কী হবে পুরুষদের!

Science: পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে যাবে পুরুষরা? ভয়ঙ্কর আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা! খুঁজে পেলেন মস্ত বড় কারণ

পুরুষ এবং নারী এই দুইয়ের সহাবস্থানে আমাদের এই পৃথিবী গড়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ ভারসাম্য যদি রক্ষা না হয়, তাহলে অচিরেই হারিয়ে যাবে মানব সভ্যতা। সম্প্রতি তেমনই এক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। পরিস্থিতি যা, ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে পুরুষ জাতি!
পুরুষ এবং নারী এই দুইয়ের সহাবস্থানে আমাদের এই পৃথিবী গড়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ ভারসাম্য যদি রক্ষা না হয়, তাহলে অচিরেই হারিয়ে যাবে মানব সভ্যতা। সম্প্রতি তেমনই এক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। পরিস্থিতি যা, ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে পুরুষ জাতি!
পুরুষ জাতিই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে পৃথিবী থেকে! এমনটাই বলছে ‘প্রসিডিংস অফ দ‌্য ন‌্যাশনাল অ‌্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে’-এর একটি রিপোর্ট। বিজ্ঞানীদের মতে, একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে এই বিলুপ্তির আভাস। না, পুরুষদের উপর কোনও বিপর্যয় নেমে আসার কারণে এমনটা ঘটবে না, এর পিছনে দায়ী ক্রোমোজোমের পরিবর্তন।
পুরুষ জাতিই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে পৃথিবী থেকে! এমনটাই বলছে ‘প্রসিডিংস অফ দ‌্য ন‌্যাশনাল অ‌্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে’-এর একটি রিপোর্ট। বিজ্ঞানীদের মতে, একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে এই বিলুপ্তির আভাস। না, পুরুষদের উপর কোনও বিপর্যয় নেমে আসার কারণে এমনটা ঘটবে না, এর পিছনে দায়ী ক্রোমোজোমের পরিবর্তন।
মানুষের কোষের মধ্যে এক্স ও ওয়াই দুই ধরনের ক্রোমোজম থাকে। এক্স ক্রোমোজম দিয়ে নারীদের লিঙ্গ নির্ধারণ হয় এবং ওয়াই ক্রোমোজম দিয়ে পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। সেই ওয়াই ক্রোমোজম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
মানুষের কোষের মধ্যে এক্স ও ওয়াই দুই ধরনের ক্রোমোজম থাকে। এক্স ক্রোমোজম দিয়ে নারীদের লিঙ্গ নির্ধারণ হয় এবং ওয়াই ক্রোমোজম দিয়ে পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। সেই ওয়াই ক্রোমোজম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
ওয়াই ক্রোমোজোম কী? মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারণ করে Y ক্রোমোজোম। মহিলাদের X ক্রোমোজোমের থেকে Y ক্রোমোজোম অনেক ছোট। যেখানে X ক্রোমোজোমের ৯০০টি জিন থাকে, সেখানে Y ক্রোমোজোম তৈরি হয় ৫৫ টি জিন নিয়ে।
ওয়াই ক্রোমোজোম কী? মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারণ করে Y ক্রোমোজোম। মহিলাদের X ক্রোমোজোমের থেকে Y ক্রোমোজোম অনেক ছোট। যেখানে X ক্রোমোজোমের ৯০০টি জিন থাকে, সেখানে Y ক্রোমোজোম তৈরি হয় ৫৫ টি জিন নিয়ে।
গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ পরে Y ক্রোমোজোমের মাস্টার জিন একটি জেনেটিক পথ তৈরি করে যা পুরুষ প্রযোজন অঙ্গ গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ওই একই জিন SOX9-কে উদ্দীপিত করে, যার ফলে পরবর্তীকালে ভ্রুণ ছেলে হিসেবে জন্ম নেয়।
গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ পরে Y ক্রোমোজোমের মাস্টার জিন একটি জেনেটিক পথ তৈরি করে যা পুরুষ প্রযোজন অঙ্গ গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ওই একই জিন SOX9-কে উদ্দীপিত করে, যার ফলে পরবর্তীকালে ভ্রুণ ছেলে হিসেবে জন্ম নেয়।
মেলবোর্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন গবেষক জেনিফার গ্রেভস বলেন, “গত প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন বছর ধরে মানুষ এবং প্লাটিপাস, উভয় ক্ষেত্রেই ওয়াই ক্রোমোজোমে ৫৫ থেকে ৯০০ সক্রিয় জিন হারিয়েছে।
মেলবোর্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন গবেষক জেনিফার গ্রেভস বলেন, “গত প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন বছর ধরে মানুষ এবং প্লাটিপাস, উভয় ক্ষেত্রেই ওয়াই ক্রোমোজোমে ৫৫ থেকে ৯০০ সক্রিয় জিন হারিয়েছে।
এই ক্ষতির পরিমাণ সংখ‌্যার হিসাবে প্রতি ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ বছরে প্রায় পাঁচটি। ফলে, এই হারে জিন হারানো চলতে থাকলে, আগামী ১১ মিলিয়ন বছরে শেষ ৫৫টি জিনও হারিয়ে যাবে।” মানুষের ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটে গেলে ভাল, নইলে ভবিষ্যতের দুনিয়া শাসন করবে প্রমীলা বাহিনীই।
এই ক্ষতির পরিমাণ সংখ‌্যার হিসাবে প্রতি ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ বছরে প্রায় পাঁচটি। ফলে, এই হারে জিন হারানো চলতে থাকলে, আগামী ১১ মিলিয়ন বছরে শেষ ৫৫টি জিনও হারিয়ে যাবে।” মানুষের ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটে গেলে ভাল, নইলে ভবিষ্যতের দুনিয়া শাসন করবে প্রমীলা বাহিনীই।
পুরুষ ক্রোমোজোমের ক্রমাগত হ্রাসের ঘটনা মানবজাতির বেঁচে থাকার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ওই গবেষণা পত্র থেকে জানা গেছে, দুটি প্রজাতির ইঁদুর যাদের মধ্যে Y ক্রোমোজোম নেই, তবুও তারা তাদের প্রজাতিকে বাঁচাতে সফল হয়েছে। এই স্পাইনি ইঁদুর ওয়াই ক্রোমোজোম বিলুপ্ত হওয়ার আগেই একটি নতুন ক্রোমোজোম তৈরি করেছে, যা পুরুষ ইঁদুরের জন্মের জন্য প্রয়োজনীয়। এই খবরটি যে নিঃসন্দেহে সুখবর, তা বলাই বাহুল্য।
পুরুষ ক্রোমোজোমের ক্রমাগত হ্রাসের ঘটনা মানবজাতির বেঁচে থাকার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ওই গবেষণা পত্র থেকে জানা গেছে, দুটি প্রজাতির ইঁদুর যাদের মধ্যে Y ক্রোমোজোম নেই, তবুও তারা তাদের প্রজাতিকে বাঁচাতে সফল হয়েছে। এই স্পাইনি ইঁদুর ওয়াই ক্রোমোজোম বিলুপ্ত হওয়ার আগেই একটি নতুন ক্রোমোজোম তৈরি করেছে, যা পুরুষ ইঁদুরের জন্মের জন্য প্রয়োজনীয়। এই খবরটি যে নিঃসন্দেহে সুখবর, তা বলাই বাহুল্য।