মন্দিরবাজার: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুরের ঠিক আগের স্টেশন মাধবপুর। সেখানে আজব এক সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। এখানে রাস্তার দুই প্রান্ত এসে শেষ হয়েছে রেললাইনে। কিন্তু রেললাইনের উপর দিয়ে কোনো রাস্তা নেই, করা হয়নি রেলগেটও। ফলে রাস্তা কার্যত বন্ধ। কিন্তু কোনো উপায় অন্তর না পেয়ে বিপজ্জনক ভাবে তার উপর দিয়েই চলে পারাপার।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরই হবে ‘ডানা’র আঁতুড়ঘর! ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি উপকূলে, চলছে মাইকিং
রেলের পক্ষ থেকে এই রাস্তা বিপজ্জনক বলে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই রাস্তা হওয়ায় এই রাস্তায় লেভেল ক্রসিং তৈরিকরে রাস্তা খোলার দাবি জানিয়েছেন তারা।মাধবপুর স্টেশনের দুই প্রান্তেই দুটি রাস্তা আছে। বেশ কয়েকবছর আগেও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি রাস্তা দিয়ে মথুরাপুর বাপুলীবাজারের কাছ থেকে লক্ষীকান্তপুরে যাওয়া যেত। অপর একটি রাস্তা দিয়ে কালীতলা ও যাদবপুর থেকে মাধবপুর স্টেশন অতিক্রম করে পৌছে যাওয়া যেত অপর প্রান্তে। এখন এই দুটি রাস্তাই বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। এখন স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়ি করে এসে রাস্তার একপ্রান্তে নেমে রেললাইন পার হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে গাড়ি করে যেতে হয়ে। টানা গাড়ি না পাওয়ায় অসুবিধা হয় সকলের। এই দুটি রাস্তা মাধবপুর, কৈপুকুরিয়া, যাদবপুর, চাঁদপুর, হরিণখালি সহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
আরও পড়ুন: পরিশ্রুত পানীয় থেকে জমা জল! জলযন্ত্রনার সমাধান ডায়মন্ড হারবারে
এছাড়াও এই রাস্তা গৌরমোহণ শচীন মন্ডল মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও ব্যাবহার করেন। রাস্তার দুইপ্রান্ত আটকে দেওয়ায় খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় রাত্রে কোনো অসুস্থ রোগীকেও নিয়ে যাওয়া যায় না নাইয়ারহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে প্রায় ৫ কিমি ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ তারা এই সমস্যার কথা সমস্ত যায়গায় বলেও কোনো কাজ হয়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান গৌতম হালদার ও অশোক নাইয়ার মত সকল স্থানীয় বাসিন্দারা।
নবাব মল্লিক