নিয়ে থাকে।
অনন্যা দে