আলিপুরদুয়ার : ইউরোপীয়ন সাহেবরা এই মেলা শুরু করেছিলেন ৯০ বছর আগে। সেই সময় চা বাগানের শ্রমিকদের আনন্দ প্রদানের জন্য এই মেলার আয়োজন হত।
কিন্তু বর্তমানে ঐতিহাসিক এই মেলা আবেগ হ্যামিল্টনগঞ্জবাসীর কাছে। ইউরোপীয়ন সাহেবদের হাত ধরে চালু হয়েছিল এই মেলা। এলাকার এই কালীপুজো মেলায় বিহার,উত্তরপ্রদেশ,মধ্যপ্রদেশ, অসম,কাশ্মীর থেকে বিক্রেতারা আসেন বিভিন্ন জিনিসের স্টল নিয়ে।
৫০০ টির ওপরে দোকান বসে। এছাড়া এই মেলাতে সার্কাস,নাগরদোলা,নৌকা সহ নানান জয় রাইড আসছে।এবারের নতুনত্ব সুনামি নামের জয়রাইড।
১৩ দিন ধরে এই মেলা চলে।তবে মাদারিহাট উপনির্বাচনের কারণে এবারে মেলা চলবে ১১ দিন।মেলা কমিটির তরফে কুমারদ্বীপ চৌধুরী জানান, “ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম হয় এই মেলায়।তবে এবারে উপনির্বাচন রয়েছে মাদারিহাটে,তাই মেলার দিন কমিয়ে আনা হয়েছে।তবে এই মেলার সাফল্য এবারেও হবে এই আশা রাখছি।”
হ্যামিল্টনগঞ্জের কালী পুজোকে কেন্দ্র করে হ্যামিল্টনগঞ্জের একাধিক এলাকা জুড়ে আয়জন করা হয় বিশাল মেলার।মুলত ৯০ বছর আগে চা শ্রমিকদের মনোরঞ্জনের অন্যতম উৎস হিসেবে এই মেলার আয়জন করা হয় বলে মেলা কমিটির তরফে জানানো হয়।
যেখানে বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিবেশিদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে দোকান দিতে আসেন।এই মেলা দেখতে হ্যামিল্টনগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে ভিড় হয় আত্মীয়দের।
অনন্যা দে