প্রাচীনকাল থেকে, মাখানা খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। মাখানার স্বাদ মিষ্টি এবং নোনতা উভয়ই উপভোগ করা যায়। মাখানা অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী এবং একে স্বাস্থ্যের ধনও বলা হয়।
নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং (মেডিসিনে এমডি কাম পিএইচডি), স্থানীয় ১৮ কে বলেন যে মাখানা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা এর গুরুত্ব প্রকাশ করে।
দেশি ঘিতে মাখনা ভাজা হলে শুধু স্বাদই বাড়ে না। বরং মাখানার ঔষধি গুণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যাদের হাড় বা দাঁতের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য দেশি ঘিতে ভুনা মাখানা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
দেশি ঘিতে ভাজা মাখন ওজন কমাতে সফল, কারণ এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং কম ক্যালরি রয়েছে। ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং বলেছেন যে একজন ব্যক্তি যদি টেনশন এবং নিদ্রাহীনতায় ভোগেন তবে, তিনি মাখানা খেতে পারেন। ভাল ফলাফল কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা দিতে শুরু করবে।
যেসব মায়েরা তাঁদের সন্তানদের স্তন্যপান করেন তাঁরা দেশি ঘিতে ভেজে মাখানা খেতে পারেন। এটি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি সরবরাহ করে। কেউ কিডনির সমস্যায় ভুগলে মাখানা খেলে অনেকাংশে উপশম পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, চুল বা ত্বকের সমস্যা থাকলে দেশি ঘিতে ভাজা মাখানা খাওয়া খুবই উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দেশি ঘিতে ভাজা মাখানা খেলে এমনকী দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে।
এ ছাড়া নিয়মিত মাখানা খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে, কারণ এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। তিনি বলেন, এটি একটি উপকারী খাবার। তাই, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ক্ষতিকর। আপনি যদি কোনও রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার করতে চান তবে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই এটি সেবন করুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
Post navigation
Just another WordPress site