কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীর অপসারণের পর থেকেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত আনু্ষ্ঠানিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং বামেদের জোটে দাঁড়ি পড়ল৷ কারণ এ দিনই রাজ্যের ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রতিটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস৷ ইতিমধ্যেই হাড়োয়া বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী দিয়েছে বামেরাও৷ ফলে ২০১৬ সালের পর এই প্রথমবার রাজ্যে কোনও নির্বাচনে পুরোদস্তুর মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে বাম এবং কংগ্রেস৷
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট গড়ে লড়াই শুরু করেছিল। সেবার ৪৪টি আসন বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস। বামেরা জয়ী হয় ৩২টি আসনে। বিরোধী দলনেতা হন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তার জোট সঙ্গী ছিলেন তৎকালীন সিপিএমের পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। যদিও তার পরে আর নির্বাচনী লড়াইয়ে সেভাবে সাফল্য পায়নি বাম- কংগ্রেস জোট৷ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট বেঁধেও শূন্যে নেমে আসে বাম-কংগ্রেস৷ তার পরেও অবশ্য জোট ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷
আরও পড়ুন: বাতিল ১৬০টি লোকাল! ঘূর্ণিঝড় দানার ভয়ে শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে না ট্রেন, বড় ঘোষণা রেলের
দিল্লিতে কংগ্রেস-তৃণমূল একজোট হলেও রাজ্যে কট্টর তৃণমূল বিরোধিতা করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েন অধীর৷ যদিও নির্বাচনী বিপর্যয়ের জেরে বহরমপুরে নিজে হারার পাশাপাশি হাইকম্যান্ডের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় অধীরকে৷ শেষ পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানো হয় তাঁকে৷ নতুন সভাপতি শুভঙ্কর সরকার দায়িত্ব নিয়েই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অধীরের মতো কট্টর তৃণমূল বিরোধিতার পথে হাঁটবেন না তিনি৷ কংগ্রেস নেতৃত্বের মনোভাব বুঝে তাই পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় বামেরাও৷
কংগ্রেসের ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, সিতাই কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন হরিহর রায় সিনহা, মাদারিহাটে বিকাশ চামপ্রো মেরি, নৈহাটিতে পরেশ নাথ সরকার, হাড়োয়ায় হাবিব রেজা চৌধুরী, মেদিনীপুরে শ্যামল কুমার ঘোষ এবং তালড্যাংরায় প্রার্থী তুষারকান্তি সান্নিগ্রাহি৷