কোচবিহার: সর্বত্র কালী পুজোর প্রায় শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি দীপাবলি কালী পুজো। প্রতিবছরের মতো এবারেও কালী পুজোর তোড়জোড় রয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। তবে জেলার একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে আয়োজন করা হচ্ছে বৃহৎ কালী প্রতিমার পুজো। এই পুজোর আয়োজন করা হয় দিনহাটার সংহতি ময়দানে নাম নেই সংঘের পক্ষ থেকে। এখানকার পুজোর প্রধান আকর্ষণ ২৯ ফুট উচ্চতার বিশাল কালী প্রতিমা। চলতি বছরে এই পুজো ৫০ বছরের পদার্পণ করতে চলছে।
পুজো কমিটির সহ-সম্পাদক বিমল চন্দ্র রায় জানান, “কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী কালী পুজো এই নাম নেই সংঘের পুজো। জেলার সকল বারোয়ারী কালী পুজোর মধ্যে দিনহাটার এই পুজোটিকে অন্যতম। এই কালী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম ও রীতি রয়েছে। এখানে পুজো উপলক্ষে বিশাল মেলাও বসে প্রতি বছর। জেলার এটাই একমাত্র বারোয়ারী কালী পুজো যা সম্পূর্ণ তান্ত্রিক মতে করা হয়। এই পুজোর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গার থেকে মানুষেরা এই পুজো দেখতে এখানে ভিড় করেন।”
তিনি আরও জানান, “এখানকার কালী প্রতিমা তৈরি করতে ৫০ কেজি পাটের সুতো ব্যবহার করা হয়। পাটকাঠি লাগে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ মন। এছাড়া খড় লাগে প্রায় ২০০০ আঁটির মত। প্রতিমা তৈরির জন্য তিন থেকে চারটি জায়গার মাটি নিয়ে আসা হয়। এবারে এই পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। তাই পুজো মন্ডপের মধ্যে থাকছে থিমের চমক এবং মেলাও কিছুটা বৃহৎ আকারে করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: শীতে চুল পড়া বাড়ে, এখন থেকেই সচেতন হন, এই সহজ ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ হবে চিরতরে
এই পুজোর প্রতিমা শিল্পী গোবিন্দ সাহা জানান, “কৃষ্ণনগরের চারজন শিল্পী ও স্থানীয় আরও চারজন শিল্পীর মিলে এই বিশাল প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। সময় কম থাকায় রাত জেগেই কাজ করতে হচ্ছে।”
দীর্ঘ প্রায় ৪৯ বছর ধরে এই পুজো যেন মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তাইতো এই পুজো উপলক্ষ্যে শুধুই জেলার মানুষেরা নয়। জেলার পাশাপশি দূর-দুরান্তের বহু দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরাও ছুটে আসেন এখানে।
Sarthak Pandit