বীরভূমে বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে কড়া নির্দেশ তৃণমূলের। কোর কমিটিকে না জানিয়ে বিজয়া সম্মিলনী নয়। বিজয়া সম্মিলনীর বিষয়ে কমিটির সঙ্গে আলোচনা। বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির থাকতে হবে কমিটির সব সদস্যকে। বীরভূমে কোর কমিটিকে নির্দেশ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। বিজয়া সম্মিলনী দলের জনসংযোগ কর্মসূচি। বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

Anubrata Mondal: সভার মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, সময়ের আগেই সরে গেলেন ‘কর্মী’ অনুব্রত মণ্ডল! কী ঘটল জানেন?

সিউড়ি: জেল জীবন কাটিয়ে অবশেষে বহুদিন পর এবার পুজো আর বিজয়ায় সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের তরফে মুরারইতে ছিল বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে যোগ দিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বার্তা দিলেন কর্মীদের।

তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী থেকে দুটি মঞ্চে মুরারই এক নম্বর ব্লকের পশুহাটে ও মুরারই দু’নম্বর ব্লকের পাইকর হিয়াত নগর হাই মাদ্রাসায় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমরা কেউ নেতা নই, আমরা সবাই কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে কাজ করুন ৷ মানুষের পাশে থাকুন, উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন৷ মারামারি ঝগড়াঝাটি করবেন না। এতে ভাল কোনও বার্তা যায় না।”

আরও পড়ুন: আরজি কর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মিলে গেল বড় কিছু? কোথায় গেল সিবিআই! শুনে চমকে উঠবেন

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যে সেই আগের মতো ঝাঁঝ এখনও নেই ৷ এমনকী নিদান, বিতর্ক, হুঁশিয়ারি, হুমকির সুর থাকত তাঁর গলায়৷ এখন সেই অনুব্রতর গলায় শোনা গেল ‘শান্তির বার্তা’। তবে আজকের সভায় দেখা যায়নি কাজল শেখকে। তাঁর বিষয়ে খোঁজ নেন অনুব্রত।

এদিন অনুব্রতর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। মুরারই দু’নম্বর ব্লকের পাইকর হাই মাদ্রাসার মাঠে বিজয়া সম্মিলনী চলাকালীন তৃণমূলের দু’পক্ষের হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়ায়। আবার মুরারইয়ের সভামঞ্চে অনুব্রতর চেয়ারও উল্টে যায়। যদিও তাঁর অনুগামীরা তার আগেই তাঁকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলেন।