Tag Archives: Krishnanagar

Nadia News: কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দলের মেলা! জানুন আসল কাহিনী

কৃষ্ণনগর: শুরু হল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী তিথিতে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে এই মেলা বসে। কারও কারোর মতে, দোলের ১২ দিন পরে এই মেলা বসে । আবার অন্য মত অনুযায়ী একসময়ে নদিয়ার মহারাজ বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি কৃষ্ণমুর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই সমস্ত বিগ্রহই একসঙ্গে এনে রাজবাড়িতে মণ্ডপ করে কাঠের সিংহাসনে সাজিয়ে রাখা হয়। সাধারন মানুষও এই সময় এই বিগ্রহ দর্শন করতে পারেন। তবে বারোদোলের মেলায় শুধু এই ১২ টি বিগ্রহই থাকে না। থাকে রাজবাড়ির বড় নারায়ণ বিগ্রহ।এই বিগ্রহগুলি নদিয়া ছাড়াও বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।

আরও পড়ুন: মহিলার কাণ্ড শুনলে পিলে চমকে উঠবে! ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বিএসএফের

তবে এখন আর সব বিগ্রহ রাজবাড়িতে আসে না । বারোদোলে এই সমস্ত বিগ্রহকে পুজো করা হয় । একমাস পরে বিগ্রহগুলি ফের তাদের আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় । এই তিন দিন বিগ্রহগুলিকে তিন রকম পোশাক পরানো হয় । প্রথম দিন পরানো হয় রাজবেশ, দ্বিতীয় দিন ফুলবেশ এবং তৃতীয় তথা শেষ দিন পড়ানো হয় রাখালবেশ । কথিত আছে, সেই সময়ে রাজপরিবারের মহিলাদের পক্ষে কোনও মেলা দেখা সম্ভব ছিল না । তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে এই মেলার প্রবর্তন করেন । অন্যমতে, নদিয়া রাজ গিরীশচন্দ্র রাজমহিষীর অনুরোধে এই মেলার প্রবর্তন করেন । এই মেলাকে ঘিরে আজও মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই।

আরও পড়ুন:  তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন এই মেলায়। নানা মনোহারি দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান এবং নানা মনোরঞ্জনের দোকানীরাও এই মেলায় হাজির হন তাদের পসরা সাজিয়ে। রাজবাড়ির একটা অংশ এই সময় খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। দোল উৎসব পার হয়ে যাওয়ার পরেও ফের এই বারোদোলকে ঘিরে উৎসবে মাতেন মানুষ। আর সেই উৎসবে শুধু কৃষ্ণনগর নয় আশপাশের এলাকার মানুষও যোগ দেন। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মেলার সঙ্গে যে শুধু মানুষের মনোরঞ্জন আর উৎসবের আনন্দ জড়িয়ে আছে তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে নদিয়ার রাজপরিবারের ঐতিহ্যও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

Mamata Banerjee: নজরে কৃষ্ণনগর, লোকসভা ভোটের আগে হাইভোল্টেজ সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কৃষ্ণনগর: কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মহুয়া মৈত্র। আর এবার সেই মহুয়া মৈত্রের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জোর কদমে চর্চা জাতীয় রাজনীতিতে। রবিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়াতে এই রাজনৈতিক সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এর বাড়ি ও অফিসে সিবিআই অভিযান হয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইডিও তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল। যদিও ইডি এর তলবে তিনি যান নি।কেন্দ্রীয় এজেন্সির লাগাতার ব্যবহারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করতেই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্রকেই তার প্রথম নির্বাচনী জনসভা হিসেবে বেছে নিলেন?

রাজনৈতিক মহলে তেমনটাই চর্চা। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর ইন্ডিয়া জোট আর অক্সিজেন পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানো, আবার দিল্লিতে রবিবারের সভাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানো। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে এক কাট্টা হয়ে নেমেছে একাধিক বিরোধী দল। আর সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারকে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নির্বাচনী জনসভা শুরু করতে চলেছেন এই কৃষ্ণনগর দিয়েই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে তিনি যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহারকে অন্যতম ইস্যু করে সরব হবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ আসন সমঝোতা নিয়ে কী ভাবছে সিপিএম? কোন আসনে প্রার্থী দেবে কে? বিরাট চমক আলিমুদ্দিনের আলোচনায়

আজ সকাল ১১ টা নাগাদ কলকাতা থেকে নদীয়া কৃষ্ণনগর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে প্রায় দু’ঘণ্টা থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রবিবার দুপুরেই তিনি কলকাতায় ফিরে যাবেন। ২০১৯ এর লোকসভা আসনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে নিরিখে ফলাফল দেখতে গেলে সেই ব্যবধান আরও বেড়েছে। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব এই কেন্দ্র নিয়ে আশাবাদী হলেও এই কেন্দ্র থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ও অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগাতার ব্যবহারের ইস্যুকে সামনে রেখে সরব হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যুকেও সামনে রেখে কেন্দ্রকে এই সভা থেকে আক্রমণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে রবিবার কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচনী জনসভা শুরু করলেও আগামী চার তারিখ উত্তরবঙ্গেও যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে পাঁচ দিনে আটটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই জানা গেছে যার মধ্যে জঙ্গলমহলেও দুটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Rail: রেলের বড় পদক্ষেপ, কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপবাসীর জন্য বিরাট সুখবর! হয়ে গেল ট্রায়াল রান

কলকাতা: ইস্টার্ন রেলওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমোদন পেয়ে রোমাঞ্চিত। এই প্রকল্প কৃষ্ণনগরকে নবদ্বীপধামের সঙ্গে সংযুক্ত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS)/পূর্ব সার্কেল এর অনুমোদনে  কৃষ্ণনগর – আমঘাটা বিভাগে এই ‘অপারেশন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই প্রকল্পটির কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপঘাটে বিস্তৃত গেজ রূপান্তরকরণ সম্পূর্ণ হলে, সংযোগ বাড়ানোর এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা পাওয়া যাবে।

৮.৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত, নতুন রূপান্তরিত বিভাগ, এখন জনসাধারণের জন্য, যাত্রী এবং পণ্য সেবা করার জন্য প্রস্তুত, যা বিদ্যুতায়ীর দ্বারা পরিচালিত হবে। রেলওয়ে নিরাপত্তার কমিশনার (CRS)/পূর্ব সার্কেল শুভময় মিত্র কৃষ্ণনগর সিটি জংশন থেকে আমঘাটা হল্ট স্টেশন পর্যন্ত নবনির্মিত লাইনের  পরিদর্শন করেন। কৃষ্ণনগর সিটি জংশন থেকে আমঘাটা হল্ট স্টেশন পর্যন্ত ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে একটি স্পিড ট্রায়ালের সফলভাবে পরিচালনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিষ মিশছে লঙ্কা-হলুদের গুঁড়োয়! কলকাতা থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে জেলায়! সবাই কিনছে, হাতছানি দিচ্ছে ক্যানসার

এর ফলে পূর্ব রেলওয়ের পরিকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং সকলের জন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা বাড়ছে। নিরাপত্তা, দক্ষতা এবং রেলওয়ের মানের কথা মাথায় রেখে ট্র্যাক গঠন থেকে শুরু করে সেতু নির্মাণ এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রতিটি দিককে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
• আরডিএসও (RDSO ) র নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত সেকশনের গেজ রূপান্তর ।
• ৬০ কেজি ৯০ UTS নতুন রেলের ব্যবহার এবং লাইনগুলি সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে পাতা হয়েছে।
• আধুনিক সিগন্যালিং এবং ইন্টারলকিং ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, যার মধ্যে কৃষ্ণনগর সিটি জং-এ কালার লাইট সিগন্যালিং এবং অত্যাধুনিক ওএফসি (OFC) কেবলের এর মাধ্যমে স্টেশন এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্তিকরণ ।
• স্থায়িত্বের জন্য 25KV এসি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের ব্যবস্থা  ।
• এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষ্ণনগর এবং আমঘাটা স্টেশনের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে যা শুধুমাত্র ভ্রমণ ও বাণিজ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে তাই নয় সামগ্রিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে ।

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের ড্রেসিংরুমে তোলপাড়, রোহিত-হার্দিকের সঙ্গে আচমকা ‘ঘনিষ্ঠ’ এক সুন্দরী! কে এই রহস্যময়ী?

মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র প্রকল্পটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য ,পূর্ব রেলওয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সহ পূর্ব রেলওয়ে সদর দফতর এবং শিয়ালদহ বিভাগের কর্মীবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই প্রকল্পটির সমাপ্তির সঙ্গেসঙ্গে,পূর্ব রেলওয়ে যাত্রী এবং ব্যবসার চাহিদা একই সঙ্গে পরিবেশন করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।

Bjp Candidates: বিরুদ্ধে কঠিন প্রার্থী, বাংলার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে ফোন মোদির! বুঝিয়ে দিলেন স্ট্র্যাটেজি

কৃষ্ণনগর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের রাজমাতা অমৃতা রায়কে। রীতিমতো চমক দিয়ে ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। দেশজুড়ে ৪০০ আসন জেতার টার্গেট নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর বাংলায় পাখির চোখ করেছে অন্তত ২৫টি আসন। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সক্রিয় হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আগেই সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন মোদি। এবার কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায়কে। মোদি তাঁকে বলেন, ”অমৃতাজি আপনাকে অভিনন্দন। বাংলায় পরিবর্তন হবেই। বিজেপি দুর্নীতিকে স্বমূলে উৎখাত করবে।”

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার প্রবল চেষ্টা সফল না হওয়ায় এবার লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগর ও বারাসাতে সভা করেছেন। সরকারি কাজে উদ্বোধন করেছেন গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোও। আর এবার বঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে লড়াইয়ের ময়দানে নামা দলীয় প্রার্থীদের সোজাসুজি ফোন করে ভরসা দিচ্ছেন। বার্তা দিচ্ছেন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করার। বসিরহাটে প্রার্থী হওয়া সন্দেশখালির সাধারণ গৃহবধূ রেখা পাত্রকে ফোন করে যা বলেছিলেন, তার থেকে আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভরসা জোগালেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে। সূত্রের খবর, অমৃতার সঙ্গে কথোপকথনে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর প্রসঙ্গও তোলেন মোদি।

আরও পড়ুন: ভোটের মুখেই নারদ কাণ্ডে ‘বিস্ফোরণ’! ম্যাথুকে ডাকল সিবিআই, মারাত্মক মন্তব্য স্যামুয়েলের!

সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের গুরুত্ব অমৃতাকে বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থীকে ভবিষ্যতেও যে গাইড করবেন তিনি, তাও স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উচ্ছ্বসিত অমৃতাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ময়দানে লড়াই হবে।’

আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি থেকে যোগী আদিত্যনাথ! জায়গা পেলেন কি দিলীপ ঘোষ? এবার প্রকাশ্যে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকা

কৃষ্ণনগরের রাজমাতা সদ্যই রাজনীতিতে পা রেখেছেন। শুরুতেই তাঁকে ভোট ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাও আবার কঠিন প্রতিপক্ষ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। কঠিন লড়াইয়ের আগে প্রধানমন্ত্রী মূলত তাঁকে উৎসাহ বাড়াতেই ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজমাতা অমৃতা রায়। তিনি জানান, বেশিক্ষণ কথা হলেও গুরুর মতো মোদি তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। অমৃতার কথায়, “উনি আমার উপর আস্থা রেখেছেন, এটাই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আমি তো প্রথমবার রাজনীতিতে। গুরুর মতো আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।”

Mahua Maitra CBI News: সিবিআই তল্লাশির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ মহুয়া মৈত্রর! জমে গেল কৃষ্ণনগরের ভোট

কলকাতা: বাড়ি, অফিসে সিবিআই তল্লাশি হওয়ার পরপরই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র‍। নির্বাচনী প্রচারে বাধা দান করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এমনই অভিযোগ তুলে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানোর ব্যাপারে কমিশনকে গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মহুয়া। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে এ কথা উল্লেখও করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ শে মার্চ মহুয়ার মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। এরপরই শনিবার মহুয়ার বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই মহুয়া মৈত্রের বাবা দীপেন্দ্রলাল মিত্রের আলিপুরে ফ্ল্যাটে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে খালি হাতেই অবশ্য বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কৃষ্ণনগরের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের খোলা ‘দরজা’ দিয়ে ঢুকে পড়লেন বিজেপি নেতা! এই কেন্দ্র ‘বড়’ সাফল্য শাসক দলের

এরপরই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে বাধা দানের অভিযোগে তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া মৈত্র। প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। সেই পথেই হাঁটল সিবিআই৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তল্লাশি শুরু করল তাঁরা৷ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভোট প্রচারে অস্ত্র করবে বিজেপি৷

আরও পড়ুন: ইডি হেফাজতেই বড় কাণ্ড ঘটালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তুমুল শোরগোল, শুনলে চমকে উঠবেন!

সূত্রের খবর, লিখিত নির্দেশে সিবিআইকে ছ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল৷ পাশাপাশি, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত লোকপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শিল্পপতি হীরানন্দানির থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে৷ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে প্রথম এই অভিযোগ করেছিলেন৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সংসদের এথিক্স কমিটি৷ সেই মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত বছর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়৷

কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে মঞ্চ মাতালেন রানা দলুই! থাকছে ‘ফসিলস’ও, কবে? দেখে নিন

কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় এবার মঞ্চ কাঁপালেন জনপ্রিয় গায়ক লেকটাউনের রানা দলুই। প্রথম দিনেই দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল যথেষ্টই ভাল। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় এবার মঞ্চ কাঁপালেন জনপ্রিয় গায়ক লেকটাউনের রানা দলুই। প্রথম দিনেই দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল যথেষ্টই ভাল। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
'উড়ান' আয়োজিত কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হয়েছে কৃষ্ণনগর কারবালা মাঠে। যেখানে প্রথম দিন মঞ্চ মাতালেন রুদ্রদ্বীপ ও রানা দলুই। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
‘উড়ান’ আয়োজিত কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হয়েছে কৃষ্ণনগর কারবালা মাঠে। যেখানে প্রথম দিন মঞ্চ মাতালেন রুদ্রদ্বীপ ও রানা দলুই। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
লেকটাউনের বাসিন্দা জনপ্রিয় এই গায়ক রানা দলুই সম্প্রতি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন একটি টেলিভিশন শো এর মাধ্যমে। রুপম ইসলাম পর্যন্ত তাঁর গান শুনে করেছিলেন প্রশংসা করেছেন। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
লেকটাউনের বাসিন্দা জনপ্রিয় এই গায়ক রানা দলুই সম্প্রতি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন একটি টেলিভিশন শো এর মাধ্যমে। রুপম ইসলাম পর্যন্ত তাঁর গান শুনে করেছিলেন প্রশংসা করেছেন। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
এরপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মিউজিক কনসার্টে মঞ্চ কাঁপাতে দেখা যায় রানা দলুইকে। আর সেই নিদর্শন এবার দেখা গেল কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে কারবালা মাঠে। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
এরপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মিউজিক কনসার্টে মঞ্চ কাঁপাতে দেখা যায় রানা দলুইকে। আর সেই নিদর্শন এবার দেখা গেল কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে কারবালা মাঠে। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
বাংলা ব্যান্ড ও বাংলা মিউজিকে আরও একবার প্রাণ সঞ্চার ঘটল তার গানের কথায়, এমনটাই জানাচ্ছেন তার গান শুনে কৃষ্ণনগরের একাধিক দর্শকেরা। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
বাংলা ব্যান্ড ও বাংলা মিউজিকে আরও একবার প্রাণ সঞ্চার ঘটল তার গানের কথায়, এমনটাই জানাচ্ছেন তার গান শুনে কৃষ্ণনগরের একাধিক দর্শকেরা। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
এরপর অর্থাৎ শনিবার কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে আসতে চলেছে অবকাশ ও সালফিউরিক নামে দুটি ব্যান্ড। রবিবার আসবে ফসিলস!
এরপর অর্থাৎ শনিবার কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে আসতে চলেছে অবকাশ ও সালফিউরিক নামে দুটি ব্যান্ড। রবিবার আসবে ফসিলস!
বহু বছর পর কৃষ্ণনগরের বুকে রূপম ইসলাম আসতে চলেছেন দেখে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় মেতে উঠেছে সকল সংগীত প্রেমী মানুষজনেরা। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও এবং কাউন্টার থেকেও। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)
বহু বছর পর কৃষ্ণনগরের বুকে রূপম ইসলাম আসতে চলেছেন দেখে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় মেতে উঠেছে সকল সংগীত প্রেমী মানুষজনেরা। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও এবং কাউন্টার থেকেও। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ।)

Governor CV Ananda Bose: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের হাতের কাজে অভিভূত রাজ্যপাল ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ স্টলে কিনলেন মাটির জিনিস

কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর স্টেশনে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ স্টলে মৃৎশিল্পীদের কারুকার্য দেখে অভিভূত রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের আওতাধীন ওএসওপি স্টল ‘লোকনাথ টেরাকোটা’-র বিক্রেতার সঙ্গে তিনি আলাপচারিতায় জিজ্ঞাসা করেন যে তাঁরা এত সুলভ মূল্যে কীভাবে এইসব সামগ্রী বিক্রয় করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে এই সামগ্রী কী দিয়ে তৈরি এবং তার রূপকার কে এই ব্যাপারেও তিনি খোঁজ খবর নেন এবং তিনি এই স্টলগুলির জিনিসপত্র বিক্রয়ের সাফল্য কামনা করেন।

মাননীয় রাজ্যপাল, কৃষ্ণনগরের নান্দনিক মৃৎশিল্প নিয়ে জানতেন কিন্তু এখন তার চাক্ষুষ প্রমাণ পেলেন। শেষে তিনি কৃষ্ণনগরবাসীদের তৈরি মৃৎশিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন।মাননীয় রাজ্যপাল কিছু মাটির জিনিস কিনেওছেন। তিনি এখানকার মৃৎশিল্পীদের তৈরি জিনিসের বৃহত্তর বাজার ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, শ্রী কৌশিক মিত্র জানান ” আচমকাই মাননীয় রাজ্যপাল কৃষ্ণনগর স্টেশনে এসে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ স্টলের ব্যাপারে খোঁজ নেন এবং নিজেই স্টলে এসে বিক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা বলে অত্যন্ত খুশি হন।”

আরও পড়ুন :  চলতি মাসেই দেশের বিস্তীর্ণ অংশে বইবে তীব্র তাপপ্রবাহ! আসতে চলেছে ভয়াবহ গ্রীষ্মকাল! সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের

ইতিমধ্যেই ভোকাল ফর লোকালে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন রেলস্টেশনেও ইতিমধ্যেই স্থানীয় পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, জয়নগর, শিলিগুড়ি, মালদার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বাছাই করা হয়েছে। যেখানে স্থানীয় জিনিস বিক্রি করা শুরু হয়েছে৷ রেল আধিকারিকদের বক্তব্য, বিভিন্ন স্টেশনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে লাভবান হচ্ছেন৷ ফলে আগামী দিনেও স্থায়ী স্টল থেকে স্থানীয় পণ্য বিক্রি চলবে। রেল চাইছে সব স্টেশনেই ভোকাল ফর লোকাল চালু রাখতে৷

Mahua Moitra | Bjp Candidate: মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কে? চমকে দেওয়া নাম নিয়ে আলোচনা! কে জানেন?

কলকাতা: সাংসদ পদ খুইয়েছেন মহুয়া মৈত্র। ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে সাংসদ পদ খোয়ালেও তাতে ‘ষড়যন্ত্রই’ দেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হলেও ফের যে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে মহুয়াকেই তিনি প্রার্থী করবেন, তাও একপ্রকার স্পষ্টই করে দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু মহুয়ার বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি? তা নিয়েও গুঞ্জন অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বাংলার ২০ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় অবশ্য কৃষ্ণনগরের নাম নেই। তবে, বিজেপির অন্দরের যা খবর, সেই অনুযায়ী, রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুত্র। নদিয়ায় সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়, সকলের প্রিয় ‘জলু বাবু’র প্রভাব দীর্ঘদিনের। তাঁর পুত্র সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ২০০১ সালে নদিয়া নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন অবশ্য, তবে হেরেও ছিলেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়কে পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল এ নিয়ে। ফলে কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও মাঝে একটা সময় কৃষ্ণনগরে প্রার্থী হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর নামও আলোচনায় আসে বলে খবর।

আরও পড়ুন: ‘কোটি টাকার ডিল!’ বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিস্ফোরক অনুপম হাজরা! নিশানায় কোন প্রার্থী?

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতাতেই বড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল? সূত্রের খবর, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে নিয়ে সেরকমই আশঙ্কা ছড়িয়েছে শাসক দলের অন্দরে৷ কারণ ইতিমধ্যেই বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহলে দল ছা্ড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর৷ তাপসের দল ছাড়ার জল্পনার মধ্যেই কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷

আরও পড়ুন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কি বিজেপিতে? প্রার্থী হবেন? শুভেন্দুর ৭ মার্চ নিয়ে জল্পনা

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা উত্তর নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কাটছে না৷ আগেই সুদীপকে প্রার্থী করা নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়৷ সুদীপকে প্রার্থী করা হলে তিনি প্রচারে নামবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক৷ সূত্রের খবর, তাপস রায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতির কোনও দায়িত্বই নিতে পারবেন না তিনি৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে সেই বার্তাই ফের পৌঁছে দিলেন তাপস৷ জানুয়ারি মাসে বাড়িতে ইডি হানার পর থেকেই তাপস রায় দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন বলে খবর৷ এমন কি, গত ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি নিজের কেন্দ্র বরানগরেও যাননি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷

Modi in Krishnanagar: কৃষ্ণনগরে বড় কোনও চমক? মোদির আগমনের আগে মহিলাদের ‘কাজ’ বোঝাচ্ছে বিজেপি

সমীর রুদ্র, নদিয়া: আগামী ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ১০ টায় কৃষ্ণনগরের জেলা স্টেডিয়ামে নামবে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। ওই মাঠের পাশেই গাবতলা মাঠে একটি মঞ্চ করা হচ্ছে। সেখানে থেকে কেন্দ্র সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।

এছাড়াও কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের শিলান্যাস করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর ১০:১০ নাগাদ গাবতলা মাঠের পাশেই গভর্মেন্ট কলেজ মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। ওই সভায় প্রায় দেড় লক্ষ জমায়েত হবে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: ৩০ ফেব্রুয়ারি! হ্যাঁ, এই দিনটিও এসেছে পৃথিবীতে! কবে জানেন তো? শুনলে যেন আকাশ থেকে পড়বেন

প্রধানমন্ত্রীর সভা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপরতা তুঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। সভাস্থল ঘুরে দেখছেন বিজেপি নেতা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সকাল থেকেই সভাস্থলে হাজির হয়েছেন শতাধিক বিজেপি মহিলা কর্মী। জনসভা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন নেতারা।

Nadia News: দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল পদ্ধতিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আনন্দে মাতল তাঁরাও

কৃষ্ণনগর: কথায় বলে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ইচ্ছে শক্তি সঠিক থাকলে শারীরিক অক্ষমতাকেও দূর করে শুধুমাত্র মনের জোরেই জয় করা যায় পাহাড় থেকে পর্বত অনেক কিছু। ঠিক তেমনই এক নিদর্শন দেখা গেল নদিয়ায়। ছোট থেকে বড় সকলেরই খেলাধুলা করতে ভালো লাগে। তবে কি ভেবে দেখেছেন যারা বিশেষভাবে সক্ষম কিংবা দৃষ্টিহীন তাদের কথা? খেলাধুলা তারাও করে তবে একটু অন্যভাবে অন্য ধরনের। আর সেই কারণেই নদিয়ায় আয়োজন করা হল বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে একটি কর্মসূচি।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও দেখে শিক্ষা! স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি প্যারাগ্লাইডার রাজমিস্ত্রির

নদিয়ার কৃষ্ণনগর হেলেন কেলার স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের উদ্যোগে দৃষ্টিহীনসহ বিশেষভাবে সক্ষমদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। হেলেন কেলার স্মৃতি বিদ্যামন্দির আয়োজন করেছিল নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, ২৪ পরগনা সহ বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টিহীন এবং বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এদিন প্রায় ৩০ টিরও বেশি ইভেন্টে ২৫০ র বেশি ছাত্রছাত্রী এক আনন্দময় পরিবেশে শীতের রোদ গায়ে মেখে কমলালেবুর সুবাসের সঙ্গে মাঠের প্রতিযোগিতার ইভেন্ট গুলিতে অংশগ্রহণ করে।

Mainak Debnath