পূর্ব বর্ধমান: একটা সময় ছিল যখন বাঙালির কাছে শীত মানেই ছিল পিঠে-পুলি ও সার্কাস। শীতকাল এলেই সার্কাসের জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত আট থেকে আশি সকলে। তবে বর্তমানে সার্কাস নিয়ে উন্মাদনা উত্তেজনা কমলেও, একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। এখনও সার্কাস হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেরকমই পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরে চলছে সার্কাস।
বন্ধু-বান্ধব, পরিবার নিয়ে যেতে পারেন সকলেই। বর্ধমান শহরের বীরহাটা উৎসব ময়দানে এই সার্কাস চলছে। সার্কাস ম্যানেজারের কথা অনুযায়ী আগামী ৩ তারিখ পর্যন্ত এই সার্কাস চলবে। আন্তর্জাতিক শিল্পীদের উপস্থাপিত বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখার সুযোগ মিলবে এই সার্কাসে।
আরও পড়ুন- ৫৬৩ জন ডাক্তারের তালিকা তুলে ধরলেন মমতা, তুললেন বিস্ফোরক অভিযোগ! আন্দোলনের নামে…
সার্কাসের ম্যানেজার রথীন্দ্র কুমার চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “ইংরেজি মাসের আগামী তিন তারিখ পর্যন্ত বর্ধমানে সার্কাস চলবে। এখন তিনটে করে শো হচ্ছে। দুপুর ১ টা, বিকেল ৪ টে এবং সন্ধ্যা ৭ টা থেকে শো শুরু হচ্ছে। টিকিট রয়েছে ১০০ টাকা , ১৫০, ২০০ এবং ৩০০ টাকার।”
প্রায় ১ দশক আগেও সার্কাস ঘিরে সকলেরই একটা আলাদা উত্তেজনা থাকত। কোনও শহরে সার্কাস এলে, বিভিন্ন গ্রাম থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ যেতেন সার্কাস দেখার জন্য। সেইসময় যেন বাঙালির অন্যতম প্রধান বিনোদন ছিল এই সার্কাস। টাকা দিয়েও অনেকসময় পাওয়া যেত না টিকিট। কিন্তু এখন আর সেই ছবি দেখা যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিনোদনের ধরন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘মেয়েরা যন্ত্রণার কথা জানাতে পারত না’, বৈঠকে কোন বড় অভিযোগ তুললেন অনিকেত?
তাছাড়া সার্কাসে বাঘ-সিংহ-ভাল্লুক-হাতির খেলা দেখাননিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায়, শেষ আকর্ষণটুকুও হারিয়ে বসেছে সার্কাস। এখন আর সেভাবে ভিড় হয়না সার্কাসে। অজন্তা সার্কাসের ম্যানেজার রথীন্দ্র কুমার চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, ‘মোবাইলে এখন মানুষ সবই দেখতে পাচ্ছেন। মোবাইলের কারণেই এখন কিছুটা সার্কাসের জৌলুস কমেছে। কাজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও কিছু কিছু জায়গা রয়েছে , যেখানে আমরা সার্কাসের ভাল বাজার পায়।”
বর্তমানে জৌলুস কমেছে সার্কাসের। তবে জৌলুস কমলেও এখনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা সার্কাস দেখতে যান। সামনে থেকে সার্কাস দেখার এক আলাদা অনুভুতি রয়েছে। আধুনিকতার যুগে এখনও কিছুটা অস্তিত্ব রয়েছে সার্কাসের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী