বীরভূম: সারা বছরের ব্যস্ততার মাঝে পুজোর ছুটিতে অনেকেই বোলপুর শান্তিনিকেতনে যেতে পছন্দ করেন। হাওড়া থেকে সকালের ট্রেনে গিয়ে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরেও আসা যায়। যদিও একদিনের মধ্যে সমস্ত বোলপুর ঘুড়ে দেখা সম্ভব নয়। তবে বিশেষ করে সোনাঝুরির হাটে যেতে পর্যটকদের বেশি ভিড় জমে।
সারা বছরই পর্যটকদের কাছে-পিঠে বেড়ানোর জন্য অন্যতম সেরা ডেস্টিনেশন এখন শান্তিনিকেতন। সদ্য শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মীপুজো। কচিকাঁচাদের স্কুল ছুটি থাকায় তার রেশ কাটেনি এখনও।
আরও পড়ুন- কোলাহলের মাঝে আদিবাসী সংস্কৃতিতে মোড়া আশ্রম! একবেলা কাটিয়ে দিলে শান্তির খোঁজ
এদিন সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহের সামনে অথবা কলাভবন সহ বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে পর্যটকদের সেলফি তোলার হিড়িক।
যদিও রবীন্দ্র সংগ্রহশালা বন্ধ। সেখানে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সামগ্রী থেকে শুরু করে সংগৃহীত রয়েছে মূল্যবান পান্ডুলিপি, ছবি, কবিতা গান গল্পের সম্ভার। সেগুলি কোনটিও দেখতে পাচ্ছেন না পর্যটকেরা।
শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি বাড়িসহ নোবেল পদকের রেপ্লিকা, তাঁর ব্যবহৃত বহু মূল্যবান সামগ্রী, ছবি, পুঁথি না
দেখেই মন খারাপ করে ফিরতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের।
রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা বন্ধ থাকায় মন খারাপ আগত পর্যটকদের। আর এতেই মন খারাপ পর্যটকদের। শান্তিনিকেতন এসে বরীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা না দেখেই ফিরে যেতে হয়েছে বহু পর্যটকদের।
কলকাতা থেকে আগত পর্যটক সুশীল সিকদার জানাচ্ছেন, “বহু আশা নিয়ে শান্তিনিকেতনে এসেছিলাম। কচিকাঁচাদের রবীন্দ্র সংগ্রহশালা সম্পর্কে অনেক গল্প করেছিলাম। সামনাসামনি দেখানোর সুযোগ এবারেও মিলল না। হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরছি।”
আরও পড়ুন- কালীপুজোর আগেই আসছে ভয়ঙ্কর সাইক্লোন… ফুঁসছে নিম্নচাপ! দু’ ঘণ্টায় ঝেঁপে বৃষ্টি
রবীন্দ্রভবন খোলা না থাকলেও দূরদূরান্তের দেশ- বিদেশের পর্যটকদের ভরসা সোনাঝুরির হাট, একান্ন সতী পীঠের কঙ্কালীতলা মন্দির, সৃজনী শিল্পগ্রাম, ডিয়ারপার্ক-সহ কোপাই নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকাগুলি।
এখন রোজই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। পর্যটকদের জোয়ার নামায় হোটেল ছাড়াও বোলপুর শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাড়তি রোজগার হওয়ায় খুশি এলাকার টোটো চালকেরাও।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ার এবং পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে যৌথভাবে টুরিস্ট পুলিশ সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
সৌভিক রায়