Tag Archives: Shantiniketan

শান্তিনিকেতনের আলপনা এবার কলকাতার পুজো মন্ডপে, কোথায় জেনে নিন

বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বহুদিন ধরে জড়িত আলপনা। এখনও বাড়িতে মা, ঠাকুমারা পুজোর আগে ব্রত পালনে আলপনা দেন। সেই চল এখন অনেকটা কমে গেলেও বহু বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর সময় আলপনা দেওয়া হয় ৷

অনেকেই জানেন, বিশ্বভারতীতে নন্দলাল বসু, ক্ষিতিমোহন সেন, সুকুমারী দেবীরা বিভিন্ন দেশের নকশা থেকে প্রকৃতির নানা বিষয়কে আলপনায় তুলে ধরেছিলেন। আর এবার বাংলার সেই ঐতিহ্য তুলে ধরবে কলকাতার একটি পুজো উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন ঘরানার আলপনা দিয়েই হচ্ছে আহিরীটোলা যুবকবৃন্দের মণ্ডপ। লোহার তারের মাধ্যমে আলপনা ফুটে উঠবে পুজো প্যান্ডেলে ৷

আহিরীটোলা যুবকবৃন্দের পুজো এবার ৫৪-তম বর্ষে পা দেবে। এবারের বিষয় ভাবনা আকারের মহাযাত্রা। মণ্ডপের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আর্ট টিচার সুধীর রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি জানা। ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে প্রতিমার রূপ দিচ্ছেন নব পাল ।

Shantiniketan Tourism Attraction: প্রকৃতির টানে, প্রকৃতির মাঝে যেন ‘বল্লভপুরের রূপকথা’…শান্তিনিকেতনে গেলে অবশ্যই আসুন এই জাদুঘরে

সৌভিক রায়, বীরভূম: বোলপুর অনেকবার গেছেন তবে কোনওদিন ঘুরে এসেছেন প্রকৃতি ভবন? আসলে প্রকৃতি ভবন নাম এর পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃতির নানা জিনিস।প্রকৃতি ভবন বা প্রকৃতি আর্ট মিউজিয়ামটি বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর এলাকায় অবস্থিত।এটি সম্ভবত বিশ্বের খুব কম জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, যা শুধুমাত্র প্রকৃতির মহিমা এবং অনুগ্রহের উপর কেন্দ্র করে এবং এটি অনুপ্রাণিত করেছে এমন অনেক শিল্পকর্ম।

এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-কোন সময় গেলে আপনি দেখতে পাবেন এবং কত টাকা পড়বে খরচ? প্রতিদিন সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।আর প্রকৃতি ভবনে প্রবেশের জন্য আপনাকে দিতে হবে মাত্র ৩০ টাকা।যদি আপনি ছবি তুলতে চান তাহলে ২০ টাকা অতিরিক্ত ফি দিতে হবে আর এই ২০ টাকার বিনিময়ে আপনি যত খুশি ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবেন।আর ছ’ বছরের কম বয়সি শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

পুরো প্রকৃতি ভবন একবার ঘুরে দেখার পর প্রকৃতি ভবনের একদম শেষে মিউজিয়ামের ক্যান্টিনে আপনার পছন্দের এক কাপ চা এবং স্ন্যাকস খেয়ে ফেলতে পারেন।আর তারপর আপনি গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যগুলির জন্য বিখ্যাত কাছের অমর কুটিরে ঘুরে বেড়ানো বেছে নিতে পারেন।ইকো-ট্যুরিজম রুটে চলতে চলতে প্রকৃতি ভবনের বিপরীতে রয়েছে হরিণ অভয়ারণ্য এবং দুটি বড় জলাশয়, যা শীতকালে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল হয়ে ওঠে।এই প্রকৃতি ভবন হতে পারে আপনার ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন এটার বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর! লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষার দিন শেষ! এ বার এক ক্লিকেই হাতের মুঠোয় সব অনুমতি

প্রকৃতি ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়তী দাস জানান প্রকৃতি ভবন মূলত ট্রাস্ট এর অন্তর্ভুক্ত।রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার এর যৌথ উদ্যোগে এই ভবন চলে।এবং বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় থাকে।

বাঙালির অন্যতম ঘোরার জায়গায় টোটোর অত্যাচার! অতিষ্ঠ পর্যটকেরা, প্রশাসন নির্বিকার!

বীরভূম: “আমার এটা, ঠিক আছে পিছনের টা তাহলে আমার। এই সাদাটা তুই ধর তাহলে।” বোলপুর শান্তিনিকেতনের রোডে যাতায়াত করলে বিশ্বভারতীর ফার্স্ট গেটে এই কথোপকথন কানে আসবেই‌‌ আসবে।

শুনে খারাপ লাগতেই পারে আপনার। কিন্তু প্রশ্ন এরা কারা? এদের কাজই বা কী? এরা হচ্ছেন প্রত্যেকেই টোটো চালক। কাজ, মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে ট্যুরিস্ট গাড়ি আটকানো। তার পর গাড়ি পার্ক করিয়ে পর্যটকদের শান্তিনিকেতন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজেদের টোটোয় করে ঘোরানো। তবে আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, এতে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা এদের কার্যকলাপে। প্রতিদিন মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই দাদাগিরির ফলে যানজট মারাত্মক আকার নিচ্ছে। নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। জায়গাটি শান্তিনিকেতনে হেরিটেজ কোর এরিয়া থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে, তথা বাফার জোনে রয়েছে।

আরও পড়ুন- অনেক ফুচকা তো খেয়েছেন, এ বার খান টকজলের বদলে অন্য জলে! বেড়ানোর মজাই যাবে বদলে

এলাকাটি বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড তথা শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত। সংশ্লিষ্ট রাস্তায় যানজট যাতে না হয় সেজন্য বিশ্বভারতী ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তারপরেও নজরদারি একেবারেই নেই বলে অভিযোগ।

সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করছেন এই টোটো চালকরা। তাঁদের দাদাগিরির জন্য সমস্যায় পড়েছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। কড়া পদক্ষেপ নিয়ে অবিলম্বে টোটো চালকদের এই দৌরাত্ম্য কমানোর দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে।

পুলিশও প্রশাসন সক্রিয় হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে শান্তিনিকেতন উজ্জ্বল নাম। রবি ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী, সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, সতীপীঠ কঙ্কালীতলা ঘুরে দেখতে সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামে। সেজন্য শান্তিনিকেতন রোডে যানজট সাধারণ বিষয়। বিশেষত শনি ও রবিবার জ্যামের কারণে স্থানীয়দের চলা দায় হয়ে ওঠে।

এই রাস্তার পাশেই রয়েছে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা, পাঠভবন-সহ বিশ্বভারতীর অন্যান্য ভবন। ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তায় চলাচল করেন বলে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ফার্স্ট গেট ও থার্ড গেটে স্পিড বাম্প করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সুন্দরবনের মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ! মৎস্য চাষে উৎসাহ

শান্তিনিকেতনের ফার্স্ট গেটেই রয়েছে একটি টোটো স্ট্যান্ড। চালকরা এই স্পিড বাম্পকে কাজে লাগিয়ে কার্যত মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্যুরিস্ট গাড়ি ধরেন পার্কিংয়ের জন্য। আর তাতেই যানজট শুরু হয়।

সৌভিক রায়

Birbhum News: শান্তিনিকেতন নিয়ে কভার-পোস্টকার্ড প্রকাশ ভারতীয় ডাকবিভাগের

বীরভূম: সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র হিসাবে স্বীকৃতি জানিয়েছে। এবার সেই সম্মান জানাতেই যোগাযোগ মন্ত্রকের ভারতীয় ডাকবিভাগ আটটি ডাকটিকিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতীয় ডাকবিভাগের যৌথ অনুষ্ঠানে শান্তিনিকেতনের ঐতিহাসিক ভবনের ছবিসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য ক্ষেত্রগুলি স্থান পেয়েছে।

আরও পড়ুন- পেট জ্বালা, বুক জ্বালা? মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড না গিলে খেয়ে দেখুন এই খাবারগুলো

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকটিকিটের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক অমর পাল, কলকাতা আঞ্চলিকের পোস্টমাস্টার জেনারেল অশোক কুমার, প্রধান হেরিটেজ কমিটির সমন্বয়কারী অধিকারিক সাথী গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ, পাঠভবন ও সংগীত ভবনের পড়ুয়া, ডাকবিভাগের কর্মী ও অন্যরা।

উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিতে ২০২২ সালে শান্তিনিকেতন ডাকবিভাগে তৈরি হয় বিশেষ সংগ্রহশালা।  নাম দেওয়া হয় ছায়া বীথি। যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত ডাকটিকিট স্থান পায়। সেই সংগ্রহশালার ডাকটিকিটগুলিই তুলে ধরা হয়েছে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। যেখানে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীরা ডাক টিকিট প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছেন এবং ডাক টিকিট, স্ট্যাম্প সংগ্রহও করছেন।

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

পোস্টমাস্টার জেনারেল কলকাতা আঞ্চলিকের অশোক কুমার জানান, “রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রকে সম্মান জানাতে ভারতীয় ডাকবিভাগ নতুন ভাবে ইতিহাসিক ভবনের ছবি সহ ৮টি ডাক টিকিটের উদ্বোধন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতন থেকে যে প্রান্তে চিঠি যাক না কেন থাকবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের বিশেষ স্ট্যাম্প।”

প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব পরিচিতির কারণে তাকে নিয়ে ৩৪ টি দেশ থেকে স্মারক ডাকটিকিট, ডাক টিকিটের সিটলেট, উদ্বোধনী খাম,বিশেষ খাম,পোস্ট কার্ড, বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ভারত থেকে ১৯৫২ সালে ১ অক্টোবর। যার মূল্য ছিল ১২ আনা।

বাংলাদেশ ১৯৯১ সালে ৭আগস্ট বিশ্বকবির ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবার স্মারক ডাক টিকিট উদ্বোধন করেন যার মূল্য ছিল চার টাকা। ২০১১ সালের ৬মে সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিটি ১০ টাকার চারটি ডাক টিকিটের পর শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র স্বীকৃতি স্বরূপ ৫ টাকার মূল্যে আটটি ডাক টিকিট উদ্বোধন করল ডাক বিভাগ।

সৌভির রায়

Shantiniketan Sonajhuri Haat: সোনাঝুড়ি হাট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! চালু নতুন নিয়ম, এবার সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে হাট?

শান্তিনিকেতনঃ শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াই হাট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল হাট কমিটি। সপ্তাহে ৪ দিন বসবে হাট বাকি ৩ দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে হাট। এই তিন দিনে হাট পরিষ্কার ও গাছের চর্চা হবে বলে জানিয়েছে হাট কমিটি। সিদ্ধান্ত না মানলে দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি।

আরও পড়ুনঃ ঘণীভূত হচ্ছে রহস‍্য, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা!

বীরভূম তথা শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণ সোনাঝুরি খোয়াই। শান্তিনিকেতন লাগোয়া সেচ ক্যানালের দু’পাশেই রয়েছে খোয়াই বন। শীত পড়তেই এই বন হয়ে ওঠে পর্যটন ক্ষেত্র। এমনকী পৌষ উৎসবের সময়েও পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ, এই সোনাঝুরি বনের ভিতর খোয়াই হাট। এখন যদিও সারা বছরই ভিড় জমে সোনাঝুরিতে। তবে, শীতকালে এই ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ করে পৌষমেলার সময়ে।

কিন্তু এবার তা আর হবে না সপ্তাহে ৪ দিন বসবে হাট বাকি ৩ দিন সম্পূর্ণভাবে হাট বন্ধ থাকবে। আজ সোনাঝুরি খোয়াই হাটে করা হলো মাইকিং জানিয়ে দেওয়া হলো ব্যবসায়ীদের। এই সিদ্ধান্তে খুশি ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

ইন্দ্রজিৎ রুজ

Birbhum News: বোলপুরে এসে কীভাবে ঘুরবেন ভাবছেন? শান্তিনিকেতনের পথে আপনার সঙ্গী হবে ‘পথিক’! কমবে ঝক্কি, বাঁচবে টাকা

বীরভূম: গরমের মরশুম আর এই সময় আপনি বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসতে চাইছেন! তবে মনে মনে একটা চিন্তাও রয়েছে বোলপুর এলেই ঘুরতে খরচ অনেক পড়বে।  বোলপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে অনেকটাই খরচ পড়ে থাকে বিশেষ করে টোটো অথবা গাড়িতে।

বোলপুর শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর দর্শনীয় একাধিক স্থান যেমন রয়েছে তার পাশাপাশি রয়েছে সোনাঝুরি হাট ও পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম কঙ্কালীতলা মন্দির। কলকাতা হাওড়া অথবা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে বোলপুর এসে এই সমস্ত জায়গা ঘুরতে অনেকটাই খরচ করতে হয় পর্যটকদের। তবে এবার বোলপুর এলে আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। খুব স্বল্প মূল্যে গাড়ি ভাড়া মিলবে বোলপুর শান্তিনিকেতনে।

আরও পড়ুন: হ‍্যান্ডসাম অভিনেতা থেকে আইএএস অফিসার! সাফল‍্য সত‍্যিই ‘হাতের মুঠোয়’ আইআইটি খড়্গপুরের এই ছাত্রের, র‍্যাঙ্ক জানলে ছিটকে যাবেন

বোলপুর শান্তিনিকেতন আগত পর্যটকদের জন্য বীরভূমের কিন্নাহারের বাসিন্দা সঞ্জয় হাজরা তার বন্ধুর সহযোগিতায় বানিয়েছে একটি অ্যাপ।যায় নাম ‘পথিক ‘( POTHIK) অ্যাপ। এন্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকেই সার্চ করলেই মিলে যাবে এই অ্যাপ। আর এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের বীরভূম ভ্রমণের প্যাকেজ বুকিং করতে পারবেন।

বোলপুর শান্তিনিকেতন প্যাকেজের পাশাপাশি রয়েছে তারাপীঠ ঘুরে আসার প্যাকেজ। আর সেখানেই আপনি দেখতে পাবেন বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখার মত কী কী জায়গা রয়েছে আর কোথায় কোথায় যাওয়ার জন্য কেমন কেমন ভাড়া রয়েছে। সেই অ্যাপ থেকেই আপনি নিজের পছন্দের মত বাইক,স্কুটি,চারচাকা অথবা টোটো বুকিং করে নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন: এসি থেকে জলের ছিটে? আসল সমস‍্যা কোথায়? এখনই সাবধান হন, নাহলেই বিরাট টাকার ধাক্কা

সঞ্জয় হাজরা আমাদের জানান মূলত চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপ বর্তমানে শুধু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে উপলব্ধ। অ্যাপেল স্টোরে গেলে এই অ্যাপ পাওয়া যাবে না। এই অ্যাপ খুললে আপনি আপনার লোকেশন অন করলে নির্দিষ্ট লোকেশনে এসে গাড়ি পৌঁছে যাবে আপনার কাছে।

বর্তমানে চারটি বাইক,বেশ কয়েকটি স্কুটি এবং চারচাকা গাড়ি এবং প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি টোটো এই অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কাস্টমারদের সহযোগিতার কারণে ওই অ্যাপের মধ্যেই রয়েছে কাস্টমার কেয়ার নম্বর।সেখানে আপনি ফোন করে যে কোনও সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন নিমেষে।

আরও পড়ুন: সুন্দরী নায়িকা থেকে সন্ন‍্যাসিনী! লাস‍্যময়ী মডেল, নামকরা ক্রিকেটরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন! হ‍ঠাত্‍ সব ছেড়ে কী করছেন নায়িকা? দেখলে চেনাই দায়

তিনি আমাদের আরও জানালেন যে কাস্টমার যার গাড়ি বুকিং করবেন সেই গাড়ির চালকের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড,প্যান কার্ড-সহ বিভিন্ন ধরনের পরিচয় পত্র জমা রাখা হয়। এক কথায় এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি পাবেন সুরক্ষা। তাই এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসে গাড়ি ভাড়া করার চিন্তা অনেকটাই দূর হবে পর্যটকদের। নিচে দেওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বুকিং করতে পারবেন আপনার পছন্দের মত গাড়ি।

https://play.google.com/store/apps/details?id=in.pothik

সৌভিক রায়

Birbhum Tourism: বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসে এই জায়গাটি না দেখলে বড় মিস করবেন, আপনি গিয়েছেন?

বীরভূম জেলার মধ্যে বোলপুর শান্তিনিকেতন হয়ত অনেক বার ঘুরতে এসেছেন। তবে যদি আপনি রবীন্দ্র ভবন অর্থাৎ রবীন্দ্র সংগ্রহশালা না দেখলেন তাহলে মিস করবেন কিন্তু অনেক কিছু।
বীরভূম জেলার মধ্যে বোলপুর শান্তিনিকেতন হয়ত অনেক বার ঘুরতে এসেছেন। তবে যদি আপনি রবীন্দ্র ভবন অর্থাৎ রবীন্দ্র সংগ্রহশালা না দেখলেন তাহলে মিস করবেন কিন্তু অনেক কিছু।(সৌভিক রায়)
তাই এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন গেলে অবশ্যই ঘুরে দেখুন রবীন্দ্র ভবন।কবিগুরুর ব্যবহৃত নানা সামগ্রী রাখা আছে এই সংগ্রহশালাতে৷ রয়েছে নানা দুর্মূল্য ছবি, পুঁথি, মূল্যবান সামগ্রী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলর রেপ্লিকা৷
তাই এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন গেলে অবশ্যই ঘুরে দেখুন রবীন্দ্র ভবন।কবিগুরুর ব্যবহৃত নানা সামগ্রী রাখা আছে এই সংগ্রহশালাতে৷ রয়েছে নানা দুর্মূল্য ছবি, পুঁথি, মূল্যবান সামগ্রী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলর রেপ্লিকা৷
টিকিট কেটে পর্যটকদের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়৷ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে টিকিটের দাম ৭০ টাকা৷ সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটমূল্য ৭০০ টাকা৷ টিকিট বিক্রি করেই বিপুল টাকা আয় করে বিশ্বভারতী৷ এখানেই এলে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথ এর ব্যাবহৃত গাড়ি। কলকাতা জোড়াসাঁকো থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ট্রেনে করে নেমে যে গাড়িতে বোলপুর ঘুরতেন সেই গাড়ি ওখানে রয়েছে।
টিকিট কেটে পর্যটকদের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়৷ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে টিকিটের দাম ৭০ টাকা৷ সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটমূল্য ৭০০ টাকা৷ টিকিট বিক্রি করেই বিপুল টাকা আয় করে বিশ্বভারতী৷ এখানেই এলে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথ এর ব্যাবহৃত গাড়ি। কলকাতা জোড়াসাঁকো থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ট্রেনে করে নেমে যে গাড়িতে বোলপুর ঘুরতেন সেই গাড়ি ওখানে রয়েছে।
সালটা ১৯৩৮, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে জোড়াসাঁকো ফেরেন রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ। সেই সময় কবিগুরুর স্বাস্থ্য তেমন ভাল ছিল না। তাও ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটেই চলাফেরা করতেন। বাবার এই কষ্ট দেখে তাঁকে একটি গাড়ি কিনে দেন রথীন্দ্রনাথ- মডেল নম্বর 1933 Humber। ওই সময়ে এটি ছিল একমাত্র মোটরচালিত যানবাহন। এই হাম্বার গাড়ি অনেকটা বর্তমানের সেডান গাড়ির মত।
সালটা ১৯৩৮, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে জোড়াসাঁকো ফেরেন রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ। সেই সময় কবিগুরুর স্বাস্থ্য তেমন ভাল ছিল না। তাও ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটেই চলাফেরা করতেন। বাবার এই কষ্ট দেখে তাঁকে একটি গাড়ি কিনে দেন রথীন্দ্রনাথ- মডেল নম্বর 1933 Humber। ওই সময়ে এটি ছিল একমাত্র মোটরচালিত যানবাহন। এই হাম্বার গাড়ি অনেকটা বর্তমানের সেডান গাড়ির মত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেখানে বসবাস করতেন সেই বাড়িটি শান্তিনিকেতন গৃহ। এই বাড়িটি উপাসনা গৃহের ঠিক দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এছাড়া রবীন্দ্র ভবনে ভেতরে রয়েছে উত্তরায়ণ৷ সেখানে উদয়ন বাড়ি রয়েছে, পূর্ণচ্য রয়েছে, কোণার্ক ও শ্যামলী রয়েছে । এছাড়াও এরকম একাধিক বাড়ি যে বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসবাস করতেন। এছাড়াও সেখানে গেলে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে আয়না চিরুনি এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক। তাহলে এবার বোলপুর ঘুরতে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গাটি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেখানে বসবাস করতেন সেই বাড়িটি শান্তিনিকেতন গৃহ। এই বাড়িটি উপাসনা গৃহের ঠিক দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এছাড়া রবীন্দ্র ভবনে ভেতরে রয়েছে উত্তরায়ণ৷ সেখানে উদয়ন বাড়ি রয়েছে, পূর্ণচ্য রয়েছে, কোণার্ক ও শ্যামলী রয়েছে । এছাড়াও এরকম একাধিক বাড়ি যে বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসবাস করতেন। এছাড়াও সেখানে গেলে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে আয়না চিরুনি এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক। তাহলে এবার বোলপুর ঘুরতে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গাটি।

 

Shantiniketan Tourism: শান্তিনিকেতন এলে, বেড়ানোর তালিকায় রাখুন এই জমিদার বাড়ি, সৌন্দর্য্যে ১ নম্বর!

বীরভূম: হাতে কম সময়। কাছেপিঠে ঘুরতে যেতে চাইছেন। দিঘা, পুরী নিয়ে মন ভরে গেলে, বাঙালি যায় বোলপুর শান্তিনিকেতন। রবি ঠাকুরের টানে শুধু নয়। সোনাঝুড়ির হাট, শিল্পী গ্রাম, কোপাইয়ের পাড়, কংকালীতলা মন্দির এসব দেখতে বাঙালি বেশি ভিড় করে বোলপুরে। আর বোলপুর থেকে কিছু দূরে রয়েছে তারাপীঠ মন্দির আবার অনেকে তারাপীঠ মন্দির দর্শনের জন্য ছুটে আসেন।তবে, এগুলো ছাড়াও বোলপুরে এমন একটা জায়গা রয়েছে, যাকে কেন্দ্র জড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা কাহিনি। বোলপুর শহরের ইলামবাজারের কাছে রয়েছে রাইপুর গ্রাম। এই গ্রামের মূল আকর্ষণ রাইপুর জমিদারবাড়ি।

বোলপুরে স্টেশনে নেমে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে গেলেই পৌঁছে যাবেন এই জমিদার বাড়িতে। স্টেশনে নেমে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বিনিময়ে পৌঁছে যাবেন এই গা ছমছম পরিবেশে। পরিত্যক্ত এই জমিদার বাড়ি আপনার শান্তিনিকেতন ট্রিপের অন্যতম অংশ হয়ে উঠতে পারে। জানা যায় বর্গী আক্রমণের সময় মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে লালচাঁদ সিংহ তার তিন পুত্রকে নিয়ে আসেন।সেই লালচাঁদের ছোটপুত্র শ্যাম-কিশোর সিংহ যার নামে বর্তমানে শ্যামবাটি বলে একটি জায়গা রয়েছে বোলপুরে। এই শ্যাম কিশোর সিংহ যখন নিজের ব্যবসা ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করে তখন এই বাড়ির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। সেই সময়টা আনুমানিক ১৭৮০ কিংবা ১৭৯০ সাল তখন থেকেই এই বাড়ির কাজ শুরু হয়।পরবর্তী সময়ে পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত বেড়েছে এই বাড়ির এলাকা ততটাই বেড়েছে।

আরও পড়ুনSikkim Situation: উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণ, ফুঁসছে তিস্তা! ঝড় বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে বিপত্তি! নেই বিদ্যুৎ

বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত রয়েছে ৬৩ বিঘা জমির উপর যার মধ্যে পাঁচটি পুকুর রয়েছে। এই জমিদার বাড়িতে প্রায় একশোর অধিক ঘর সংখ্যা রয়েছে। বর্তমানে মূলত জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এবং অর্থনৈতিক অভাব এবং তার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিশাল আকারের এই জমিদার বাড়ির অবস্থা এখন ভগ্নপ্রায়। এক বাসিন্দা অঙ্কুশ দাস জানান ২০১৮ সাল থেকে রায়পুর যুব সংঘ যারা বর্তমানে স্থানীয় সিংহ পরিবারের সদস্য এবং এই যে বিভিন্ন অংশ অর্থাৎ সাত বিঘা জমির মধ্যে যাদের যাদের মালিকাধীন রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ভগ্ন প্রায় রাজবাড়ির পরিবেশগত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রায়পুর যুব সংঘ এই ভগ্নপ্রায় বাড়িটি সংস্কারের চেষ্টা করছে। আগামী দিনে এই রাজবাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিবর্তন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

প্রত্যেক দিন এখানে পর্যটক দের ভিড় থাকে তবে মূলত শনি এবং রবিবার পর্যটকদের ভিড় থাকে বেশি। তবে আপনি এখানে ঘুরতে এলে আপনাদের থাকতে হবে শান্তিনিকেতন কিংবা বোলপুরের যে কোনও লজে। তবে এই জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করতে আপনাকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই জমিদার বাড়ি আপনি ঘুরে যেতে পারেন।বাড়ির আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে নানান অজানা ইতিহাস।তাহলে এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে এলে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ঘুরে আসুন রাইপুর থেকে।

সৌভিক রায়

Shantiniketan: ক্যাম্পাসে ভাঙল ঐতিহ্যবাহী হংসমূর্তি, নতুন করে শোরগোল শান্তিনিকেতনে

ক্যাম্পাসে ভাঙল ঐতিহ্যবাহী হংসমূর্তি, নতুন করে শোরগোল শান্তিনিকেতনে। মূল ক্যাম্পাসে হংসমূর্তি ভাঙায় বিতর্ক। ভাঙল কলাভবনের কালোবাড়ি লাগোয়া হংসমূর্তি। প্রশ্নে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের নিরাপত্তা। জানা যায়, ঈতিহ্যবাহী কালোবাড়ির সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ চলাকালীন-ই বিপত্তি কীনা, তা নিয়ে তদন্ত।

Rabindranath Tagore: শেষ জীবনে পথের সঙ্গী, বোলপুরে শান্তিনিকেতনে সযত্নে রাখা আছে কবিগুরুর গাড়ি

সৌভিক রায়, বীরভূম: বোলপুরে শান্তিনিকেতনের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক না জানা গল্প। শান্তিনিকেতনের মধ্যে রয়েছে কবিগুরুর ব্যবহৃত তাঁর পছন্দের গাড়ি। সময়টা ছিল ১৯৩৮। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে জোড়াসাঁকো ফেরেন রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ। সেই সময় কবিগুরুর শারীরিক অবস্থা অতটা ভাল ছিল না। তাও তিনি ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটেই চলাফেরা করতেন। বাবার এই কষ্ট দেখে তাঁকে একটি গাড়ি কিনে দেন রথীন্দ্রনাথ- মডেল নম্বর 1933 Humber।

ওই সময়ে এটি ছিল একমাত্র মোটরচালিত যানবাহন।সেই সময় এই গাড়ি সরবরাহ করত রুটস লিমিটেড।রুটস লিমিটেডের কাছ থেকেই দু’খানা গাড়ি কেনেন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এক একটি গাড়ির দাম পড়ে ৪০০ পাউন্ড। ১৯৩৮ সালে যা প্রায় ৫৩০০ টাকার সমান। এর মধ্যে একটি গাড়ি তিনি বিশ্বভারতীতেই রেখে আসেন এবং আরও একটি পৌঁছে যায় কলকাতার জোড়াসাঁকোতে।

আরও পড়ুন : থাইরয়েড সমস্যায় জেরবার? নিয়মিত এই খাবারগুলি খেলেই মিলবে রেহাই! সুপারফিট শরীর!

বিশ্বকবির শেষ জীবনেও এই গাড়িই ছিল তাঁর পথের সঙ্গী। ছেলের কিনে দেওয়া এই গাড়ি করেই ক্যাম্পাসে যেতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।বর্তমানে এই কোম্পানির গাড়ি নানা দেশের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও এখনও সযত্নে রাখা আছে 1933 Humber রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাবহৃত গাড়ি। এখন ওই গাড়ি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটকরা বিশ্বভারতীতে ছুটে আসেন।