লাইফস্টাইল Health benefits of Zucchini: পুরো শসার মতো দেখতে, শসার থেকেও উপকারী…ব্লাডসুগারের চিহ্ন থাকবে না, ঝুঁকি কমবে হার্ট অ্যাটাকের…এক ‘সবজিতেই’ কেল্লাফতে Gallery October 21, 2024 Bangla Digital Desk সবুজ শাকসবজি সবসময়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে। ভারতে অনেক ধরনের শাক-সবজি জন্মায়, যার সাহায্যে আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি পান এবং রোগকে দূরে রাখেন। এমন একটা সবজির আছে যেটি দেখতে শসার মতো, এর নাম জুচিনি। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সবজি যাতে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। জুচিনি(Zucchini) খেলে ফোলেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায়। আসুন পুষ্টিবিদ নিখিল ভাতসের কাছ থেকে জেনে নিই নিয়মিত জুচিনি খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়। ১. হাড় মজবুত হবে:বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় প্রায়ই দুর্বল হয়ে যায়, যার কারণে প্রায়ই শরীরে ব্যথা হয় এবং দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি জুচিনি খাওয়া বাড়ান, তাহলে আপনার হাড় স্টিলের মতো শক্ত হয়ে যাবে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায়। ২. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করবে:জুচিনিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও জুচিনিতে লুটেইন এবং জিক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা রেটিনাকে সুস্থ করে তোলে। এছাড়া, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের জন্য ভাল পুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়। ৩. হজম ঠিক থাকবে:যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা থাকে তাহলে তার জন্য জুচিনি একটি ওষুধ। আসলে জুচিনিতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবারের সাহায্যে পাকস্থলীতে ভাল ব্যাকটেরিয়া বাড়তে শুরু করে। তাছাড়া এই সবজিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ওয়ার উপাদান যা আপনার মল শক্ত হতে বাধা দেয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় এটি খাওয়া উচিত। ৪. ওজন কমবে:জুচিনি ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস, তাই এটি খেলে দীর্ঘ সময় খিদে লাগবে না এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে রক্ষা করবে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে। ৫. ডায়াবেটিসে উপশম:টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই জুচিনি খাওয়া উচিত কারণ এটির সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমানো যায়, এতে উচ্চ ফাইবার এবং কম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার কারণে ইনসুলিনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এটি নিয়মিত খেলে ওষুধের চাহিদা কমে যাবে। ৬. হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ:জুচিনি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যারা নিয়মিত খেলে শিরায় খারাপ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে, যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং ত্রিগুণ রোগ হয়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
লাইফস্টাইল Makhana soaked in Ghee Benefits: ব্লাডপ্রেশারের টিকি-ও থাকবে না, কোষ্ঠকাঠিন্যের যম! ৭দিন ঠিক এই ‘উপাদানে’ ভিজিয়ে খান মাখনা! নিজের ফিটনেস দেখে নিজেই অবাক হবেন Gallery October 20, 2024 Bangla Digital Desk প্রাচীনকাল থেকে, মাখানা খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। মাখানার স্বাদ মিষ্টি এবং নোনতা উভয়ই উপভোগ করা যায়। মাখানা অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী এবং একে স্বাস্থ্যের ধনও বলা হয়। নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং (মেডিসিনে এমডি কাম পিএইচডি), স্থানীয় ১৮ কে বলেন যে মাখানা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা এর গুরুত্ব প্রকাশ করে। দেশি ঘিতে মাখনা ভাজা হলে শুধু স্বাদই বাড়ে না। বরং মাখানার ঔষধি গুণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যাদের হাড় বা দাঁতের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য দেশি ঘিতে ভুনা মাখানা খেলে উপকার পাওয়া যায়। দেশি ঘিতে ভাজা মাখন ওজন কমাতে সফল, কারণ এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং কম ক্যালরি রয়েছে। ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং বলেছেন যে একজন ব্যক্তি যদি টেনশন এবং নিদ্রাহীনতায় ভোগেন তবে, তিনি মাখানা খেতে পারেন। ভাল ফলাফল কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা দিতে শুরু করবে। যেসব মায়েরা তাঁদের সন্তানদের স্তন্যপান করেন তাঁরা দেশি ঘিতে ভেজে মাখানা খেতে পারেন। এটি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি সরবরাহ করে। কেউ কিডনির সমস্যায় ভুগলে মাখানা খেলে অনেকাংশে উপশম পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, চুল বা ত্বকের সমস্যা থাকলে দেশি ঘিতে ভাজা মাখানা খাওয়া খুবই উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দেশি ঘিতে ভাজা মাখানা খেলে এমনকী দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত মাখানা খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে, কারণ এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। তিনি বলেন, এটি একটি উপকারী খাবার। তাই, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ক্ষতিকর। আপনি যদি কোনও রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার করতে চান তবে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই এটি সেবন করুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
লাইফস্টাইল Health Tips: হাই প্রোটিনের খনি, পুষ্টির ভাণ্ডার…! দেশি ঘিয়ে ভাজলে ১০ গুণ বেশি উপকার, রোজ দু-চারটে বীজ খেলেই ভেলকি দেখাবে যৌবন, হাড় হবে লোহার মতো শক্ত Gallery October 18, 2024 Bangla Digital Desk মাখানাকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। শরীরের জন্য খুব উপকারী। অনেকে একে ফক্স নাট-ও বলেন। ভারতে অবশ্য ‘পদ্মবীজ’ নামেই পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাখানা খাওয়ার আগে দেশি ঘিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হয়। তাহলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়। ধার্মিক ক্রিয়াকলাপে মাখানার ব্যবহার বহু প্রাচীন। অনেকে উপবাসে ফলের সঙ্গে মাখানা খান। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর এই হাই প্রোটিন সুপারফুড শরীরকে শক্তি যোগায়। খেতে টক-মিষ্টি। তাই বাচ্চা থেকে বড়, সবাই হাসিমুখে খান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সমান কার্যকরী মাখানা। সেই জন্য একে ‘শরীরের জন্য আশীর্বাদ’ বলা হয়। মাখানা হল পুষ্টির ভাণ্ডার: নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং (মেডিসিনে এমডি কাম পিএইচডি) বলেন, মাখানা হল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, শরীরের জন্য এটা কত উপকারী। তিনি আরও বলছেন, দেশি ঘিয়ে মাখানা ভাজলে শুধু স্বাদ বাড়ে তাই নয়, ঔষধি গুণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। যাঁদের হাড় বা দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এটা বিশেষভাবে উপকারী। এভাবে নিয়মিত মাখানা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাখানাতে ক্যালরি কম এবং প্রোটিন, ফাইবার বেশি থাকে। এতে উপস্থিত ফাইবার মেটাবলিজম বাড়ায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় মজবুত করে। টেনশন ও অনিদ্রায় কার্যকরি: লোকাল 18-কে প্রিয়াঙ্কা বলেন, যাঁরা টেনশন ও অনিদ্রায় ভোগেন তাঁরা মাখানা খেতে পারেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ফল পাবেন। যে সব মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাঁরাও দেশি ঘিতে ভেজে মাখানা খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন এবং ফসফরাস রয়েছে। যদি কেউ কিডনির সমস্যায় ভোগেন তাহলে মাখানা সেবনে অনেকাংশে উপশম পেতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অদ্বিতীয়: চুল বা ত্বকের সমস্যায় দেশি ঘিতে ভাজা মাখান খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যও নিরাময় হয়। নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কারণ এতে সোডিয়াম খুব কম থাকে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর। তবে যদি রোগ নিরাময়ের জন্য কেউ মাখানা খেতে চান, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
উত্তরবঙ্গ, লাইফস্টাইল, শিলিগুড়ি Health Tips: ডায়াবেটিস-রক্তচাপের যম…! যৌবন ধরে রাখার ব্রহ্মাস্ত্র এই ফল, ৭ দিন এভাবে খেলেই শরীর থেকে নিংড়ে বার করে দেবে সুগারের বংশ, কমায় স্ট্রোকের ঝুঁকি Gallery October 18, 2024 Bangla Digital Desk আতায় ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। যার কারণে এটি খেলে আপনি প্রচুর শক্তি বা এনার্জি পাবেন। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা পেশী দুর্বলতা কাটাতে এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা যদি সীমিত পরিমাণে আতা খান তবে এটি তাদের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আতা লাইপোফেনলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ইনসুলিনের আরও উৎপাদন এবং গ্লুকোজ শোষণে সহায়তা করে, যার ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আতা সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের ভারসাম্য অনুপাত রয়েছে যা শরীরের রক্তচাপের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও, এটি হার্টের পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। আতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি, আতা ক্যানসার এবং করোনারি হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। আতা খেলে আলসার, পেটের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি ইত্যাদি এড়ানো যায়। ১০০ গ্রাম আতায় ২.৫ গুণ বেশি ফাইবার এবং অর্ধেক কমলালেবুর সমান ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
লাইফস্টাইল Health Tips: পুষ্টির পাওয়ার হাউজ, আয়রনের খনি…! রক্তচাপ-খারাপ কোলেস্টেরলেরও যম ‘এটি’! এভাবে খেলেই শরীরে হবে রক্ত, কিলো কিলো কমবে ওজন Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk শরীরকে সুস্থ ও সবল করতে মানুষের মাশরুম খাওয়া উচিত। প্রাচীনকাল থেকেই মাশরুম শক্তি এবং নিরাময়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে মাশরুমকে স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ঔষধি খাবার হিসাবে বিবেচনা করে। মাশরুম তাদের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগের কারণে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে এবং সেগুলি খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। লখনউয়ের অ্যাপোলোমেডিক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান প্রীতি পান্ডে বলেন, মাশরুমে পুষ্টির বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ডি ইত্যাদি সহ অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। মাশরুমে সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম এবং তামা-সহ অনেক শক্তিশালী খনিজ রয়েছে। এছাড়া মাশরুমকে আয়রনের ভাল উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। মাশরুমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুম খাওয়া শরীরে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা আয়রনের পরিমাণ শরীরে অক্সিজেনের অভাব দূর করতে সাহায্য করে। মাশরুমে পাওয়া ভিটামিন বি১২ রক্ত বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাশরুমে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ রক্ত গঠনে সাহায্য করে। মাশরুমে উপস্থিত প্রোটিন এবং কপারের পরিমাণ শরীরকে শক্তিশালী রাখে। মাশরুম আপনাকে রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও মাশরুম অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ। ডায়েটিশিয়ান বলেন, মাশরুম খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মাশরুমে যে উপাদান পাওয়া যায় তা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের জন্য মাশরুম খাওয়া উপকারী। মাশরুমে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। কম ক্যালরির কারণে, মাশরুম খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ মাশরুম খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয় এবং রোগের ঝুঁকি কমে। মাশরুমে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুম, পলিফেনল এবং নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, আলঝাইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। মাশরুম খাওয়া মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মাশরুমগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও উপকারী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
লাইফস্টাইল Chana Saag Benefits: মেথি-পালং ছাড়ুন…! সস্তার ‘এই’ সবুজ শাকেই লুকিয়ে কোটি টাকার গুণ! নিংড়ে বার করবে ব্লাড সুগার-রক্তচাপ! রোজ খেলেই হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন, জব্দ হবে কোষ্ঠকাঠিন্য Gallery September 15, 2024 Bangla Digital Desk Blood ছোলা শাক, যা পালং শাক এবং মেথির চেয়ে বহুগুণ বেশি পুষ্টিকর বলে বিবেচিত হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভাল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি উপকারী করে তোলে। ডাঃ সোনিয়া রাওয়াত বলেন, ছোলা শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ, এতে উপস্থিত পুষ্টি শরীরকে সুস্থ রাখে। এই শাক নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই শাকের পুষ্টিগুণ এতটাই বেশি যে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে এবং শরীরে শক্তি জোগায়। এই শাক রুটি ভাত ও ডালের সঙ্গে খাওয়া যায়। ডালের সঙ্গে মিশিয়েও রান্না করা যায়, এতে স্বাদ ও পুষ্টি বাড়ে। ওজন কমানোর জন্য এই সবুজ শাক খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও এটি খাওয়া উপকারী। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে এবং ঠান্ডা বা জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দিলে এই ছোলা শাক একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
দক্ষিণ দিনাজপুর, লাইফস্টাইল Diabetes & Blood Pressure Control Tips: ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার একসঙ্গে থাকবে বশে! বুড়ো বয়সে সুস্থ থাকতে খান সস্তার এই সুপারফুড Gallery July 31, 2024 Bangla Digital Desk চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের রোজ ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেন। ছাতুর মধ্যে থাকা ফাইবার খুব ধীরে ধীরে হজম হয়। পাশাপাশি এটি ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।সুস্মিতা গোস্বামী গরমের দিনে এক গ্লাস ছাতুর শরবত প্রতিদিন সকালে খেলে অনেকটাই স্বস্তি মেলে। অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে, তেল-মশলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। এমনকি হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগা রোগীরাও এই খাবারটি নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন হাতেনাতে।সুস্মিতা গোস্বামী ফাইবারের পাশাপাশি ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটমিন ও বেশকিছু খনিজ পদার্থ থাকে। এগুলো ত্বকের উপকার করে। এমনকি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।সুস্মিতা গোস্বামী ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের ভিতরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়।সুস্মিতা গোস্বামী একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ বছরের পর থেকে যদি নিয়মিত ছাতু খাওয়া যায় তাহলে একাধিক বয়সকালীন রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না। ফলে শেষ বয়সটা বেজায় নিশ্চিন্তেই কেটে যায়।সুস্মিতা গোস্বামী
লাইফস্টাইল Garlic Cloves Benefits: কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশার, গাঁটের বাত কমাতে অব্যর্থ! দিনের ঠিক এ সময়ে খান গুনে গুনে এই ক’টা রসুন কোয়া Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk সর্বগুণের আধার বলে রসুনকে বলা হয় মহৌষধ৷ অসংখ্য রোগের বিনাশ করে রসুনের কোয়া৷ উপকারিতার শেষ নেই ভারতীয় হেঁশেলের অতি পরিচিত এই মশলার৷ তবে রসুন খেতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে এবং দিনের নির্দিষ্ট সময়ে৷ বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷ প্রতিদিন দুপুরের খাওয়ার আগে খেতে হবে ৩ টে করে রসুনের কোয়া৷ তার পর এর উপকারিতায় আমূল বদলে যাবে আপনার জীবন৷ রোজ লাঞ্চের আগে ৩ টে করে রসুনকোয়া খেলে হার্টের অসুখের প্রবণতা কম থাকে৷ রসুনের সালফার ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরল কমায়৷ হার্ট মজবুত ও সুস্থ রাখে৷ রসুনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসারের আশঙ্কা রোধ করে৷ রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সংক্রমণ রোধ করে৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তি অটুট থাকে৷ সর্দিকাশির সম্ভাবনা কম থাকে৷ আর্থ্রাইটিসে রসুন খুবই উপকারী৷ এর অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য গাঁটের ব্যথা কমায়৷ গাঁটের ব্যথা কমিয়ে সুস্থতা বজায় রাখে রসুন৷ হজমে সাহায্য করে এমন এনজাইমের ক্ষরণ হয় রসুন খেলে৷ সার্বিক ভাবে পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে রসুনের কোয়া৷ হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে রসুনের গুণাগুণ৷ দূর করে হাড়ের রোগ৷ অস্টিওপোরোসিস জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ করে রসুনের খাদ্যগুণ৷ রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে৷ মেটাবলিজম হার বাড়িয়ে এবং ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে রসুনের গুণ৷
লাইফস্টাইল BP Age Chart: আপনার ব্লাড প্রেশার নরম্যাল তো…? ‘বয়স’ অনুযায়ী জানুন ‘পারফেক্ট’ BP লেভেল, দেখুন লিস্ট! রক্তচাপ কত হলে নো টেনশন? Gallery July 23, 2024 Bangla Digital Desk মাঝেমাঝেই তো প্রেশার দেখছেন। কিন্তু জানেন কী আপনার বয়সে ঠিক কত প্রেশার হলে তা স্বাভাবিক? প্রত্যেক ব্যক্তির বয়স অনুযায়ী রক্তচাপ কেমন হওয়া উচিত? এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই মাত্রা আলাদা। তাই উভয়েরই সুস্থ থাকতে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা জানা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রায় ১২৮ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৭৯ বছর পর্যন্ত। সবচেয়ে বড় কথা হল ৪৬ শতাংশ মানুষ এই অবস্থা সম্পর্কে অবগতই নয়। আজকাল রক্তচাপ বৃদ্ধি ও কমার সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে। WHO এর মতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১২৮ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) সমস্যায় ভুগছেন। তাদের বয়স ৩০-৭৯ বছর। এর মধ্যে ৪৬ শতাংশ এমন মানুষ যাঁরা এটি সম্পর্কে জানেনই না। চিকিৎসক অনিল বানসাল বলেছেন, যাদের ডাক্তাররা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ দেন, তাদের কখনই ওষুধ বাদ দেওয়া উচিত নয়। অনেক সময় অনেকে জানালেন যে অনেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেলে তারা ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটি করা বিপজ্জনক হতে পারে এবং হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপ এমন একটি সমস্যা যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে মারাত্মক হতে পারে। এই রোগ থেকে বাঁচার প্রথম ধাপ হল এর সম্বন্ধে পুরোপুরি জানা। আসুন জেনে নিই বয়স অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ (Blood Pressure Normal Range) কেমন হওয়া উচিত। স্বাভাবিক রক্তচাপ কেমন হওয়া উচিত?২০১৭ সালে, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এবং ৯টি অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থা বিপি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছিল যে প্রাপ্তবয়স্কদের সিস্টোলিক চাপ মানে উচ্চ রক্তচাপ ১২০ মিমি এইচজি হওয়া উচিত। একই সময়ে, ডায়াস্টোলিক চাপ অর্থাৎ নিম্ন রক্তচাপ ৮০mm Hg বা তার কম থাকা উচিত। রক্তচাপ ১২০/৮০ mm Hg হলে বুঝবেন তা স্বাভাবিক। রক্তচাপ কখন সমস্যা হয়?১. আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, যদি সিস্টোলিক চাপ ১২০-১২৯ mm Hg হয় এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ mm Hg হয়, তাহলে এটিকে একেবারে সীমারেখা রক্তচাপ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। ২. উচ্চ রক্তচাপ ১৩০-১৩৯ mm Hg হলে এবং নিম্ন রক্তচাপ ৮০-৮৯ mm Hg হলে, একে প্রথম পর্যায়ের উচ্চ রক্তচাপ বলে। ৩. যখন সিস্টোলিক চাপ ১৪০ mm Hg এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৯০ mm Hg বা তার বেশি হয়, এটি দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন এটি দ্বিতীয় স্তরের উচ্চ রক্তচাপ। ৪. যখন সিস্টোলিক চাপ ১৮০ মিমি এইচজি বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ১২০ মিমি এইচজি বা তার বেশি হয়, তখন এটি হাইপারটেনসিভ সংকট হিসাবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে চিকিৎসা না নিলে প্রাণ হারাতেও পারে। বয়স অনুযায়ী পুরুষদের স্বাভাবিক বিপি:২১-২৫ বছর – ১২০/৭৮২৬-৩০ বছর – ১১৯/৭৬৩১-৩৫ বছর – ১১৪/৭৫৩৬-৪০ বছর – ১২০/৭৫৪১-৪৫ বছর – ১১৫/৭৮ ৪৬-৫০ বছর – ১১৯/৮০৫১-৫৫ বছর – ১২৫/৮০৫৬-৬০ বছর – ১২৯/৭৯৬১-৬৫ বছর – ১৪৩/৭৬ মহিলাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ কেমন হওয়া উচিত?২১-২৫ বছর – ১১৫/৭০২৬-৩০ বছর – ১১৩/৭১৩১-৩৫ বছর – ১১০/৭২৩৬-৪০ বছর – ১১২/৭৪ ৪১-৪৫ বছর – ১১৬/৭৩৪৬-৫০ বছর – ১২৪/৭৮৫১ -৫৫ বছর – ১২২/৭৪৫৬-৬০ বছর – ১৩২/৭৮৬১-৬৫ বছর – ১৩০/৭৭
লাইফস্টাইল High Blood Pressure: হাই ব্লাড প্রেসার? স্ট্রোক, কিডনি, হার্ট…একাধিক রোগের ‘আঁতুড়ঘর’! ৫ উপায়ে রাখুন রক্তচাপ রাখুন নিয়ন্ত্রণে Gallery July 21, 2024 Bangla Digital Desk ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতোই চেনা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লাড প্রেসার। কেউ হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন, তো কেউ লো ব্লাডপ্রেসার। বিপির কারণে দেহে দেখা দিতে পারে অন্যান্য সমস্যাও। কিন্তু জানেন কী ঘরোয়া কিছু খাওয়ারই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে এই সমস্যাকে। সন্ধান দিলেন বিশিষ্ট চিকিত্সক। হাই বিপি বা উচ্চ রক্তচাপের ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রেও। উচ্চ রক্তচাপ যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তবে এটি আপনার রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস-সহ অনেক প্রাণঘাতী সমস্যা হতে পারে। তাই রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কোটি কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগলেও বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যা সম্পর্কে অবগত নন। দিল্লি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং সিনিয়র চিকিত্সক ডাঃ অনিল বনসাল জানালেন, সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মিমি এইচজি। সিস্টোলিক চাপ ১২০ mm Hg এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ mm Hg বা তার কম হওয়া উচিত। যদি আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mm Hg-এর বেশি থাকে, তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, রাশ টানতে হবে নুন খাওয়ায়। প্রতিদিন ১ চামচ বা তারও কম লবণ খাওয়া উচিত। জাঙ্ক ফুডে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে, তাই জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমও প্রয়োজন। হাই ব্লাড প্রেসার স্ট্রেস বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে স্ট্রেস লেভেল কমাতে হবে। এর জন্য যোগব্যায়াম ও ধ্যান করা যেতে পারে। মন ভাল রাখার চেষ্টা করুন। স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের কারণেও রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হার্টের স্বাস্থ্যের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সেইসঙ্গে দই, বাটার মিল্ক, দুধ, পনিরের মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও খুবই জরুরি। চিকিৎসক অনিল বানসাল বলেছেন, যাদের ডাক্তাররা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ দেন, তাদের কখনই ওষুধ বাদ দেওয়া উচিত নয়। অনেক সময় অনেকে জানালেন যে অনেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেলে তারা ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটি করা বিপজ্জনক হতে পারে এবং হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দ্রুত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া রক্তচাপ রোগীদের প্রতিদিন তাদের রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত এবং যদি এটি দ্রুত পরিবর্তন হয় তবে তাদের একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।