নদীর ধারে পড়ে রয়েছে প্রতিমার কাঠামো

Cooch Behar News: কাঠামো বেচে উপরি রোজগার! অজান্তেই পরিবেশের উপকার করেন এঁরা

কোচবিহার: প্রতিবছর বিভিন্ন সময় বহু দেব দেবতাদের প্রতিমা বিসর্জন করা হয় নদীর মধ্যে। তবে বিসর্জনের পর এই প্রতিমার কাঠামো গুলিকে একদল মানুষ নদী থেকে তুলে এনে পরিষ্কার করেন।

তারপর প্রতিমা কারখানা বা কুমোরটুলিতে বিক্রি করেন দুটো টাকা বেশি রোজগারের আশায়। দীর্ঘ সময় ধরে রীতিমত ঝুঁকি নিয়েই এই প্রতিমার কাঠামো গুলিকে নদী থেকে উদ্ধার করে বিক্রি করেন এই মানুষেরা। তবে কিন্তু নিজেদের অজান্তেই এই মানুষেরা পরিবেশের উপকার করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

মূলত নদীর ধারের মানুষদের মধ্যে বেশ কিছু সাহসী যুবক এই কাজ করে থাকেন বছরের বিভিন্ন সময়। এমনই এক যুবক রোহিত হোসেন জানান, এমনিতে তিনি অন্য কাজ করেন। তবে প্রতিমা বিসর্জনের পর এই কাঠামো গুলি নদী থেকে তুলে এনে জমিয়ে বিক্রিও তিনি করেন দুটো টাকা বেশি রোজগারের আশায়। বেশ অনেকটা সময় ধরে এই কাজ তিনি করছেন।

নদীতে নেমে এই কাঠামো গুলি তুলে আনা একেবারে সহজ কাজ হয় না। তবে টাকা উপার্জনের আশায় এই কাজ করতে ভালই লাগে তাঁদের। প্রতিবছর এই কাজ করেই বাড়তি কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হন তিনি।

আরও দুই নদীর ধারের স্থানীয় বাসিন্দা যুবক আলাল মিঁয়া এবং মিরাজ হোসেন জানান, প্রতিবছর এই কাজ করতে বেশ ভালই লাগে তাঁদের। তবে অনেক সময় অনেক পরিবেশ প্রেমী মানুষ এসে তাঁদের অনেক প্রশংসা করেন।

এভাবে নদীতে ফেলে দেওয়া প্রতিমার কাঠামো তুলে নদী পরিষ্কার করার জন্য। এরফলে নাকি নদীর দূষণ রোধ হয় এবং নদীর ভারসাম্য ঠিক থাকে। তবে এই বিষয় নিয়ে তাঁরা কোনও সময় ভেবেই দেখেননি। যদিও এই কাজ করতে তাঁদের বেশ ভালই লাগে।

দীর্ঘ সময় ধরে এই মানুষেরা নিজেদের অজান্তেই পরিবেশের উপকার করে আসছেন। নদীর দূষণ রোধ এবং ভারসাম্য রক্ষায় এই মানুষেরা বেশ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করা একেবারেই সহজ বিষয় নয়, এমনটাই জানিয়েছেন এই মানুষেরা। দীর্ঘ সময় ধরে শুধুমাত্র দুটো টাকা বেশি রোজগারের আশায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছেন এই মানুষেরা।

Sarthak Pandit