বীরভূম: কথাতেই রয়েছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! আর ঠিক এমনটাই করে দেখাচ্ছে বীরভূমের মেয়ে শুভমিতা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লাল মাটির শহর বোলপুরের বাসিন্দা শুভমিতা। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন বড় হয়ে বাইক চালিয়ে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে। আর ঠিক তাঁর এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁর বাবা উত্তম রায় এর সহযোগিতায় বাইক চালানো শুরু তাঁর। বাবার হিরো স্প্লেন্ডার গাড়িতে হাতে খড়ি তার। বোলপুরের ব্যবসায়ী উত্তম রায় তার মেয়ের এই স্বপ্ন পূরণের পথে হাতে হাত দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুনঃ ৫ সমস্যার একটাই সমাধান! গরমে রোজ পাতে রাখুন শসা! কখন-কীভাবে খাবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত
অনেকেই ভাবেন বাইক রাইডিং-এর শখ শুধু মাত্র ছেলেদের মধ্যে থাকে তবে, বর্তমান সমাজে মেয়েরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই এমনটাই প্রমাণ করলেন শুভমিতা। শুভমিতা আমাদের জানান এখনও পর্যন্ত তিনি ঝাড়খণ্ড, নদীয়া,বর্ধমান,কলকাতা বিভিন্ন জায়গা নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বর্তমানে, তিনি ৪১১ সিসি হিমালয়া গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে গেছেন। প্রায় দু বছর থেকে তিনি বাইক রাইডিং করে বেড়াচ্ছেন। আগামী দিনে লাদাখ,রাজগীর ঝাড়খণ্ডের শেষ সীমানা, নর্থ সিকিম, গ্যাংটক, দার্জিলিং বিভিন্ন জায়গা যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এই বছরই ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে সে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
শুভমিতা আমাদের আরও জানান, “বর্তমানে মা-বাবা ভয় পান যে বাড়ির মেয়ে বাইক রাইডিং এর জন্য এক দুদিন একাই বাড়ির বাইরে কাটাবে কোনও অঘটন যেন না ঘটে। আর এই চিন্তা অবশ্য স্বাভাবিক। তবে এর মাঝেও মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য মা-বাবাদের খোঁজ খবর নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন।” বোলপুরের এক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আমাদের জানান, ‘সচরাচর মেয়েদের বাইক রাইডিং করতে দেখা যায় না। কিন্তু তাদের শহরের মেয়ে শুভমিতা বাইক রাইডিং করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এটা অন্যান্য মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে।’
বর্তমানে যে শুধুমাত্র বাইক নিয়ে মেয়েরা রাইডিং করছেন সেটা কিন্তু নয়, অনেকেই রয়েছে যারা স্কুটি নিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে সমস্ত মেয়েরা এই রাইডিং করতে চায়সেই সমস্ত মেয়েদের যে কোনওসমস্যায় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন শুভমিতা।এখন বর্তমান সময়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই এটাই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।
সৌভিক রায়