পূর্ব বর্ধমান, চুপি পাখিরালয়: কলকাতার কাছেই রয়েছে ছুটি কাটানোর মনপসন্দ ঠিকানা। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর ‘চুপি পাখিরালয়’। গ্রাম্য পরিবেশে, জলাশয়ের ধারে, প্রকৃতির মাঝে মন ভাল করা শান্ত পরিবেশ মন কাড়বেই।
আর কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হবে শীতের মরশুম। তবে এখন থেকেই পূর্বস্থলীর চুপির পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে। কিছুদিন পরই পর্যটনের মরশুম শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আসা যাওয়াও শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হল পূর্বস্থলীর চুপির পাখিরালয়। ওখানে ছাড়িগঙ্গায় পর্যটকরা ঘোরেন এবং ওই জায়গাতেই দেখা মেলে পরিযায়ী পাখির।
পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গা জুড়েই বিদেশি পাখিদের আনাগোনা ৷ চুপি, কাষ্ঠশালী, রাজার চড় প্রভৃতি এলাকাগুলিতে বিদেশি পাখিদের দেখতে প্রতি বছর শীতের মরশুমে দেশ বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমান ৷ প্রফেশনাল নামী চিত্রগ্রাহকরাও আসেন বিদেশি পাখির ছবি তুলতে। এখন ছাড়িগঙ্গার পাড় এলাকা জুড়ে প্রচুর রিসর্ট গড়ে উঠেছে পর্যটকদের জন্য। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আর এই কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও পাল্টাচ্ছে।
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের চুপি এলাকায় ছাড়ি গঙ্গায় তিনদশকের বেশি সময় ধরে উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, ক্যাস্পিয়ান সাগর, সাইবেরিয়া, তিব্বত প্রভৃতি দেশ থেকে আসে পরিযায়ী পাখি। আর এইসব বিদেশি পাখিদের দেখতে চুপিতে পর্যটকদের ভিড় হয় প্রতিবছর। ছাড়িগঙ্গায় থাকে শতাধিক ছোট নৌকা। নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন মাঝিরা। এই নৌকায় চেপেই পর্যটকরা ঘোরেন, এবং দেখা মেলে পরিযায়ী পাখির। সবথেকে আকর্ষণীয় পাখি হল অসপ্রে। ইতিমধ্যেই সেইপাখিও আসতে শুরু করেছে ।চিত্রগ্রাহকরাও আসতে শুরু করেছেন ছবি তোলার জন্য।
অনেকেইবাংলার আমাজন নামেই চেনেন।পর্যটকদের বেশ পছন্দের ওই জায়গা।জেনে নিন কীভাবে আসবেন এই জায়গায়। হাওড়া – কাটোয়া রুটের যেকোনও ট্রেনে চেপে , পূর্বস্থলী স্টেশনে নেমে টোটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন পূর্বস্থলী ‘চুপি পাখিরালয় ‘। থাকা,খাওয়া এবং ঘোরা সবকিছুর জন্যই রয়েছে সুব্যবস্থা। তাই এবার শীতের মরশুমে চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন চুপি পাখিরালয়। 8641078821 এই নম্বরে ফোন করে পেয়ে যাবেন নৌকা। থাকা অথবা খাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 7797900871 এই নম্বরে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী