কলকাতায় কী হবে?

Cyclone Dana in Kolkata: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় এবার এমন কিছু হতে পারে, শুনে শিউরে উঠবেন! খুব সাবধান, বড় সতর্কবার্তা

কলকাতা: বর্তমানে সাগর থেকে ৬০০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্রশ্ন, কলকাতায় কেমন হবে পরিস্থিতি?
কলকাতা: বর্তমানে সাগর থেকে ৬০০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্রশ্ন, কলকাতায় কেমন হবে পরিস্থিতি?
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু সেই প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে পড়বে কলকাতাতেও।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু সেই প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে পড়বে কলকাতাতেও।
কলকাতার ক্ষেত্রে কী হতে পারে, বিশেষত বাড়ি-ঘর, ব্রিজ এই ধরনের পরিকাঠামোর? স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়র বিশ্বজিৎ সোম বলেন, কলকাতায় যে সব উচুঁ বিল্ডিং হয়, তাতে স্ট্রাকচারাল কারণে দশ তলা অবধি আর্থকোয়েক মেজারমেন্ট থাকে। এর পর যা উচ্চতা হয়, তা ১৮০ কিমি হাওয়া গতিবেগ সহ্য করতে পারে। যেমন ধরা যাক সাউথ সিটি বিল্ডিং৷ আমাদের কলকাতায় এই স্পিড বিরল। দমকা হাওয়া একটা প্রভাব ফেলে৷ সেটা অবশ্য সাধারণত ঘিঞ্জি বা টানেল বা গলির মধ্যে এর প্রভাব বেশি হয়৷ এর আগে কলকাতায় ১০০-১১০ কিমি/ঘন্টায় ঝড় ও দমকা হাওয়া এখানে হয়েছে। মধ্য বা উত্তর কলকাতার পুরানো বাড়িতে সতর্ক হওয়া দরকার।
কলকাতার ক্ষেত্রে কী হতে পারে, বিশেষত বাড়ি-ঘর, ব্রিজ এই ধরনের পরিকাঠামোর? স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়র বিশ্বজিৎ সোম বলেন, কলকাতায় যে সব উচুঁ বিল্ডিং হয়, তাতে স্ট্রাকচারাল কারণে দশ তলা অবধি আর্থকোয়েক মেজারমেন্ট থাকে। এর পর যা উচ্চতা হয়, তা ১৮০ কিমি হাওয়া গতিবেগ সহ্য করতে পারে। যেমন ধরা যাক সাউথ সিটি বিল্ডিং৷ আমাদের কলকাতায় এই স্পিড বিরল। দমকা হাওয়া একটা প্রভাব ফেলে৷ সেটা অবশ্য সাধারণত ঘিঞ্জি বা টানেল বা গলির মধ্যে এর প্রভাব বেশি হয়৷ এর আগে কলকাতায় ১০০-১১০ কিমি/ঘন্টায় ঝড় ও দমকা হাওয়া এখানে হয়েছে। মধ্য বা উত্তর কলকাতার পুরানো বাড়িতে সতর্ক হওয়া দরকার।
তাঁর কথায়, ৩০ তলা বাড়ি বা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে কম্পন অনুভূত হতে পারে, ঝড়ের গতি যদি ১০০ কিমি মতো হয়। এতে ভয় পাবেন না বলে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ৩০ তলা বাড়ি বা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে কম্পন অনুভূত হতে পারে, ঝড়ের গতি যদি ১০০ কিমি মতো হয়। এতে ভয় পাবেন না বলে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, পুরনো বাড়িতে যে হোর্ডিং থাকে, তা যদি ফ্লেক্স ছাড়া হয়, তাহলে বিপদ হতে পারে৷ তবে ফ্লেক্স সহ হলে বিপদ হওয়ার সুযোগ কম।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, পুরনো বাড়িতে যে হোর্ডিং থাকে, তা যদি ফ্লেক্স ছাড়া হয়, তাহলে বিপদ হতে পারে৷ তবে ফ্লেক্স সহ হলে বিপদ হওয়ার সুযোগ কম।
তিনি বলেন, সমুদ্রের ধারে দমকা হাওয়ার প্রভাব বেশি৷ সমুদ্রের ধারে সতর্ক হয়ে বিল্ডিং নকশা করতে হয়৷ চাল বা রুফ শেড উড়ে যেতে পারে৷ তবে সাধারণত খালি করে দেওয়া হয় এই সময়। সেটা খুব দরকার। তবে কাঁচ ভেঙে বিপদ বাড়বে। ব্রিজ লাইন করা মানে লরি বা বড় গাড়ি৷ হাওয়ায় চাকা দিয়ে লোড সেখানে যায়৷ ফলে উঠতে দেওয়া উচিত নয় দমকা হাওয়ায়৷ ছোট গাড়িতে বিপদ কম। আর ছোট গাড়িতে লোড স্ট্রেস হয় না। যে কোনও শেড এই ঝড়ে ক্ষতিকারক। হাওয়া তলা দিয়ে ঢুকে শেডে ধাক্কা মারে। ফলে শেড পড়ে যায় না৷ শেড উড়ে যায়৷
তিনি বলেন, সমুদ্রের ধারে দমকা হাওয়ার প্রভাব বেশি৷ সমুদ্রের ধারে সতর্ক হয়ে বিল্ডিং নকশা করতে হয়৷ চাল বা রুফ শেড উড়ে যেতে পারে৷তবে সাধারণত খালি করে দেওয়া হয় এই সময়। সেটা খুব দরকার। তবে কাঁচ ভেঙে বিপদ বাড়বে। ব্রিজ লাইন করা মানে লরি বা বড় গাড়ি৷ হাওয়ায় চাকা দিয়ে লোড সেখানে যায়৷ ফলে উঠতে দেওয়া উচিত নয় দমকা হাওয়ায়৷ ছোট গাড়িতে বিপদ কম। আর ছোট গাড়িতে লোড স্ট্রেস হয় না। যে কোনও শেড এই ঝড়ে ক্ষতিকারক। হাওয়া তলা দিয়ে ঢুকে শেডে ধাক্কা মারে। ফলে শেড পড়ে যায় না৷ শেড উড়ে যায়৷
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব এবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা থেকে ২৫ তারিখ, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই আগাম সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব এবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা থেকে ২৫ তারিখ, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই আগাম সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।