অনেকে একে বনজুঁই বলেন। কোথাও বলা হয় ঘেঁটু, ভাঁটি-ভাঁট, কোথাও ঘণ্টাকর্ণ। সংস্কৃতে একে বলে ঘণ্টা, ঘণ্টাকর্ণ, বাণবিড়। ভাঁটের ইংরেজি নাম : Wild jamine। কালীপুজোর আগে চোদ্দ শাকের অন্যতম মূল শাক এটি।

Choddo Shaak Fourteen Greens: বনজুঁই-ঘেঁটু-ভাঁট-ঘণ্টাকর্ণ যে নামেই ডাকুন, প্রাকৃতিক ‘ডাক্তার’ এই শাক! রোগবালাই-আপদবিপদ দূর করার ওস্তাদ

অনেকে একে বনজুঁই বলেন। কোথাও বলা হয় ঘেঁটু, ভাঁটি-ভাঁট, কোথাও ঘণ্টাকর্ণ। সংস্কৃতে একে বলে ঘণ্টা, ঘণ্টাকর্ণ, বাণবিড়। ভাঁটের ইংরেজি নাম : Wild jamine। কালীপুজোর আগে চোদ্দ শাকের অন্যতম মূল শাক এটি।
অনেকে একে বনজুঁই বলেন। কোথাও বলা হয় ঘেঁটু, ভাঁটি-ভাঁট, কোথাও ঘণ্টাকর্ণ। সংস্কৃতে একে বলে ঘণ্টা, ঘণ্টাকর্ণ, বাণবিড়। ভাঁটের ইংরেজি নাম : Wild jamine। কালীপুজোর আগে চোদ্দ শাকের অন্যতম মূল শাক এটি।
গাছের পাতা লম্বায় ১২ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হয়। চ্যাপ্টায় হয় ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার। দেখতে সবুজ, অমসৃণ এবং চারপাশে খাঁজ কাটা। ফুল সাদা ও লাল হয়। পুষ্প দণ্ড ১৮ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। প্রতিটি ফুলের পাঁপড়ি পাঁচটি। ইলাস্টিকের মতো নরম।
গাছের পাতা লম্বায় ১২ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হয়। চ্যাপ্টায় হয় ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার। দেখতে সবুজ, অমসৃণ এবং চারপাশে খাঁজ কাটা। ফুল সাদা ও লাল হয়। পুষ্প দণ্ড ১৮ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। প্রতিটি ফুলের পাঁপড়ি পাঁচটি। ইলাস্টিকের মতো নরম।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক তুহিন সেন শর্মা জানান, ভাঁটের রয়েছে ঔষধি গুণ। এর রস তিতা বলে সহজে কেউ খেতে চায় না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শরীরে জ্বর লেগে থাকলে গেটেবাতে ও আমাশয় ও পেট ব্যথায় ভাঁটের কচি ডগার রস কয়েক দিন সকালে খেলে রোগ ভাল হয়ে যায়। ভাঁটপাতার রস কৃমিনাশক।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক তুহিন সেন শর্মা জানান, ভাঁটের রয়েছে ঔষধি গুণ। এর রস তিতা বলে সহজে কেউ খেতে চায় না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শরীরে জ্বর লেগে থাকলে গেটেবাতে ও আমাশয় ও পেট ব্যথায় ভাঁটের কচি ডগার রস কয়েক দিন সকালে খেলে রোগ ভাল হয়ে যায়। ভাঁটপাতার রস কৃমিনাশক।
দেশের সর্বত্র আদিবাসী ও বাঙালি সমাজে এর ব্যবহার আছে। কেবলমাত্র মানুষ নয়, গরু-ছাগলের চিকিৎসাতেও ভাঁটের মূল ও পাতা কাজে লাগে। পুরনো ভাঁট গাছের ঝোপ ছোট পাখি ও খুদে সরীসৃপদের বাসস্থান। কোথাও কোথাও এ ফুল দিয়ে ঘণ্টাকর্ণ ও ভাঁটি পূজা হয়। এই ফুল রোগবালাই ও আপদবিপদ দূর করে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

দেশের সর্বত্র আদিবাসী ও বাঙালি সমাজে এর ব্যবহার আছে। কেবলমাত্র মানুষ নয়, গরু-ছাগলের চিকিৎসাতেও ভাঁটের মূল ও পাতা কাজে লাগে। পুরনো ভাঁট গাছের ঝোপ ছোট পাখি ও খুদে সরীসৃপদের বাসস্থান। কোথাও কোথাও এ ফুল দিয়ে ঘণ্টাকর্ণ ও ভাঁটি পূজা হয়। এই ফুল রোগবালাই ও আপদবিপদ দূর করে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
টিউমারের ক্ষেত্রে উপকারি- ঘেঁটু গাছের মূল বেটে টিউমারের ফোলা অংশে ভাল ভাবে প্রলেপ দিতে হয়। এবং সেই জায়গার উপর কাপড়ের ফালি জড়িয়ে রাখতে হয়। কিছু দিন এই নিয়ম মানলে উপকার পাওয়া যায়।
টিউমারের ক্ষেত্রে উপকারি- ঘেঁটু গাছের মূল বেটে টিউমারের ফোলা অংশে ভাল ভাবে প্রলেপ দিতে হয়। এবং সেই জায়গার উপর কাপড়ের ফালি জড়িয়ে রাখতে হয়। কিছু দিন এই নিয়ম মানলে উপকার পাওয়া যায়।
বিভিন্ন চর্মরোগের ক্ষেত্রে উপকারি- যে কোনও চর্মরোগের  জন্য ঘেঁটু গাছের পাতাকে থেঁতো করে রাতে শোয়ার সময় প্রলেপ দিয়ে রাখতে হয়। এ রকম চার-পাঁচ দিন করলেই চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন চর্মরোগের ক্ষেত্রে উপকারি- যে কোনও চর্মরোগের জন্য ঘেঁটু গাছের পাতাকে থেঁতো করে রাতে শোয়ার সময় প্রলেপ দিয়ে রাখতে হয়। এ রকম চার-পাঁচ দিন করলেই চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শরীরে বলবৃদ্ধিতে উপকারি- দীর্ঘ রোগ ভোগের পর শরীর দুর্বল হলে ঘেঁটু পাতার রস রোজ তিন থেকে চার চামচ পরিমাণ খেলে শরীরের মধ্যে দ্রুত আবার আগের বল ফিরে আসে।
শরীরে বলবৃদ্ধিতে উপকারি- দীর্ঘ রোগ ভোগের পর শরীর দুর্বল হলে ঘেঁটু পাতার রস রোজ তিন থেকে চার চামচ পরিমাণ খেলে শরীরের মধ্যে দ্রুত আবার আগের বল ফিরে আসে।
তবে যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে একজন ভাল চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। তাহলেই ওষুধের সঠিক সুফল পাওয়া যায়।
তবে যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে একজন ভাল চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। তাহলেই ওষুধের সঠিক সুফল পাওয়া যায়।
কাঁকড়াবিছের কামড়ের ওষুধ- ভাঁট বা ঘেঁটু গাছের পাতা এবং ফুল সামান্য জলের সাথে বেটে কাঁকড়াবিছের কামড়ানো জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে এবং বিষও নষ্ট হয়ে যায়।
কাঁকড়াবিছের কামড়ের ওষুধ- ভাঁট বা ঘেঁটু গাছের পাতা এবং ফুল সামান্য জলের সাথে বেটে কাঁকড়াবিছের কামড়ানো জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে এবং বিষও নষ্ট হয়ে যায়।