হাওড়া: হাওড়ার অন্যতম বিসর্জন হয় একব্বরপুরে রাজাপুর ক্যানেলে! একব্বরপুর দক্ষিণ রায় যুবক সংঘের পুজোর শালতিতে চড়ে প্রতিমা ভাসান দেখতে ভিড় জমান পার্শ্ববর্তী ৮-১০টি গ্রামের মানুষ। বিজয়া দশমী হয়ে গেছে। আর তার সাথেই এসে পড়েছে মায়ের বিদায়ক্ষণ। আর তার সঙ্গেই একরাশ মনখারাপ। ক্লাবের পুজো থেকে শুরু করে বাড়ির পুজো প্রত্যেকেই বিষন্নতা নিয়ে দুর্গাকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন কৈলাসে।
বাবুঘাট,ইছামতি ঘাটের মতো রাজ্যের আরও নানা ঘাটে মা দুর্গার বিসর্জনের পালা চলছে। তেমনই সারা জেলার অন্যতম বিসর্জন দেখা যায় হাওড়ার একব্বরপুরে। একব্বরপুর রাজাপুর ক্যানেলে বিসর্জন দেখতে ভিড় জমায় পার্শ্ববর্তী ৮-১০টি গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: অবশেষে দেড় বছর পর ঘরে ফিরল প্রসেনজিৎ, আফ্রিকায় কী হয়েছিল তার সঙ্গে? জানলে শিউরে উঠবেন
দুর্গাপুজোর আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে একব্বরপুর দক্ষিণ রায় যুবক সংঘের পুজো। ৮১ বছরের প্রাচীন এই পুজো। যেখানে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় তাঁদের প্রাচীন রীতি বজায় রেখেছে। একব্বরপুর দক্ষিণ রায় যুবক সংঘের পুজোর ভাসানের সময় রাজাপুর প্যানেলের উপর বাজি,মশাল জ্বালিয়ে শালতিতে চড়ে প্রতিমা ভাসান দেওয়া হয়। ১০ থেকে ১২টি শালতি দেখা যায়। আগে আরো বেশি শালতি দেখা যেত। মূলত কৃষি প্রধান এলাকা, বর্তমানে কৃষি কাজ কম হলেও পুরনো রীতি বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন: উদয়নারায়ণপুরে বন্যায় ভাগচাষিদেরও মিলবে ক্ষতিপূরণ! বিশেষ ব্যবস্থা স্থানীয় প্রশাসনের
এলাকার ঐতিহ্য দেখতে পার্শ্ববর্তী ৮-১০টি গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় জমান একব্বরপুর রাজাপুর ক্যানেলে। এই পুজো এবং তার বিসর্জন দেখতে মানুষের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমান আত্মীয়-স্বজনরা। এই বিসর্জন দেখতে ৮-৮০ মানুষের ঢল নামে।
রাকেশ মাইতি