Krishnanagar Case: ঘটনাস্থলে মিলল দেশলাই, তেলের বোতল! কৃষ্ণনগর কাণ্ডে মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্তে কীসের ইঙ্গিত?

কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়৷ এসপি অফিসের কাছে একটি পুজো মণ্ডপের পিছনে যে জায়গায় ছাত্রী দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে থেকেই উদ্ধার হল একটি দেশলাইয়ের বাক্স এবং তেলের বোতল৷ ওই বোতলে সম্ভবত পেট্রোল অথবা কেরোসিন জাতীয় কোনও তরল জ্বালানি ছিল৷

এ দিনই ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা৷ পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা৷ উদ্ধার হওয়া দেশলাইয়ের বাক্স এবং বোতলের গা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা৷

এ দিনই নদিয়ার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃত ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে খবর, মৃত্যুর আগেই ওই ছাত্রীর শরীরে আগুন লাগানো হয়েছিল৷ তবে ওই ছাত্রী নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন, না কি অন্য কেউ তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

এই ঘটনায় গতকালই নিহত ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এ দিন ধৃতের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কৃষ্ণনগর আদালত৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এ দিন আইজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, তদন্তে সিআইডি-র সাহায্যও নিচ্ছে জেলা পুলিশ৷ জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে৷ পরিবারের দাবি মেনে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই হয়েছে ময়নাতদন্ত৷

ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত ছাত্রী এবং তার প্রেমিকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাত ১০:১২ থেকে ১০:১৫ দুজনে কথা বলেন৷ এর পর রাত ১০:২৪ মিনিটে ওই ছাত্রী হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দিয়ে জানায়, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়৷ রাত ১১টা০৮ মিনিটে ওই ছাত্রী হোয়াটসঅ্যাপে শেষ বার সক্রিয় ছিলেন৷

পাশাপাশি যে জায়গায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে তিনি একাই গিয়েছিলেন নাকি কেউ নিয়ে গিয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ নিহত ছাত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের একজন কমন বান্ধবী ছিল৷ তাঁকে নিয়েও দু জনের মধ্যে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস খানেক আগে ওই ছাত্রী একাই বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় পুলিশে অভিযোগ করেছিলে ছাত্রীর পরিবার। প্রেমিকের থেকে চল্লিশ হাজার টাকাও ধার নেয় সে। সেই টাকা ফেরত চাইছিলেন রাহুল। সেই নিয়ে কোনও বিবাদ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।