কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর কাণ্ডে ক্রমশ আত্মহত্যার তত্ত্বই জোরাল হচ্ছে তদন্তকারীদের সামনে৷ এসপি অফিসের অদূরে যে পুজো মণ্ডপের পাশ থেকে গত বুধবার তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়, এ দিন সেই ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজে তরুণীর যে গতিবিধি ধরা পড়েছে, তাও ঘটনাক্রমের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে৷
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশের সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মণ্ডপের ভিতরেই সম্ভবত অগ্নিদগ্ধ হন ওই তরুণী৷ এ বিষয়ে একরকম নিশ্চিত পুলিশ৷
তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, তিনি আত্মহত্যা করে থাকলেও কেরোসিন কোথায় পেলেন? পুলিশের দাবি, ওই পুজো মণ্ডপের পাশেই দুর্গা পুজোর ভোগ রান্নার ব্যবস্থা ছিল, সেখান থেকে কেরোসিন ও দেশলাইয়ের বাক্স পেয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী৷
আরও পড়ুন: কাকিমার সঙ্গে দশ বছর ধরে গোপন সম্পর্ক, ফাঁস করার হুমকি দিতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড যুবকের
মণ্ডপের ভিতরে যেখানে দেহ পড়ে ছিল, তার সংলগ্ন অংশে কেরোসিনের গন্ধও পেয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা৷ কেরোসিনের গন্ধ সুনিশ্চিত করেছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি, ঘটনার রাতে তরুণীর টাওয়ার লোকেশন রাত আটটার পর থেকে ওই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে৷ ওই মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকার মধ্যেই তরুণীর গতিবিধি পেয়েছে পুলিশ৷ গত মঙ্গলবার রাত ৮ টা থেকে বুধবার সকালে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো পর্যন্ত তরুণীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ওই এলাকাতেই ছিল বলে পুলিশের হাতে তথ্য এসেছে৷
এ ছাড়াও এক প্রত্যক্ষদর্শীও দাবি করেছেন, ওই তরুণীকে রাত ৯টা নাগাদ কলেজ মাঠে ঢুকতে দেখেছিলেন৷ এছাড়া যে সিসিটিভি ফুটেজ এখনও পর্যন্ত খতিয়ে দেখেছে পুলিশ, তাতে এই এলাকার মধ্যেই তরুণীর গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷
পুলিশের দাবি, মণ্ডপ ঘেরা থাকার কারণে ধোঁয়া সেভাবে বাইরে বেরোতে পারেনি। অন্যদিকে মণ্ডপের পাশের বাড়িতে একজন বয়স্ক মহিলা থাকেন, তিনি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। মণ্ডপের আর একপাশে আশ্রমের পিছনের অংশ। তাই রাতে অগ্নিদ্বগ্ধ হলেও কেউ টের পাননি৷