হুগলি: এস এস রাজা মৌলি পরিচালিত একটি তেলেগু সিনেমা যা ২০১২ সালের রিলিজ হওয়ার পরে বেশ শোরগোল তৈরি করেছিল বক্স অফিসে তার নাম ছিল ‘মক্ষি’, যা বাংলায় হল ‘মাছি’। সিনেমায় একটি ছোট্ট মাছি হয়ে উঠেছিল অনেক মানুষের মাথা ব্যথার কারণ। ঠিক একই রকম ভাবে গোঘাটের ভাদুরা পঞ্চায়েতের বাদেশ্বর গ্রামের মানুষদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে মাছি!
মাছির উপদ্রবে অতিষ্ট গোটা গ্রাম। চারিদিকে ভনভন করছে মাছি! মাছির জ্বালায় অসুস্থ বাড়ির লোকজন! অন্যদিকে, বাড়িতে অতিথিরা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে মাছির উপদ্রবের জেরে! এমনকি সম্বন্ধ করে বাড়ির মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না দুর্গন্ধ এবং মাছির জ্বালায়। যদিও এই সমস্যার উৎস স্থানীয় একটি পোল্ট্রি খামার। পোল্ট্রি মুরগির মলমূত্র থেকেই ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও মাছের উপদ্রব এমনটাই অভিযোগ করছে এলাকার মানুষজন। স্থানীয় প্রশাসনও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়, উপায় খোঁজার চেষ্টায় গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ ভিন-ধর্মে মা-বাবার বিয়ে! কেমন কেটেছে ছোটবেলা, কত পেতেন অঙ্কে? অমিতাভ বচ্চনের জীবনের অজানা তথ্য
আরও পড়ুনঃ ৩১ অক্টোবর নাকি ১ নভেম্বর দীপাবলি? ঠিক কোন সময় লক্ষ্মী-নারায়ণ পুজোর জন্য সেরা? জানুন জ্যোতিষীর মত
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনকে বারংবার জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। মাস চারেক আগে গ্রামবাসীরা ব্লক ও মহাকুমার জেলা প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষর করে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই পোল্ট্রি খামার সেখান থেকে সরানোর জন্য, তবুও তার কোনওরকম শুরু হয়নি। উপরন্তু পোল্ট্রি থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ ও পোকামাকড় বিশেষত মাছির উপদ্রবে বাড়ছে রোগের সংখ্যা। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামের প্রচুর মানুষ। খাবারদাবার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে এতটাই মাছির উপদ্রব যে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সমস্ত বৈধ কাগজপত্র মেনে ওই পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি হয়েছে। তবে এখন যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে তার থেকে সুরাহা মিলবে কীভাবে, সেই পথ খুঁজছে প্রশাসন।
রাহী হালদার