আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : দানার দাপটে তটস্থ উপকূল এলাকা। জেলায় আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে। যার ফলে আগে থেকে প্রস্তুতি রাখলে, এখনও পর্যন্ত শান্ত রয়েছে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার। দুটি জলাধার থেকেই সেই অর্থে জল ছাড়ার খবর নেই।
কিন্তু দানার দাপটে হঠাৎ করেই ঠান্ডার স্পেল জেলা জুড়ে। আসানসোল, দুর্গাপুর, পানাগড়- সব জায়গাতেই ছবিটা একই। এমনিতেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে। নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। তার মধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা আরও খানিকটা নেমেছে। ফলে গোটা জেলা জুড়ে শীতের আমেজ, যা বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিতে এমনিতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। তার মধ্যে ঠান্ডা আবহাওয়া জেলায় শীতের আমেজ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্বল হলেও এখনও ভয়ঙ্কর দানা! কলকাতা-সহ বহু জেলায় বৃষ্টির তাণ্ডবের ইঙ্গিত, রেহাই কবে?
তবে চিকিৎসকরা এই সময় সাবধান করে দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের নিয়ে বেশি চিন্তা। তাই এই সময় তাদের যত্নে রাখতে হবে। খুশখুশে কাশি বা জ্বর, গোটা শরীরে ব্যথার মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: গতিতে দানার তিনগুণ! মহাসাগরে দানা বাঁধছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কৃষ্টি
অন্য দিকে এই ঝিরঝির বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। তারা বলছেন, দুর্গাপুজোর আগে এই আবহাওয়া তাদের চরম সমস্যায় ফেলেছিল। কালীপুজোর আগেও সেই একই ছবি। ফলে কাজ করতে গিয়ে দারুণ সমস্যা হচ্ছে তাদের। এই আবহাওয়া যদি আরও দু-একদিন চলতে থাকে, তাহলে কালী পুজোতেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। যদিও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মূর্তি ঢাকা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে দানার দাপটে ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও, জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। সাবধানে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।